মাইটোসিসের প্রফেজ দশার চিত্রসহ বৈশিষ্ট্য লেখো। |
প্রফেজ (Prophase)
(i) এই দশায় ক্রোমাটিন সূত্রগুলি জল বিয়োজন ঘটিয়ে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে।
(ii) ক্রোমাটিন সূত্রগুলি কুণ্ডলীকৃত হয়ে ক্রমশ ছোটো ও মোটা হয় এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমোজোম সৃষ্টি করে।
(iii) প্রতিটি ক্রোমোজোম সেন্ট্রোমিয়ার অঞ্চল ছাড়া লম্বালম্বিভাবে বিভাজিত হয়ে দুটি করে ক্রোমাটিড গঠন করে। ক্রোমাটিডদ্বয় পরস্পর সেন্ট্রোমিয়ার অঞ্চলে সংলগ্ন থাকে।
(iv) প্রতিটি ক্রোমোজোমের ক্রোমাটিডদ্বয় পরস্পরকে নিবিড়ভাবে পেঁচিয়ে অবস্থান করে। প্যাঁচানো অবস্থাকে প্লেক্টোনেমিক কুণ্ডলী (plectonemic coil) এবং প্যাঁচানো পদ্ধতিকে স্পাইরাইলেজেশন (spirilazation) বলে।
(v) প্রফেজ দশা চলাকালীন নিউক্লিওলাসটি আকারে ক্রমশ ছোটো হতে থাকে এবং শেষের দিকে পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়।
(vi) প্রফেজের শেষের দিকে নিউক্লিয় পর্দার বিলুপ্তি ঘটে। প্রাণীদের ক্ষেত্রে সেন্ট্রোজোমের সেন্ট্রিওল দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি সেন্ট্রিওল গঠন করে এবং নিউক্লিয়াসের দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে। নতুন সেন্ট্রিওলকে ঘিরে অ্যাস্ট্রাল রশ্মির (astral rays) আবির্ভাব ঘটে। উভয় প্রান্তের অ্যাস্ট্রাল রশ্মি পরস্পর জোড়া লেগে বেমতত্ত্ব (spindle fibre) গঠন করে।