‘সেই মেয়েটির মৃত্যু হলো না।’-মেয়েটির পরিচয় দাও। মেয়েটির মৃত্যু হতে পারত কেন? তার মৃত্যু না হওয়ার মধ্য দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? |
মেয়েটির পরিচয়
মৃত্যুর সম্ভাবনা
কথকের ভালোবাসার মেয়েটির মৃত্যু হতে পারত, কারণ কয়েক বছরের মধ্যে ভয়ংকর যুদ্ধ বাঁধল। সেই যুদ্ধে ‘শিশু আর বাড়িরা খুন হলো।’ সমস্ত সমতলে ছড়িয়ে পড়ল যুদ্ধের আগুন। অসংখ্য প্রাণ আর বাড়িঘরের বিনাশ ঘটল। এমন প্রাণঘাতী যুদ্ধের পরিণামে যে-কোনো মুহূর্তে সেই মেয়েটিরও মৃত্যু হতে পারত।
মৃত্যু না হওয়ার তাৎপর্য
তার মৃত্যু না হওয়ার মধ্য দিয়ে কবি অদম্য জীবন-এষণা এবং মৃত্যুহীন মানবতার কথা বলতে চেয়েছেন। কারণ সেই মেয়েটি শুধু দরজায় কথকের প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী নয়-সে কথকের স্বদেশ ও মানবতার প্রতীক। যুদ্ধ যত ভয়ংকরই হোক, সে মানুষের আশা-বিশ্বাস-ভালোবাসাকে নির্মূল করে দিতে পারে না। ধ্বংসস্তূপের উপরে আবার জীবন জেগে ওঠে। স্বদেশপ্রেম আর মানবতার কখনও মৃত্যু হয় না। তার বেঁচে থাকার মধ্য দিয়ে গৃহযুদ্ধের শেষে নতুন দিনবদলের স্বপ্ন বেঁচে থাকে। তাই মেয়েটির মৃত্যু না হওয়ার মধ্য দিয়ে কবি জীবনের শাশ্বত-সুন্দর রূপ প্রকাশ করতে চেয়েছেন।