অঙ্কুর: অরণ্য, আমরা যারা রবীন্দ্রসংগীতের শ্রোতা, তাদের বোধহয় দুর্দিন আসতে চলেছে। কারণ কপিরাইট উঠে যাওয়ার পর যে যেমন করে পারে রবীন্দ্রসংগীত শোনাবে।
অরণ্য: আমরা সংবেদশীল মনের মানুষ। আমাদের অন্তরে রবীন্দ্রনাথের গান প্রথম থেকেই একটা স্থান করে নিয়েছে। সে গ্রহণীয়তার ভালোবাসা অটুট। তাকে অত সহজে বদলে নান্দনিকতাকে নষ্ট করা যাবে না।
অঙ্কুর: কিন্তু আমার তো মনে হয় মানুষ এবার রবীন্দ্রনাথের গানকে বারোয়ারি শখের গান বা বিনোদনের গান হিসেবে ধরে নেবে।
অঙ্কুর: কিন্তু আমার তো মনে হয় মানুষ এবার রবীন্দ্রনাথের গানকে বারোয়ারি শখের গান বা বিনোদনের গান হিসেবে ধরে নেবে।
অরণ্য: কোনো মার্গসংগীতই বারোয়ারি গান হতে পারে না। তার গীতপ্রকরণ সুনির্দিষ্ট, তার সুর যথাযথ গ্রন্থিত, তার প্রকাশভঙ্গি বা গায়কি প্রতিষ্ঠিত। রবীন্দ্রনাথের গানও তাই।
অঙ্কুর: আমার মনে হয় রবীন্দ্রসংগীতকে আধুনিক করার কথা বলে সুরের পরিবর্তন ঘটানো হবে। গানের ভাবের চাইতে ভঙ্গিকে প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে। তার ফলে শ্রোতারা অন্যরকম রবীন্দ্রসংগীতে মেতে উঠতে পারে।
অরণ্য: ইচ্ছামতো রবীন্দ্রনাথের গান গাইবার অধিকার আমাদের নেই। কপিরাইট থাকতেও অনেক শিল্পী হরেকরকম ভঙ্গি ব্যবহার করেছেন। কিন্তু হেরফের কিছু করা যায়নি। বাইরের দু-চারটে ঝড়ঝাপটা সহ্য করে সবরকমের আঘাত উপেক্ষা করার মতো শক্তি রবীন্দ্রনাথের গানে আছে।
অঙ্কুর: একদল মানুষ রবীন্দ্রসংগীতের সুর এবং পরিবেশন ভঙ্গির আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে নিজেদের পছন্দসই করে নিতে পারেন। কারণ তাতে তাদের ব্যাবসায়িক স্বার্থ চরিতার্থ হবে।
অরণ্য : আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তা তারা পারবে না। একশো বছর কবে পেরিয়ে গেছে। দুটো সহজ সুরের হালকা গানই তো দুটো রাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত। এই দুটি গানের স্বরলিপিতে সুরের উল্লেখ নেই। তবু গান দুটি কবির মৌল শিল্পকর্ম হিসেবে আজও স্বতঃস্ফূর্ত।
অরণ্য: ইচ্ছামতো রবীন্দ্রনাথের গান গাইবার অধিকার আমাদের নেই। কপিরাইট থাকতেও অনেক শিল্পী হরেকরকম ভঙ্গি ব্যবহার করেছেন। কিন্তু হেরফের কিছু করা যায়নি। বাইরের দু-চারটে ঝড়ঝাপটা সহ্য করে সবরকমের আঘাত উপেক্ষা করার মতো শক্তি রবীন্দ্রনাথের গানে আছে।
অঙ্কুর: একদল মানুষ রবীন্দ্রসংগীতের সুর এবং পরিবেশন ভঙ্গির আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে নিজেদের পছন্দসই করে নিতে পারেন। কারণ তাতে তাদের ব্যাবসায়িক স্বার্থ চরিতার্থ হবে।
অরণ্য : আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তা তারা পারবে না। একশো বছর কবে পেরিয়ে গেছে। দুটো সহজ সুরের হালকা গানই তো দুটো রাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত। এই দুটি গানের স্বরলিপিতে সুরের উল্লেখ নেই। তবু গান দুটি কবির মৌল শিল্পকর্ম হিসেবে আজও স্বতঃস্ফূর্ত।
অঙ্কুর: তবে মনে হয় সাধারণ মানুষের কাছে রবীন্দ্রসংগীত জনপ্রিয় হবে আধুনিকীকরণের ফলে।
অরণ্য: যারা রবীন্দ্রসংগীতের শ্রোতা নন, তারা কোনোভাবেই সর্বত্র এটাকে নিয়ে যেতে পারবেন না। যুক্তিহীন, শৃঙ্খলহীন খামখেয়ালিপনাতে রবীন্দ্রসংগীত হয় না। শৃঙ্খলা ও প্রতিভার স্বতঃস্ফূর্ততায় রবীন্দ্রসংগীত আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছে।
অঙ্কুর: তবে দেখো যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিকীকরণকেও গ্রহণ করতে হবে।
অরণ্য: এ কথা ঠিক। প্রবীণের সঙ্গে নবীনকেও সাদরে বরণ করে নিতে হবে।