মনোময়বাবু : কী গো পরমেশ, বাজার হয়ে গেল?
পরমেশবাবু : ওই হল আর কী।
মনোময়বাবু : কিন্তু ব্যাগ যে খালিখালি। তাও আবার দেখছি একটাই ব্যাগ।
পরমেশবাবু : কী করব বলুন দাদা, বাজারদাম যে সবকিছুরই চড়া। তরিতরকারিতে হাত দেওয়ার জো নেই। যেন আগুন। মুদি দোকানে ঢুকব কী, সামান্য কিছু কিনতে গেলেই সুড়ৎ করে পাঁচ-সাতশো বেরিয়ে যায়। সকালের বাজারে আজকাল শ’দুয়েকেও কুলোচ্ছে না। ও ক’টা টাকায় একটা ব্যাগই এখন ভরে না তো দুটো ব্যাগ নিয়ে কী করব বলুন?
মনোময়বাবু : তা যা বলেছ ভাই। আমি নিজে বাজার করি না ঠিকই, কিন্তু বাজারদর কিছু কিছু তো জানি। বাজার করে ফিরে এসে ছেলে বলে তো সব। বেগুন নাকি তিরিশ-চল্লিশ, পেঁয়াজ পঞ্চাশ-ষাট, আলু কুড়ি, লঙ্কা দশ টাকা শ, রসুন তিনশো টাকা কেজি। আবার মুদি দোকানে মুসুরির ডাল একশো দশ, মুগ একশো ষাট, সরষের তেল একশো পনেরো, চাল চল্লিশ ছুঁইছুঁই-
পরমেশবাবু : বাহ, আপনি তো দেখছি অনেক খোঁজ খবরই রাখেন মনোময়দা।
মনোময়বাবু : বলছ?
পরমেশবাবু : অবশ্যই। তবে কী জানেন, দামগুলো আর ওই জায়গায় পড়ে নেই। ক্রমশও বাড়ছে। মাছের দামও আকাশ ছোঁয়া। সাধারণ মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে বলুন দেখি?
মনোময়বাবু : ঠিক, একদম ঠিক। সরকারের পক্ষ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। তবে যদি কিছু হয়।