নিখিল ভাবছিল বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবে, এভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না।-কোন্ প্রসঙ্গে নিখিলের এই ভাবনা? এই ভাবনার মাধ্যমে নিখিলের চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে?

নিখিল ভাবছিল বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবে, এভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না।-কোন্ প্রসঙ্গে নিখিলের এই ভাবনা? এই ভাবনার মাধ্যমে নিখিলের চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে?

"নিখিল ভাবছিল বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবে, এভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না।"-কোন্ প্রসঙ্গে নিখিলের এই ভাবনা? এই ভাবনার মাধ্যমে নিখিলের চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে
“নিখিল ভাবছিল বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবে, এভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না।”-কোন্ প্রসঙ্গে নিখিলের এই ভাবনা? এই ভাবনার মাধ্যমে নিখিলের চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে?

প্রসঙ্গ

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে দুর্ভিক্ষে মানুষের মৃত্যু দেখে আহত মৃত্যুঞ্জয় মাইনের সব টাকা আর্তের সেবায় রিলিফ ফান্ডে দিতে নিখিলকে অনুরোধ জানায়। পরিবারের নয় জন সদস্যের কথা না ভেবে মৃত্যুঞ্জয়ের এই আচরণ নিখিলকে স্তম্ভিত করে। সেই প্রসঙ্গেই নিখিকের এই ভাবনা।

নিখিলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য

মৃত্যুঞ্জয় আদর্শবাদী। তার আদর্শের কারণেই নিজেকে ও নিজের পরিবারকে উপেক্ষা করে তার সমস্ত অর্থ দিয়ে দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়। মানবিক নিখিল তার সচেতন মানসিকতায় প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যয় করে। বাস্তববাদী নিখিল জানে মৃত্যুঞ্জয় যেভাবে মানুষ বাঁচাতে চায় তা অসম্ভব। রিলিফের খাদ্য কেবলমাত্র একজনের বদলে অপরকে খাওয়ানো। বিপুল জনসংখ্যার অন্নাভাব মৃত্যুঞ্জয় পূরণ করতে পারবে না। মৃত্যুঞ্জয়ের এই প্রচেষ্টা শুধুমাত্র আড়ালে থাকা মানুষের বদলে চোখের সামনে থাকা মানুষের মৃত্যুকে রুখতে না পারার সান্ত্বনা। এতে তার পরিবার আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

Leave a Comment