শিল্পক্ষেত্রে জীববিদ্যার ভূমিকা সংক্ষেপে আলোচনা করো। |
• বস্ত্র শিল্প (Textile Industry) : সংকরায়ণ পদ্ধতিতে তৈরি অধিক ফলনশীল তুলো, পাট প্রভৃতি এবং রেশমতত্ত্ব ও পশম বস্ত্রশিল্পে প্রভূত উন্নতি ঘটিয়েছে।
• কাগজ শিল্প (Paper Industry): বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ যেমন- বাঁশ, ঘাস, খড়, পাটকাঠি, আখের ছিবড়ে প্রভৃতি থেকে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে কাগজ তৈরি করা হচ্ছে।
• কাঠশিল্প (Wood Industry): শাল, বাদাম, জারুল, গামার, হলক, সেগুন, পাইন প্রভৃতি গাছ থেকে স্লিপার, দরজা, জানালা, প্লাইউড প্রভৃতি তৈরির কাঠ পাওয়া যায়। বর্তমানে অণুবিস্তার পদ্ধতিতে এই সমস্ত উদ্ভিদের সংখ্যা অনেকাংশে বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।
• চা-শিল্প (Tea Industry): চা শিল্পে ব্যাসিলাস মেগাথেরিয়াম (Bacillus megatherium) নামক ব্যাকটেরিয়া প্রয়োগ করে স্বাদ ও গন্ধের উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
• চর্মশিল্প (Leather Industry): বিভিন্ন জীবাণু ও ছত্রাক ব্যবহার করে চর্মশিল্পের প্রভূত উন্নতি ঘটানো হয়েছে। এক্ষেত্রে জীবাণু নিঃসৃত প্রোটিয়েজ উৎসেচক চামড়াকে ট্যান করতে সাহায্য করে।
• রবার শিল্প (Rubber Industry): হিভিয়া ব্রাসিলিয়েনসিস নামক রবারগাছ থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে রবার উৎপাদন ঘটিয়ে রবার শিল্পের প্রভূত উন্নতি করা হয়েছে।