ভোজ্য তেল, খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ ইত্যাদিতে ভেজাল নিয়ে দুই নাগরিকের মধ্যে সংলাপ রচনা

ভোজ্য তেল, খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ ইত্যাদিতে ভেজাল নিয়ে দুই নাগরিকের মধ্যে সংলাপ রচনা
ভোজ্য তেল, খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ ইত্যাদিতে ভেজাল নিয়ে দুই নাগরিকের মধ্যে সংলাপ রচনা

মানসবাবু : নাহ, সত্যিই আর পারা যাচ্ছে না ধীমানবাবু, এই ভেজালের যুগে সাধারণ মানুষ কী করে বেঁচে থাকবে বলুন তো?

ধীমানবাবু :
তা যা বলেছেন। এখন তো খাবার তেলে ভেজাল, ওষুধেও ভেজাল। খাদ্যদ্রব্যের ভেজালের কথা তো সবাই জানে। ভেজাল খেয়ে খেয়েই রোগব্যাধিতে ভুগে ভুগে মারা যাচ্ছে মানুষজন। তবু যদি প্রশাসনের টনক নড়ে। 


মানসবাবু : টনক নড়বে কোথেকে? স্বাধীনতার পর এতগুলো বছর কেটে গেল। তবু আমরা নাগরিকরা গলা উচিয়ে একবারও কি বলতে পেরেছি, আমরা মোটেই ভেজাল খাব না?

ধীমানবাবু :
আর সরকারের সদিচ্ছা? তার অভাব নেই?

মানসবাবু :
সরকারের সদিচ্ছার অভাব আছে না বলে পরিকল্পনার অভাব আছে বলুন। আসলে স্বাধীনতার পরে কতই তো সরকার বদল হল, কোনো সরকারই ঠিকভাবে ভেজাল প্রতিরোধের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি। তাই এই অবস্থা। সেকারণেই ভেজালে ছেঁয়ে যাচ্ছে সব। এখন তো আবার সবকিছুতেই বাড়াবাড়ি। কিন্তু এভাবে তো আর বেশি দিন চলতে পারে না। ভাবছি কলকাতা হাইকোর্টে এ নিয়ে একটা জনস্বার্থ মামলা করব। এ ব্যাপারে আপনার কী মত?

ধীমানবাবু :
তাতে যদি কাজের কাজ কিছু হবে ভাবেন, তো বলব অবশ্যই করুন। সফল হলে দেখবেন সাধারণ মানুষ দুহাত তুলে তখন মানস বিশ্বাসকে আশীর্বাদ জানাচ্ছে।

Leave a Comment