পাঞ্জাসাহেবে পৌঁছে এক আশ্চর্য ঘটনার কথা জানতে পারি -‘আশ্চর্য ঘটনাটি’র বর্ণনা দাও – আজকের পর্বে পাঞ্জাসাহেবে পৌঁছে এক আশ্চর্য ঘটনার কথা জানতে পারি -‘আশ্চর্য ঘটনাটি’র বর্ণনা আলোচনা করা হল।
পাঞ্জাসাহেবে পৌঁছে এক আশ্চর্য ঘটনার কথা জানতে পারি -‘আশ্চর্য ঘটনাটি’র বর্ণনা দাও
“পাঞ্জাসাহেবে পৌঁছে এক আশ্চর্য ঘটনার কথা জানতে পারি।” -‘আশ্চর্য ঘটনাটি’র বর্ণনা দাও। |
আশ্চর্য ঘটনা
কর্তার সিং দুগ্গাল রচিত গল্পের বাংলা অনুবাদ ‘অলৌকিক’ গল্পে জানা যায়, পাঞ্জাসাহেব থেকে দূরবর্তী শহরে বিদেশিরা নিরস্ত্র ভারতীয়দের উপর গুলি চালিয়ে বহু জনকে হত্যা করে। আরও বহু জীবিত মানুষকে তারা বন্দি করে অন্যত্র জেলে পাঠানোর জন্য ক্ষুধাতৃন্নায় কাতর অবস্থায় ট্রেনে বন্দি করে। তাদের খাদ্য-পানীয় দেওয়ার জন্য ট্রেন যাতে পাঞ্জাসাহেবে দাঁড়ায় সেই উদ্দেশ্যে সেখানকার মানুষ রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে সে আবেদন খারিজ হয়। পাঞ্জাসাহেবে ট্রেন থামাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শহরবাসী রুটি-পায়েস-লুচি-ডাল তৈরি করে স্টেশনে রাখে। তারা স্থির করে যেহেতু তৃষ্ণার্ত মর্দানাকে এই অঞ্চলেই গুরু নানক জল দান করেছিলেন, সেহেতু বন্দি দেশপ্রেমিকদেরও এখান থেকে তৃয়ার্ত বা অভুক্ত অবস্থায় যেতে দেওয়া যাবে না।
চলন্ত ট্রেনকে থামাতে বহু নরনারী রেললাইনে শুয়ে পড়ে। লেখকের মায়ের বান্ধবীও স্বামী-সন্তান-সহ তাদের মধ্যে ছিলেন। তার স্বামী-সহ অনেককে পিষ্ট করে ট্রেনের চাকা তার মাথার কাছে এসে থেমে যায়, তারা তখন ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি উচ্চারণ করছিলেন। রক্তের স্রোত বয়ে যায়। অভুক্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য এতবড়ো আত্মত্যাগের এই ‘আশ্চর্য ঘটনা টি লেখক তাঁর মায়ের বান্ধবীর মুখে শুনেছিলেন।