শিক্ষকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন’ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দুই ছাত্রের মধ্যে সংলাপ রচনা |
দীপাংশ : কী রে অরুণোদয়, মুখ অন্ধকার করে এখানে চুপচাপ বসে আছিস যে?
অরুণোদয়: মনটা বড়ো খারাপ হয়ে আছে রে!
দীপ্তাংশু : কেন, মনের আবার হঠাৎ কী হল? বাবার কাছে পড়া নিয়ে বকা খেয়েছিস নির্ঘাত?
অরুণোদয় : না রে, সেসব কিছু না। গতকাল বিকেলে একটা খবর শোনার পর থেকে মনটা বড়ো খারাপ হয়ে আছে।
দীপ্তাংশ : কোনো খারাপ খবর?
অরুণোদয়: খারাপ খবর তো অবশ্যই। তুই শুনলে তোরও খারাপ লাগবে। আমাদের স্কুলে গেছিস কখনও?
দীপ্তাংশ: হ্যাঁ, গেছি তো। এইটে থাকতে একবার গেছিলাম না তোদের স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের সময়? তুই ভুলে যেতে পারিস, দ্বীপ্তাংশু মিত্তির সহজে ভোলে না।
অরুণোদয় : তাহলে বোধহয় স্বাধীন স্যারকে দেখেছিস। আমাদের ইতিহাসের স্যার। খুব ভালো মানুষ জানিস? ভালো পড়ানও। সবার সঙ্গে বন্ধুর মতো মেশেন। একেবারে আদর্শ শিক্ষক যাকে বলে। সেই মানুষটাকে এগারো ক্লাসের একটা ছেলের বাড়ির লোকেরা রাস্তায় ফেলে কিল-চড়-লাথি মেরেছে। স্যার এখন হসপিটালে ভরতি।
দীপ্তাংশ : ও মা সে কী, মারল কেন?
অরুণোদয়: স্যার যখন পড়াচ্ছিলেন, ছেলেটা তখন ক্লাসে বসে মোবাইলে গান শুনছিল। স্যার তাই ছেলেটার মোবাইল কেড়ে রেখে বলেছিলেন বাবাকে এসে নিয়ে যেতে। এই তাঁর অপরাধ।
দীপ্তাংশ : ছি ছি। যারা এ কাজ করেছে, তারা কি মানুষ? আমার তো মনে হয় আদিম মানুষের চেয়েও তারা অসভ্য, বর্বর। আমার বাবা কী বলেন জানিস? যারা শিক্ষকদের সম্মান করতে জানে না, তারা পশুরও অধম। এই পৃথিবী তাদের জন্য নয়।
অরুণোদয় : ঠিক, একদম ঠিক বলেছেন তোর বাবা।