ভারতবর্ষ গল্পের বুড়ি কীভাবে ভারতবর্ষের প্রতীক হয়ে উঠেছে তা বুঝিয়ে দাও – আজকের পর্বে ভারতবর্ষ গল্পের বুড়ি কীভাবে ভারতবর্ষের প্রতীক হয়ে উঠেছে তা আলোচনা করা হল।
ভারতবর্ষ গল্পের বুড়ি কীভাবে ভারতবর্ষের প্রতীক হয়ে উঠেছে তা বুঝিয়ে দাও
‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বুড়ি কীভাবে ভারতবর্ষের প্রতীক হয়ে উঠেছে তা বুঝিয়ে দাও। |
প্রতীকধর্মিতার স্বরূপ
প্রতীক হল সাহিত্যে সংকেত দ্বারা ভাবপ্রকাশের একপ্রকার পদ্ধতি। লেখক প্রতীকের সাহায্যে একটি বাহ্যিক অর্থের আড়ালে এক গভীর অর্থ নিহিত রাখেন। ‘ভারতবর্ষ’ গল্পটিতে প্রতীকের ইঙ্গিতময়তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
গল্পে প্রতীকী বৃদ্ধা চরিত্র
গল্পের শুরুতে লেখক অত্যন্ত সযত্নে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পটভূমিতে এক নামগোত্রহীন অতি বৃদ্ধা চরিত্রকে প্রতীকরূপে হাজির করেন।
বৃদ্ধা চরিত্রের ভূমিকা
লেখক এই গল্পে আবহমানকালের ভারতবর্ষের সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্বের রূপটি তুলে ধরেছেন। বৃদ্ধা যেন হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দে জর্জরিত ভারতবর্ষ। তার অস্তিত্বের সংকট নিয়ে দেশের মানুষদের কোনো মাথাব্যথা নেই। সে জীবিত না মৃত তা নিয়েও মানুষের কোনো ইতিবাচক ভাবনা নেই। তাকে নিয়ে কেবল ধর্মীয় অধিকারের লড়াই আছে। হিন্দু- মুসলমান দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে এই প্রতীক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই গল্পের শেষে নড়ে-বসা বুড়িকে বলতে শোনা যায়- “আমি কী তা দেখতে পাচ্ছিস নে?”
সমগ্র গল্প জুড়ে লেখক বৃদ্ধার অনুষঙ্গে যে ধর্মীয় অন্ধত্বের চিত্র প্রকাশ করেন তা গল্পের শেষে বুড়ির উপেক্ষাভরা একটি উত্তরে নির্মূল হয়। বুড়ি দ্বন্দ্বের চরম পর্যায়ে উঠে বসে বিবদমান জনতাকে দেখে ব্যঙ্গের হাসি হেসে দূরে মিলিয়ে যায়। বুড়ির আচরণে ও উত্তরে ধর্মনিরপেক্ষ, মানবিক পরিচয়ই প্রতীকী হয়ে ওঠে। এভাবেই এ গল্পের বৃদ্ধা চরিত্র হয়ে ওঠে ভারতবর্ষের প্রতীক।
সমগ্র গল্প জুড়ে লেখক বৃদ্ধার অনুষঙ্গে যে ধর্মীয় অন্ধত্বের চিত্র প্রকাশ করেন তা গল্পের শেষে বুড়ির উপেক্ষাভরা একটি উত্তরে নির্মূল হয়। বুড়ি দ্বন্দ্বের চরম পর্যায়ে উঠে বসে বিবদমান জনতাকে দেখে ব্যঙ্গের হাসি হেসে দূরে মিলিয়ে যায়। বুড়ির আচরণে ও উত্তরে ধর্মনিরপেক্ষ, মানবিক পরিচয়ই প্রতীকী হয়ে ওঠে। এভাবেই এ গল্পের বৃদ্ধা চরিত্র হয়ে ওঠে ভারতবর্ষের প্রতীক।