‘যেখানে ছিল শহর/সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা’-‘অসুখী একজন’ কবিতা অবলম্বনে শহরের এই পরিণতি কীভাবে হল লেখো। |
স্থান
পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতার কথক গৃহযুদ্ধের অনিবার্য কারণে নিজের দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তিনি আর ফিরতে পারেননি। তার ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনেছে দরজায় দাঁড়ানো সেই মেয়েটি। কয়েকবছর পর ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হল। যেখানে একসময় প্রাণচঞ্চল শহর ছিল, সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা।
দৃশ্যবস্তু
সেখানে ছড়িয়ে পড়ে রইল দোমড়ানো লোহা, মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা, রক্তের কালো দাগ। আর সেই অপেক্ষারত মেয়েটিকেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল।
নেপথ্য কারণ
এই ঘটনার নেপথ্য কারণটি হল ভয়ংকর যুদ্ধের বীভৎসতা। যুদ্ধ যখন দেখা দিল তখন মানুষের জীবনে রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড় যেন ভেঙে পড়ল। সমতল জুড়ে আগুন লেগে গেল, খুন হল শিশু আর বাড়িরা। অর্থাৎ মানুষের আশ্রয় ও প্রাণ, বস্তুজগৎ ও প্রাণীজগৎ ছারখার হয়ে গেল। শহর জুড়ে পড়ে থাকা দোমড়ানো লোহা, রক্তের কালো দাগ যুদ্ধের প্রবল ধ্বংসাত্মক দিককেই নির্দেশ করে। যুদ্ধবাজ সাম্রাজ্যবাদীরা যতই ধ্বংসের পরিবেশ রচনা করুক, ধ্বংসস্তূপের উপর জেগে রইল মৃত্যুহীন মানবতার প্রতীক অপেক্ষারত সেই মেয়েটি।