দশম শ্রেণি জীবনবিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় জীবনের প্রবাহমানতা কোশ বিভাজন ও কোশচক্র ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর দ্বিতীয় পর্ব

সূচিপত্র

দশম শ্রেণি জীবনবিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় জীবনের প্রবাহমানতা কোশ বিভাজন ও কোশচক্র ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর দ্বিতীয় পর্ব
দশম শ্রেণি জীবনবিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় জীবনের প্রবাহমানতা কোশ বিভাজন ও কোশচক্র ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর দ্বিতীয় পর্ব

‘অস্থানিক পত্রজ মুকুল উদ্ভিদের প্রাকৃতিক অঙ্গজ বংশবিস্তারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে’-একটি উপযুক্ত উদাহরণের সাহায্যে বক্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ণ করো। 

পাতার কিনারায় মুকুল সৃষ্টি হলে তাকেই পত্রজ মুকুল বলে। এই সকল মুকুলের নিম্নাংশ থেকে অস্থানিক মূল সৃষ্টি হয়। এই অস্থানিক মূলসহ পত্রাশ্রয়ী মুকুল থেকে পাতা বিচ্ছিন্ন হয়। পত্রাশ্রয়ী মুকুল থেকে অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি হয় এবং বংশবিস্তার ঘটায়। যেমন- বিগোনিয়া ও পাথরকুচি প্রভৃতি।

স্পাইরোগাইরা ও প্ল্যানেরিয়া অযৌন জনন কোন্ কোন্ পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়?

স্পাইরোগাইরা খন্ডীভবনের মাধ্যমে ও প্ল্যানেরিয়া পুনরুৎপাদনের মাধ্যমে অযৌন জনন সম্পন্ন করে।

কোন্ কোন্ বাহক নীচের উদ্ভিদগুলিতে পরাগযোগ সম্পন্ন করে? 

ধান; পাঁতাঝাঁপি; শিমূল; আম ধান-বায়ু; পাঁতাঝাঁঝি-জল; শিমূল-পাখি; আম-পতঙ্গ।

একটি শৈবাল ও একটি নিডারিয়া পর্বভুক্ত প্রাণীর অযৌন জনন কীভাবে হয় তা লেখো।

স্পাইরোগাইরা নামক শৈবাল খন্ডীভবন পদ্ধতিতে অযৌন জনন সম্পন্ন করে। এদের দেহটি সূত্রাকার প্রকৃতির তাই দেহটি জলের আঘাতে প্রাণীর সাহায্যে বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক কারণে একাধিক খণ্ডে বিভক্ত হয় এবং পরবর্তীকালে কোশ বিভাজন পদ্ধতিতে প্রতিটি খন্ড আকারে বৃদ্ধি পায় এবং নতুন সূত্র গঠন করে।

অপরদিকে নিডারিয়া পর্বভুক্ত অযৌন জননকারী প্রাণী হল হাইড্রা। হাইড্রার কোশের বাইরে বা ভিতরে এককোশী ও বহুকোশী কোরক গঠিত হয় এবং পরিণত কোরক মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নতুন প্রাণী সৃষ্টি করে। এই পদ্ধতিকে কোরকোশম বা বাডিং ও বলা হয়।
স্বপরাগযোগের একটি সুবিধা একটি অসুবিধা লেখো।
স্বপরাগযোগের সুবিধা: স্বপরাগযোগের ফলে অধিক সংখ্যায় পরাগরেণুর প্রয়োজন হয় না ফলে পরাগরেণুর অপচয় কম হয়।

স্বপরাগযোগের অসুবিধা : নতুন বৈশিষ্ট্যযুক্ত অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি হয় না ফলে উন্নততর প্রজাতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

কোন্ গাছের পাতার কোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা 14 তার পরাগরেণু, পরাগরেণু মাতৃকোশ, ডিম্বাণু, সস্য নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোম সংখ্যা নির্ণয় করো।

পরাগরেণু n = 7, পরাগরেণু মাতৃকোশ 2n = 14, ডিম্বাণু n = 7, সস্য নিউক্লিয়াস 3n = 21

একটি উদ্ভিদের ক্রোমোজোম সংখ্যা 22 ওই উদ্ভিদটি পাতার কোশে, ভ্রুণ পোষক কলায় এবং ভ্রূণ কোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা কত হবে?

