চিত্রসহ উদ্ভিদ ও প্রাণী কোশের সাইটোকাইনেসিস পদ্ধতিটি বর্ণনা করো। |
সংজ্ঞা
যে প্রক্রিয়ায় বিভাজনরত দুটি কোশের সাইটোপ্লাজম বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াসকে বেষ্টন করে থাকে, তাকে সাইটোকাইনেসিস বলে।
উদ্ভিদকোশের ক্ষেত্রে: নিউক্লিয়াস বিভাজনে টেলোফেজ চলাকালীন বেমের বিষুব অঞ্চলের মাঝবরাবর মাইক্রোফিলামেন্ট নামক সূক্ষ্ম তন্তু গুচ্ছাকারে জমা হয়ে ফ্রাগমোপ্লাস্ট গঠন করে, যা গলগি ভেসিকল-এর সঙ্গে মিলিত হয়ে কোশপাত বা সেলপ্লেট (cell plate) গঠন করে। এই সেলপ্লেটের দু-পাশে অন্যান্য বস্তু জমা হয়ে কোশপ্রাচীর গঠিত হয়। ফলে সাইটোপ্লাজম বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্য কোশ গঠন করে।
প্রাণীকোশের ক্ষেত্রে: প্রাণীকোশে ক্লিভেজ পদ্ধতিতে সাইটোপ্লাজম বিভাজিত হয়। কোশের মাঝবরাবর অঞ্চলের দু-পাশ থেকে কোশপর্দা সংকুচিত হয়ে একটি ভাঁজ (furrow) গঠিত হয়। বিপরীত প্রান্তের কোশপর্দার ভাঁজ ক্রমশ ভিতরের দিকে বিস্তৃত হয়ে পরস্পরের সঙ্গে সংলগ্ন হয়ে কোশের সাইটোপ্লাজমকে দুটি সমান অংশ ভাগ করে।