কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোটোগল্প অনুসারে মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করো

কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোটোগল্প অনুসারে মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করো – আজকের পর্বে কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোটোগল্প অনুসারে মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করা হল।

    কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোটোগল্প অনুসারে মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করো

    কে বাঁচায়, কে বাঁচে' ছোটোগল্প অনুসারে মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করো
    কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোটোগল্প অনুসারে মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করো।
    মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের নায়ক চরিত্র হল মৃত্যুঞ্জয়।

    মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র

    পরিচয়

    মৃত্যুঞ্জয় শান্ত, নিরীহ, মধ্যবিত্ত কেরানি। নয় জন সদস্যের পরিবারে একার উপার্জনে তাকে প্রতিমাসে ধার করতে হয়। তবু এই চাকরিকে সম্বল করেই মৃত্যুঞ্জয় নির্বিবাদে জীবনযাপন করে। 

    অনুভূতিশীল

    মৃত্যুঞ্জয় আবেগপ্রবণ। তাই অফিস যাওয়ার পথে হঠাৎ অমাহারে মৃত্যু দেখে সে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়।

    অনুশোচনাগ্রস্ত

    সংবেদনশীল মৃত্যুঞ্জয় ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যু দেখে তার জন্য নিজেকে দায়ী করে। তীব্র আত্ম-অনুশোচনায় মৃত্যুঞ্জয় বেঁচে থাকার যাবতীয় আড়ম্বর ত্যাগ করে।

    মৃত্যুঞ্জয়ের প্রচেষ্টা ও ব্যর্থতা

    মৃত্যুঞ্জয় অন্নহীন মানুষদের বাঁচানোর চেষ্টা করে। তাই একবেলা না খেয়ে, মাইনের সমস্ত টাকা সে রিলিফ ফান্ডে পাঠিয়ে দেয়। অফিসের কাজেও সে অমনোযোগী হয়ে যায়। পারিবারিক কর্তব্যের বদলে মৃত্যুঞ্জয় অনাহারী মানুষদের পাশে দাঁড়ায়। তার পরিণতিতে মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক বিকৃতি ঘটে এবং শহরের অন্নপ্রার্থী মানুষদের ভিড়ে সে মিশে যায়।

    আদর্শবাদী

    মৃত্যুঞ্জয় আদর্শবাদী। তাই সমস্ত স্বার্থপরতার পরিবর্তে মানবিকতার কারণেই সে ক্ষুধিত মানুষদের পাশে দাঁড়ায়। তাই মৃত্যুঞ্জয় মনুষ্যত্বের প্রতীক হয়ে ওঠে।

    Leave a Comment