“ইলিয়াসের সম্পত্তিতে টান পড়ল”— ইলিয়াসের সম্পত্তিতে টান পড়েছিল কেন? |
আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে ‘সে’ বলতে লিও তলস্তয়ের লেখা ‘ইলিয়াস’ গল্পের অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র ইলিয়াসের কথা বলা হয়েছে।
ইলিয়াসের জীবনের প্রথমদিকটা খুব একটা সুখের ছিল না। প্রচুর পরিশ্রমের ফলে তার জীবনে সাফল্য এসেছিল। কিন্তু ধনী হওয়ার পরপরই তার ছেলেরা আয়েশি হয়ে পড়ল। বড়ো ছেলেটি মারামারি করে মারা গেল। ছোটো ছেলেটি কলহ পরায়ণ বউ এনে বাপের আদেশ অমান্য করতে শুরু করল। ফলে ইলিয়াস একটি বাড়ি ও কিছু গরু-ঘোড়া দিয়ে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিল। এরপর থেকেই ইলিয়াসের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করল। ফলে তার সম্পত্তিতে টান পড়ে। পরের বছরই তার ভেড়ার পালে মড়ক লেগে বেশকিছু ভেড়া মারা যায়। এর কিছুদিন পরে দুর্ভিক্ষে খড় না পেয়ে অনেক গরু-মোষ মারা যায়। কিরবিজরা সবথেকে ভালো ঘোড়াগুলি চুরি করে নিয়ে যায়। ক্রমশ ইলিয়াসের শরীরে জোরও কমে যেতে থাকে। বাধ্য হয়ে সে নিজের পশমের কোট, কম্বল, ঘোড়ার জিন ও গৃহপালিত পশুগুলিকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। আর্থিক দুরাবস্থা চরম আকার ধারণ করলে ইলিয়াস সর্বহারা হয়ে পড়েছিল।
অবশেষে প্রতিবেশী ভালোমানুষ মহম্মদ শা নিঃস ইলিয়াসের অবস্থা দেখে নিজের বাড়িতে ভাড়াটে মজুরের কাজের বিনিময়ে সম্মানজনকভাবে আশ্রয় দেয়। ইলিয়াস দম্পতিও তাদের কাজে নিজেদের উজাড় করে দেয়। বাকি সময়টা ঈশ্বর সাধনায় মগ্ন থাকে।
অবশেষে প্রতিবেশী ভালোমানুষ মহম্মদ শা নিঃস ইলিয়াসের অবস্থা দেখে নিজের বাড়িতে ভাড়াটে মজুরের কাজের বিনিময়ে সম্মানজনকভাবে আশ্রয় দেয়। ইলিয়াস দম্পতিও তাদের কাজে নিজেদের উজাড় করে দেয়। বাকি সময়টা ঈশ্বর সাধনায় মগ্ন থাকে।