পাতার কোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা 2n = 22 হলে, ভূণ পোষক কলায় 3n = 33. ভ্রূণ কোশে 2n = 22।

পরাগযোগের বাহকের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।

সাধারণত স্বপরাগযোগের ক্ষেত্রে পরাগরেণু স্থানান্তরের জন্য কোনো বাহকের প্রয়োজন হয় না, কিন্তু ইতর পরাগযোগের ক্ষেত্রে বাহকের প্রয়োজন অবশ্যম্ভাবী। কারণ ইতর পরাগযোগের ক্ষেত্রে পরাগরেণু একটি ফুলের পরাগধানী থেকে অন্য উদ্ভিদের ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয়, বাহকের ভিন্নতার ওপর নির্ভর করে ফুলে পরাগরেণুর অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য এর তারতম্য ঘটে।

তোমার জানা একটি চ্যাপ্টা কৃমি ও একটি ছত্রাকের অযৌন জনন পদ্ধতি আলোচনা করো।

চ্যাপ্টা কৃমি পুনরুৎপাদন পদ্ধতিতে অযৌন জনন সম্পন্ন করে। এদের দেহ কোনোভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ডে বিভক্ত হলে প্রতিটি খণ্ডের কোশগুলি মাইটোসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয় এবং পুনরুৎপাদন পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ একটি নতুন চ্যাপ্টা কৃমির সৃষ্টি করে।

অযৌন জনন সম্পন্নকারী ছত্রাক হল মিউকর। মিউকরের দেহের নির্দিষ্ট অংশে উৎপন্ন রেণুর মাধ্যমে বংশবিস্তার ঘটে এদের দেহে থলির মতো একটা অংশে রেণু গঠিত হয় যাকে রেণুস্থলী বলা হয়। রেণুর গঠন পরিণত হলে রেনুগুলি রেণুস্থলীর কোশপ্রাচীর বিদীর্ণ করে বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং অনুকূল পরিবেশে অঙ্কুরিত হয়ে নতুন উদ্ভিদ দেহ সৃষ্টি করে।

জোড় কলম কীভাবে করা হয়?

দুটি একই প্রজাতির বা সমগোত্রীয় উদ্ভিদের কাণ্ড বা শাখা যাকে সিয়ন বলা হয় এবং অন্য একটি উদ্ভিদের মূল ও কান্ডের অংশকে স্টক বলা হয় এ দুটি উদ্ভিদের বাকল ক্যাম্বিয়াম কলা স্তর পর্যন্ত ছেঁচে জুড়ে দিয়ে উন্নত বৈশিষ্ট্যযুক্ত অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি করা হয়। এই পদ্ধতিকে জোড় কলম বা গ্রাফটিং বলা হয়। সাধারণত আম, পেয়ারা, লেবু গাছের জোড়কলম করা হয়।

স্বপরাগযোগ অপেক্ষা ইতর পরাগযোগ অধিক উন্নত, উক্তিটির যথার্থতা বিচার করো।

1. ইতর পরাগযোগের মাধ্যমে উৎপন্ন অপত্য উদ্ভিদগুলি অনেক বেশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাযুক্ত হয় এবং বিভিন্ন পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে যার ফলে অভিব্যক্তির পথ সুগম হয়।

2. ইতর পরাগযোগের মাধ্যমে ভিন্নধর্মী বৈশিষ্ট্যের মিলন ঘটে ফলে উৎপন্ন অপত্য নতুন বৈশিষ্ট্যযুক্ত হয় যার ফলস্বরূপ উদ্ভিদ উন্নত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ও উচ্চ ফলন সম্পন্ন হয়।

কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে মাইক্রোপ্রোপাগেশন ব্যবহার করা হয়?

নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে অণুবিস্তারণ বা মাইক্রোপ্রোপাগেশন ব্যবহার করা হয়:

(i) উন্নত বৈশিষ্ট্যযুক্ত উদ্ভিদের দ্রুত সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে।

(ii) রোগমুক্ত ও অধিক অভিযোজন ক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ভিদের ক্ষেত্রে।

(iii) কৃত্রিম বীজ উৎপাদন ও জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে।

(iv) একই গুণমানের বহুসংখ্যক উদ্ভিদ তৈরির ক্ষেত্রে।

অযৌন জনন এর একটি সুবিধা ও একটি অসুবিধা লেখ।

সুবিধা: অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অপত্য সৃষ্টি হয়। পতিতার

অসুবিধা: অযৌন জনন মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে ঘটার জন্য প্রকরণ বা ভেদ তৈরি হয় না।

জনন কাকে বলে?

যে জৈবিক পদ্ধতিতে জীব নিজ সত্ত্বা ও আকৃতিবিশিষ্ট অপত্য জীব সৃষ্টি করে এবং সংখ্যা বৃদ্ধির দ্বারা নিজস্ব বংশধারাকে অক্ষুণ্ণ রাখে, তাকে জনন বলে।

বায়ু পরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

ⅰ. পরাগরেণুগুলি হালকা ক্ষুদ্র ও মসৃণ হয় ফলে সহজেই বাতাসে ভেসে স্থানান্তরিত হতে পারে। ii. ফুলগুলি বর্ণহীন অনুজ্জ্বল ও গন্ধহীন হয়। iii. পরাগধানী লম্বা হয় এবং দলমণ্ডলের বাইরে অবস্থান করে।

পাতাঝাঁঝি ও পাতাশ্যাওলা ফুলের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

ⅰ. ফুলগুলি বর্ণহীন গন্ধহীন অনুজ্জ্বল ও ক্ষুদ্রাকৃতি ফুলগুলো হয়। ii. পুরুষ ও স্ত্রী পুষ্প ভিন্ন উদ্ভিদ জন্মায়, iii. উদ্ভিদের পরাগযোগ জলের উপর ভাসমান অবস্থান হয় তাই পরাগরেণু হালকা হয়।

ফুলের কোন্ কোন্ বৈশিষ্ট্যের জন্য পতঙ্গ ফুলের প্রতি আকৃষ্ট হয়?

পতঙ্গকে আকৃষ্ট করার জন্য ফুলগুলি- i. উজ্জ্বল বর্ণময় হয় দলমণ্ডল নানা বর্ণের হয়, ii. ফুলগুলি সুমিষ্ট গন্ধযুক্ত ও মকরন্দ যুক্ত হয়, iii. ফুলের পরাগ সুস্বাদু ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত হয়।

সাইজন্ট ও মেরোজয়েটের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করো।

ম্যালেরিয়া রোগ সৃষ্টিকারী আদ্যপ্রাণী প্লাসমোডিয়াম স্ত্রী এনোফিলিস মশকীর মাধ্যমে মানুষের লোহিত রক্ত কণিকায় প্রবেশ করে নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট গোলাকার আকার ধারণ করে সাইজন্ট গঠন করে। এই অবস্থায় সাইজন্ট এর নিউক্লিয়াসটি বারবার বিভাজিত মেরোজয়েট সৃষ্টি করে।

রেণুস্থলী, রেণু, রেণুপত্র, সোরাস এদের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করো।

অযৌন জননের একক হল রেণু। রেণুগুলির রেণুস্থলীর মধ্যে উৎপন্ন হয়। রেণুস্থলী গুচ্ছাকারে সোরাসের মধ্যে জন্মায়। সোরাস পত্রকের অঙ্গদেশ সারিবদ্ধভাবে জন্মায়। রেণুস্থলী সহ সমগ্র পাতাটিকে রেণুপত্র বলে। রেণুস্থলী মধ্যস্থ রেণু মাতৃকোষে থেকে মায়োসিস প্রক্রিয়ায় হ্যাপ্লয়েড রেণু সৃষ্টি করে।

জননের দুটি প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করো।

(ⅰ) জীবজগৎ জনন পদ্ধতির দ্বারা বংশধরদের উৎপত্তির মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখে। (ii) জননের মাধ্যমে জীব নিজ প্রজাতির সংখ্যা বৃদ্ধি করে।

অযৌন জনন কাকে বলে? 

যে জনন পদ্ধতিতে গ্যামেট উৎপাদন ছাড়াই জনিতৃ জীবের দেহকোশ বিভাজিত হয়ে অথবা রেণু সৃষ্টির মাধ্যমে অপত্য জীব সৃষ্টি হয় তাকে অযৌন জনন বলে।

দ্বিবিভাজন ও বহুবিভাজন প্রক্রিয়ায় জনন সম্পন্ন করে এমন একটি করে প্রাণীর উদাহরণ দাও।

দ্বিবিভাজন-অ্যামিবা, বহুবিভাজন-প্লাসমোডিয়াম।

রেণুর সাহায্যে বংশবিস্তার করে এমন দুটি উদ্ভিদের উদাহরণ দাও।

রেণুর সাহায্যে বংশবিস্তার করে- মিউকর, মস, ফার্ন ইত্যাদি।

কোরকোদাম প্রক্রিয়ায় জনন সম্পন্ন করে এমন একটি উদ্ভিদ ও প্রাণীর উদাহরণ দাও।

কোরকোঙ্গম পদ্ধতিতে জনন সম্পন্ন করে এমন একটি উদ্ভিদ হল- ইস্ট এবং প্রাণী হল-হাইড্রা।

রসালো মূল, খর্বধাবক এবং পাতার সাহায্যে অঙ্গজ জনন সম্পন্ন হয় এমন একটি করে উদ্ভিদের উদাহরণ দাও।

(i) রসালো মূল-মিষ্টি আলু। (ii) খর্বধাবক-কচুরিপানা। (iii) পাতা- পাথরকুচি, বিগোনিয়া।

পুনরুৎপাদন কী? কোন্ প্রাণীদেহে এই প্রক্রিয়া দেখা যায়?

জীবদেহের কাটা অংশ থেকে অপত্য জীব সৃষ্টি হওয়ার পদ্ধতিকে পুনরুৎপাদন বলে। যেমন-প্ল্যানেরিয়া।

কৃত্রিম পদ্ধতিতে উদ্ভিদের অঙ্গজ জনন হয় এমন দুটি পদ্ধতির উদাহরণসহ উল্লেখ করো।

কৃত্রিম অঙ্গজ জনন হল- (i) শাখা কলম-গোলাপ, (ii) জোড় কলম-আম গাছ।

সম্পূর্ণ ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে ফুলে চারটি স্তবক (বৃতি, দলমণ্ডল, পুংস্তবক, স্ত্রীস্তবক) উপস্থিত থাকে, তাকে সম্পূর্ণ ফুল বলে। যেমন-জবা অপরাজিতা, ধুতুরা।

অসম্পূর্ণ ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে ফুলে চারটি স্তবকের এক বা একাধিক স্তবক থাকে না তাদের। অসম্পূর্ণ ফুল বলে। যেমন-লাউ, কুমড়ো রজনিগন্ধা ইত্যাদি।

ফুলের পুংপ্রজননিক অংশ কোন্টি? এর অংশগুলি কী কী?

ফুলের পুংপ্রজননিক অংশ (পুংজনন অঙ্গ) হল পুংকেশর। পুংকেশরের অংশ দুটি হল- পরাগধানী ও পরাগদণ্ড।

ফুলের স্ত্রী প্রজননিক অংশ কোনটি? এর অংশগুলি কী কী?

