আরে সব সময়ে কি aesthetic দিক দেখলেই চলে? Box office বলেও তো একটা কথা আছে -কে, কাকে বলেছে? বক্তার এ কথা বলার কারণ কী |
“আরে সব সময়ে কি aesthetic দিক দেখলেই চলে? Box office বলেও তো একটা কথা আছে?”-কে, কাকে বলেছে? বক্তার এ কথা বলার কারণ কী? |
বক্তা, উদ্দিষ্ট
সমাজসচেতন নাট্যকার শম্ভু মিত্র রচিত ‘বিভাব’ নাটকে দর্শকের চোখের আড়ালে থাকা হারমোনিয়ামবাদক অভিনেতা শম্ভুর প্রতি উপরোক্ত উক্তিটি করেছে।
কারণ
Aesthetic শব্দের অর্থ নান্দনিক। এই শব্দের মধ্য দিয়ে শিল্প, সাহিত্য অথবা অভিনয়ের সৌন্দর্য নির্দেশিত হয়। নিপুণ শৈল্পিক সৌন্দর্য দর্শকের মনে আলোড়ন তোলে এবং দীর্ঘস্থায়ী গভীর প্রভাব বিস্তার করে। হালকা চটুল বিষয়ের মতো ক্ষণিকের আবেদনে তা মনকে আলোড়িত করে মিলিয়ে যায় না। তাই অনেকক্ষেত্রেই Aesthetic অভিনয় শিল্পগুণান্বিত হয়েও বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হয় না। আবার অনেকসময়, হালকা চিত্তাকর্ষক কাহিনি নান্দনিক না হয়েও বক্স অফিসে সফলতা লাভ করে। ‘বিভাব’ নাটকে নায়িকারূপী বৌদির লভ সিনের অভিনয়ে নায়কের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার মুহূর্তে দর্শকদের মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে ন্যাকামির ভঙ্গিতে রবি ঠাকুরের ‘মালতী লতা দোলে’ গানটি বেজে ওঠে। রবীন্দ্রসংগীতের এই বিকৃত গায়কি দেখে শম্ভু প্রতিবাদ করলে হারমোনিয়ামবাদক জানায়, সবসময় শিল্পসৌন্দর্যের দিকে নজর দিলে তা চিত্তাকর্ষক নাও হতে পারে; তাই বাণিজ্যিক সফলতার জন্য কখনো-কখনো শিল্পের বিকৃতি ঘটানোর প্রয়োজন পড়ে। আসলে এই উক্তির মধ্য দিয়ে প্রথাগত শিল্পনৈপুণ্যের সঙ্গে জনপ্রিয়তার এক বিপরীত সম্পর্কই ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন – শৈশবের স্মৃতি রচনা