আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রে জীববিদ্যার প্রয়োগ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দাও

আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রে জীববিদ্যার প্রয়োগ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দাও
আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রে জীববিদ্যার প্রয়োগ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দাও।
আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রে জীববিদ্যা রোগ নির্ণয়ে, রোগ নিরাময়ে ও রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

• রোগ নির্ণয়ে ভূমিকা :
রোগীর রক্ত, কফ, মলমূত্র প্রভৃতি অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করে রোগের জন্য দায়ী জীবাণুকে চিহ্নিত করা যায়। এ ছাড়া জ্বরের পরিমাণ নির্ণয়ে থার্মোমিটার; রক্তের চাপ নির্ণয়ে স্ফিগমোম্যানোমিটার; হৃৎপিন্ডের অবস্থা নির্ণয়ে ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফ; মস্তিষ্ক, সুষুম্নাকান্ড, অস্থিসন্ধি প্রভৃতি অঙ্গের গঠনগত ত্রুটি ও রোগ নির্ণয়ে- MRI প্রভৃতি ব্যবহৃত হয়।

• রোগ নিরাময়ে ভূমিকা:
আধুনিক জীববিদ্যার সাহায্যে রোগ নিরাময় খুবই সহজসাধ্য হয়ে উঠেছে। ম্যালেরিয়া, উচ্চরক্তচাপ, নিউমোনিয়া প্রভৃতি রোগের চিকিৎসার জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈরি অ্যান্টিবায়োটিক, ভ্যাকসিন প্রভৃতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ক্যানসার রোগ নিরাময়ে রেডিয়াম থেরাপি, কেমোথেরাপি, লেজার থেরাপি; দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিস্থাপন প্রভৃতিও সহজেই করা সম্ভব হয়েছে।

• রোগ প্রতিকারে জীববিদ্যার প্রয়োগ: ড. জেনারের আবিষ্কৃত বসন্ত রোগের টিকা, লুই পাস্তুর আবিষ্কৃত জলাতঙ্কের টিকা বহু মানুষকে মারণরোগের হাত থেকে রক্ষা করেছে। বর্তমানে পৃথিবী থেকে পোলিয়ো নির্মূলকরণে পালস পোলিয়ো টিকাকরণ প্রভূত সাফল্য পেয়েছে।

• বংশগত রোগ নির্ণয়ে জীববিদ্যার ভূমিকা : অ্যালক্যাপটোনিউরিয়া, অ্যালবিনিজম, হিমোফিলিয়া, বর্ণান্ধতা প্রভৃতি রোগ নির্ণয়ে জেনেটিক্সের জ্ঞান প্রয়োগ করা হয়।

Leave a Comment