ফুলের স্ত্রী প্রজননিক অংশ (স্ত্রীজনন অঙ্গ) হল গর্ভপত্র বা গর্ভকেশর। গর্ভপত্রের অংশগুলি হল-গর্ভমুণ্ড, গর্ভদণ্ড এবং গর্ভাশয়।

ভূণস্থলীর মধ্যে কটি এবং কী কী নিউক্লিয়াস থাকে?

ভ্রুণস্থলীতে ৪ টি নিউক্লিয়াস থাকে, ওপরের দিকে তিনটি (একটি ডিম্বাণু ও দুটি সহকারী কোশ), নীচের দিকে তিনটি প্রতিপাদ কোশ সমষ্টি এবং মাঝখানে দুটি নিউক্লিয়াস থাকে। মাঝখানের নিউক্লিয়াস দুটি পরস্পর মিলিত হয়ে একটি নির্ণীত নিউক্লিয়াস (2n) গঠন করে।

জাইগোট কাকে বলে?

পুংজনন কোশ ও স্ত্রীজনন কোশের মিলনে যে ডিপ্লয়েড কোশ (2n) হয় তাকে জাইগোট বা ভ্রুণাণু বলে।

গ্রাফটিং কাকে বলে? এটি কয়প্রকার ও কী কী?

যে প্রক্রিয়ায় একই প্রজাতিভুক্ত দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের শাখা জোড়া লাগানো হয়, তাকে গ্রাফটিং বলে।

এটি প্রধানত দুই প্রকার (a) সিয়ন গ্রাফটিং (b) বাড গ্রাফটিং।

মাইক্রোপ্রোপাগেশন কাকে বলে?

কোশ, কলা বা অঙ্গ পালন প্রকৌশল দ্বারা একাধিক উদ্ভিদ প্রজাতির বংশবিস্তার ঘটানো সম্ভব, এই পদ্ধতিকে মাইক্রোপ্রোপাগেশন বলে।

স্টক ও সিয়ন কী?

একটি উদ্ভিদের শাখা একই প্রজাতির অন্য একটি উদ্ভিদের শাখার সঙ্গে জোড়া লাগানো হয়। মূলসহ যে গাছটিতে অন্য গাছের শাখা জোড়া লাগানো হয় তাকে স্টক (Stock) এবং পাশের যে গাছটির শাখা স্টকের সঙ্গে জোড়া হয় তাকে সিয়ন (Scion) বলে।

কিছু উদ্ভিদের অঙ্গজ জনন আবশ্যিক কেন?

(i) কিছু উদ্ভিদ উন্নত মানের বীজ উৎপাদন করতে পারে না, (ii) এইসব উদ্ভিদ অঙ্গজ জননের সাহায্যে দ্রুত বংশবিস্তার করতে সক্ষম, তুলনামূলকভাবে বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে এরা সহজে অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি করতে পারে না, (iii) অনেক সময় বীজের সুপ্তাবস্থা ভাঙার জন্য শক্তি সরবরাহ করতে পারে না।

পলাশফুলের পরাগযোগের জন্য কী কী বৈশিষ্ট্য দেখা যায়?

(a) ফুলগুলি আকারে বড়ো এবং উজ্জ্বল বর্ণের হয়। (b) ফুলে মকরন্দ বর্তমান। (c) ফুলের পরাগধানীগুলি পাখির খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণসহ কোরকল্পম পদ্ধতি বর্ণনা করো।

(i) ইস্ট কোকোঙ্গম প্রক্রিয়ায় বংশবিস্তার করে। ইস্টের মাতৃকোশে এক বা একাধিক কোরক সৃষ্টি হয়। কোরকগুলি মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য ইস্ট গঠন করে। (ii) হাইড্রার দেহের বাইরের দিকে কোনো অংশ স্ফীত হয়ে কোরক সৃষ্টি করে। কোরকটি বড়ো হলে তার অগ্রভাগে মুখছিদ্র এবং মুখছিদ্রকে বেষ্টন করে কর্ষিকা সৃষ্টি হয়। কোরক মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য হাইড্রা সৃষ্টি করে।

Leave a Comment