কোথাও জীবনের খোরাক, হাসির খোরাক নেই- বক্তা কে? ‘কোথাও জীবনের খোরাক, হাসির খোরাক নেই’ বলে বক্তা মনে করেছেন কেন? |
“কোথাও জীবনের খোরাক, হাসির খোরাক নেই।”- বক্তা কে? ‘কোথাও জীবনের খোরাক, হাসির খোরাক নেই’ বলে বক্তা মনে করেছেন কেন? |
বক্তা
শম্ভু মিত্র রচিত ‘বিভাব’ নাটক থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশের বক্তা শম্ভু মিত্র।
জীবনের খোরাক, হাসির খোরাক না থাকার কারণ
স্বাধীনতা পরবর্তী মন্বন্তর, দাঙ্গা এবং দেশভাগে বিপর্যস্ত উদ্বাস্তু মানুষ খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের দাবিতে সোচ্চার হয়। আর্থসামাজিক এই সংকটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেল বাঙালিকে ‘কাঁদুনে জাত’ বলেন। এই প্রেক্ষিতে শম্ভু মিত্র সম্পাদকের কথামতো নাটকে হাস্যরসের সন্ধান করতে চান। কিন্তু নাটকে হাসির ঘটনা প্রয়োগ করেও হাসি পায় না। তখন হাস্যরসের খোঁজে পপুলার জিনিসের সন্ধানে তারা রাস্তায়-মাঠে-ঘাটে, জীবনের বাস্তবতার সামনে এসে দাঁড়ান। এখানেও তারা হাসির উপাদানের খোঁজ তো পান না, বরং সেই বাস্তবতা তাদেরকে জীবনের রূঢ় সত্যের সামনে দাঁড় করায়। তারা বুঝতে পারেন যখন দেশের মানুষকে অন্নবস্ত্রের দাবিতে প্রাণ দিতে হয় সেই বিপর্যস্ত জীবনে হাসির খোরাক’ পাওয়া সম্ভব নয়। তাই তারা উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেন।