Euglena-র গমন পদ্ধতি সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের মতবাদ আলোচনা করো

Euglena-র গমন পদ্ধতি সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের মতবাদ আলোচনা করো
Euglena-র গমন পদ্ধতি সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের মতবাদ আলোচনা করো।

(ANS) Euglena-র গমন অঙ্গ জন ফ্ল্যাজেলা। গমনের সময় Euglena সাধারণত ফ্ল্যাজেলাটিকে চাবুকের মত সোজাসুজি সঞ্চালিত করে। জলে সক্রিয় ঘাতের সৃষ্টি করে এবং বক্রপথে প্রত্যাবর্তন ঘাতের দ্বারা পূর্বস্থানে ফিরিয়ে আনে। ফ্ল্যাজেলার এই বিভিন্ন ঘাত কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়, সে সম্পর্কে এখনও সঠিক জানা যায় নি (Meglitsch ও Schram, 1991), ATP ও Ca** এই সঞ্চালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

Euglena ফ্লাজেলীয় চলন পদ্ধতি সংক্রান্ত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মতবাদ হল

1. Butschli-র (1894) স্কু (Screw) মতবাদ: ফ্লাজেলার পার্শ্বীয় চলনের ফলে জলের উপর একটি সমকোণ চাপ সৃষ্টি হয়। এই চাপ দুটি বলের সৃষ্টি করে একটি দেহের অক্ষের সমান্তরালভাবে এবং অন্যটি দেহের অক্ষের সমকোণে। সমান্তরাল বল প্রাণীটিকে সামনের দিকে চালনা করে এবং সমকোণ বলটি প্রাণীটিকে নিজের অক্ষের উপর আবর্তিত করে। ফলে প্রাণীটির স্কু-র ন্যায় ঘূর্ণায়মান গমন ঘটে।

2. Gray-র (1928) তরঙ্গ মতবাদ: ফ্লাজেলাকের ভূমি থেকে শীর্ষ পর্যন্ত একাধিক সংকোচন-প্রসারণ তরঙ্গের মতো বিস্তার লাভ করে। এর ফলে দুটি বলের সৃষ্টি হয়। একটি বল গতিপথের দিকে কাজ করে এং প্রাণীটিকে সম্মুখে যেতে সাহায্য করে; অপর বল বৃত্তাকারে প্রধান অক্ষের চারপাশে কাজ করে এবং প্রাণীটির আবর্তন ঘটায়।

3. ঠেলা (Push) এবং টানা (Pull) মতবাদ (John এবং Basee, 1967): ফ্ল্যাজেলার তরঙ্গায়িত আন্দোলন ভূমি থেকে শীর্ষের দিকে প্রবাহিত হয় এবং প্রাণীটিকে বিপরীত দিকে অর্থাৎ পিছনের দিকে ঠেলে। বিপরীতভাবে ফ্লাজেলার আন্দোলন শীর্ষ থেকে ভূমির দিকে গমন করে এবং প্রাণীটিকে সামনে টানে।

ইউপ্লিনয়েড গমন

Euglena তার দেহ কোশটিকে পর্যায়ক্রমে সংকুচিত ও প্রসারিত করে একটি পেরিস্টলটিক তরঙ্গ সৃষ্টি করে এবং অগ্রসর হয়। প্রথমে দেহের অগ্রপ্রান্ত মোটা চওড়া হয়, পরে মাঝের অংশ এবং অবশেষে দেহের শেষ প্রান্ত মোটা ও চওড়া হয়। এইভাবে দেহের সংকোচন প্রসারণ-এর সাহায্যে গমনকে ইউগ্লিনয়েড গমন বলে। প্লাজমা পদরি নিচে অবস্থিত মায়োনিম তত্ত্ব এই প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।

Leave a Comment