বাসিনী এনেছে। বাদায় থাকে, অথচ ভাতের আহিংকে এতখানি -বাসিনী কে? সে কাকে এনেছে? তার ভাতের আহিংকে এতখানি কেন?
বাসিনী এনেছে। বাদায় থাকে, অথচ ভাতের আহিংকে এতখানি -বাসিনী কে? সে কাকে এনেছে? তার ভাতের আহিংকে এতখানি কেন? |
বাসিনীর পরিচয়
মহাশ্বেতা দেবীর লেখা ‘ভাত’ গল্পের পার্শ্বচরিত্র বাসিনী বাদায় থাকে; সে কলকাতার সম্পন্ন বাড়িতে পরিচারিকার কাজে নিযুক্ত।
যাকে এনেছে
বাসিনী তার গ্রাম সম্পর্কের দাদা উৎসব নাইয়াকে বুড়ো কর্তার বাড়িতে এনেছে।
‘ভাতের আহিংকে’-র কারণ
সুন্দরবনের বাদা অঞ্চলের বাসিন্দা উৎসবের পরিবার, ঘরবাড়ি মাতলার বন্যায় ভেসে গিয়েছিল। প্রায় সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের ভাতের সংস্থান করে যে বাদা অঞ্চল তা বন্যায় বিপর্যস্ত হয়। সরকারি লঙ্গরখানা ত্রাণের আয়োজন করলেও উৎসব তখন পরিজনদের অসহায়ভাবে খুঁজে বেড়িয়েছিল। শোকের আঘাতে তার খিদের কথা মনে ছিল না। কিন্তু সে যখন শোক সামলে ওঠে তখন লঙ্গরখানা উঠে গিয়েছে, তাই ক্ষুধানিবারণের জন্য সে অন্য কিছু না পেয়ে কাঁচা চাল চিবোয়। জীবনের ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত উৎসব তার ক্ষুধার তীব্রতায় ‘ভাতের হুতাশে’ আকুল হয়।
আরও পড়ুন – শৈশবের স্মৃতি রচনা