‘আমাদের ঘর গেছে উড়ে’-এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের ঘর উড়ে গেছে কেন? |
উদ্দিষ্ট
উদ্ধৃতাংশটি শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘জলই পাষাণ হয়ে আছে’ কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতার অন্তর্গত। ২০০৩ সালে গুজরাটের দাঙ্গাবিধ্বস্ত, বিপন্ন ভারতবাসীর কথা উদ্ধৃত অংশে উল্লেখ করা হয়েছে।
কারণ
ভারতবর্ষের ইতিহাসে ২০০৩ সাল কালিমালিপ্ত। ধর্মীয় কারণে মানুষে মানুষে বিভেদ আর হিংসার বীজ এত গভীরে ছড়িয়ে পড়েছিল যে, নৃশংসতার চরম পর্যায়ে গিয়ে মানুষ মানুষকে নির্দ্বিধায় হত্যা করে। মানবতার চরম বিপর্যয় সেইসময়কে বিপর্যস্ত করেছিল। মানুষ স্বাভাবিকভাবেই এমন হিংস্র, পাশবিকতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দিশাহীন হয়ে যায়। যেন তার ডানপাশে ধস আর বাঁয়ে গিরিখাদ। এমন সমূহ সংকটে মানুষ তার পা রাখার জায়গাটুকু হারিয়ে ফেলে, চরম অস্তিত্ব সংকট দেখা দেয়। সারাক্ষণ মাথার উপর বোমারু বিমানের সতর্ক পাহারা যেন ত্রস্ত করে রাখে চারপাশ। ধর্মীয় ভেদনীতি মানুষের ঐতিহ্য ভুলিয়ে দেয়। তাই ভারতবর্ষের সর্বধর্মসমন্বয়ের গৌরব সেইসময় অপমানিত হয়। শিকড় থেকে উৎক্ষিপ্ত মানুষ তার আশ্রয় হারায়। ভারতবাসীর এই সংকটময় পরিস্থিতিকেই উদ্ধৃতাংশে নির্দেশ করা হয়েছে।