শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিং’ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিং' বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিং’ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা

বাসব : কী রে শোভন, শুনলাম মাধ্যমিক পাশের পর তুই নাকি আর বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করবি না, হস্টেলে চলে যাবি?

শোভন :
হ্যাঁ, সেরকমই ঠিক হয়ে আছে। বাবা রাজি, দাদুও রাজি, শুধু মা একটু গাঁইগুই করছে। মার ভয় ওখানে যদি বড়োরা আমার ওপরে র‍্যাগিং করে।

বাসব : তা তোর মা কিন্তু একেবারে ভুল বলেনি। আজকাল র‍্যাগিং নিয়ে যেসব কাণ্ড শোনা যায়, সেটাই তো ভয় পাওয়ার কাছে যথেষ্ট। আমাদের পাড়ার একটা ছেলে তো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়ে র‍্যাগিং-এর শিকার হয়ে মারাই গেছে। শুনেছি র‍্যাগিং-এ নাকি মারাত্মক সব কান্ড ঘটায় ওপরের ক্লাসের দাদারা। 

শোভন : কীরকম? 

বাসব : যেমন ধর মারধোর করা, কান ধরে উঠবোস করানো, জলন্ত সিগারেটের ছেঁকা দেওয়া, গরম স্টোভের ওপরে বসিয়ে দেওয়া, বরফজলের মধ্যে সারারাত ধরে গলা পর্যন্ত চুবিয়ে রাখা, নিজের বর্জ্যপদার্থ খেতে বাধ্য করা, ছাদ থেকে নীচে লাফ দিতে বাধ্য করা এরকম অনেক ঘটনাই ঘটায় তারা।

শোভন : বাপরে, সে তো সাংঘাতিক কষ্ট।

বাসব :
কষ্ট তো বটেই। সবাই তা সহ্য করতেও পারে না। কেউ হাসপাতালে ভরতি হয়, কেউ আবার মারাও যায়। যেমন মারা গেছে আমাদের পাড়ার ছেলেটা।

শোভন :
থানায় কেস করে বন্ধ করা যায় না ওসব?

বাসব :
কেস কি কেউ করে না? নিশ্চয় করে। তবু তো বন্ধ করা যায়নি এখনও। আসলে র‍্যাগিং হল একটা বিকৃত মানসিকতার ফসল। আইন করে ওসব বন্ধ করা যায় না। তা বলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিং চলে, তা কিন্তু না।

শোভন :
বলছিস?

বাসব : নিশ্চয়।

শোভন : একদিন তাহলে আমাদের বাড়িতে আয় দেখি তুই। ফার্স্ট বয় বাসব চক্রবর্তীর মুখ দিয়ে শুনলে মা নিশ্চয় একটু ভরসা পাবে।

Leave a Comment