সে বুঝতে পারে সব ভাত ওরা পথে ফেলে দিতে যাচ্ছে -‘ওরা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? ওরা সব ভাত ফেলে দিতে যাচ্ছিল কেন? ‘সে’ কে? বুঝতে পেরে সে কী করেছিল – আজকের পর্বে সে বুঝতে পারে সব ভাত ওরা পথে ফেলে দিতে যাচ্ছে -‘ওরা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? ওরা সব ভাত ফেলে দিতে যাচ্ছিল কেন? ‘সে’ কে? বুঝতে পেরে সে কী করেছিল তা আলোচনা করা হল।
সে বুঝতে পারে সব ভাত ওরা পথে ফেলে দিতে যাচ্ছে -‘ওরা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? ওরা সব ভাত ফেলে দিতে যাচ্ছিল কেন? ‘সে’ কে? বুঝতে পেরে সে কী করেছিল |
“সে বুঝতে পারে সব ভাত ওরা পথে ফেলে দিতে যাচ্ছে!”-‘ওরা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? ওরা সব ভাত ফেলে দিতে যাচ্ছিল কেন? ‘সে’ কে? বুঝতে পেরে সে কী করেছিল? |
উদ্দিষ্ট
মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘ভাত’ গল্পে ‘ওরা’ বলতে কলকাতার বড়ো বাড়ির অর্থাৎ বাসিনীর মনিব বাড়ির লোকেদের কথা বলা হয়েছে।
কারণ
বুড়ো কর্তার মৃত্যু হয়েছে। অশৌচ বাড়ির ভাত খাওয়া অমঙ্গল বলে ওরা সব ভাত ফেলে দিতে যাচ্ছিল।
‘সে’
‘সে’ হল সুন্দরবনের গ্রাম থেকে দুটো ভাত খাওয়ার আশায় কলকাতার বড়ো বাড়িতে কাজ করতে আসা উৎসব নাইয়া।
তার আচরণ
দীর্ঘদিন অভুক্ত থাকায় উৎসবের শরীর দুর্বল ছিল। কিন্তু কাঠ না কাটলে ভাত পাবে না, তাই দুর্বল শরীরেও উৎসব আড়াই মন কাঠ কেটে ফ্যালে। কিন্তু যজ্ঞ শেষ হওয়ার আগেই বুড়ো কর্তার মৃত্যু হলে অশৌচ বাড়িতে ভাত খেতে নেই বলে অভুক্ত উৎসবের সামনে দিয়ে সব ভাত পথে ঢেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সব ভাত ফেলে দেওয়া হবে বুঝতে পেরে মাথা ঠিক থাকে না উৎসবের। এইভাবে ভাতের অপচয় সহ্য করতে না পেরে বাসিনীর হাত থেকে মোটা চালের ভাতের ডেকচি ছিনিয়ে নিয়ে সে দৌড়ে পালায়। বাসিনী অশৌচ বাড়ির ভাত খেতে বারণ করলে ভীষণ রেগে গিয়ে উৎসব দাঁতগুলো বের করে হিংস্র কামটের মতো ভঙ্গি করে।