পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে জীববিদ্যার ভূমিকা আলোচনা করো। |
• বায়ুদূষণ রোধে : প্রচুর গাছপালা লাগানো, বনমহোৎসব, অরণ্য সপ্তাহ প্রভৃতি কর্মসূচি পালন করা হয়। গাছ দূষিত কার্বন ডাইঅক্সাইডকে বাতাস থেকে টেনে নিয়ে এবং বিশুদ্ধ অক্সিজেন বাতাসে ত্যাগ করে বায়ুকে অনেকাংশে দূষণমুক্ত রাখে।
জলদূষণ রোধে: বিভিন্ন প্রকার শৈবাল মুখ্য ভূমিকা পালন করে। যেমন- (i) শৈবাল খর জল থেকে কার্বনেট, বাইকার্বনেট শোষণ করে তা ব্যবহারের উপযুক্ত করে তোলে। (ii) কচুরিপানা নোংরা দূষিত জল থেকে ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, সালফেট, কোবাল্ট, নিকেল, লেড ও মার্কারির মতো ভারী ধাতু শোষণ করে জলকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। (iii) কিছু কিছু ছত্রাকের (যেমন-পেনিসিলিয়াম) দেহনিঃসৃত অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতিতে জলাধারের চারপাশে ক্ষতিকারক ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না। (iv) সিউডোমোনাস ব্যাকটেরিয়া সমুদ্রের জলে ভাসমান তৈলবিন্দুকে বিশ্লিষ্ট করে জলকে দূষণমুক্ত রাখে এবং এর দ্বারা সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায়।
• মৃত্তিকা দূষণ রোধে: বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক ব্যবহৃত হয়। এরা মাটিতে বর্তমান বিভিন্ন জটিল জৈব যৌগকে বিয়োজিত করে সরল উপাদানে পরিণত করে। ফলে মাটির উপাদানের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত হয়।