ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্য
ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো। |
ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্য-
① নামকরণের তাৎপর্য: পাললিক শিলাস্তরে ভাঁজ পড়ে উঁচু হয়ে এই পর্বত সৃষ্টি হয় বলে, একে ‘ভঙ্গিল পর্বত’ বলা হয়।
② প্রয়োজনীয় শক্তি: গিরিজনি আলোড়নের ফলে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়।
③ প্রধান অংশ: ভঙ্গিল পর্বতের প্রধান দুটি অংশ বর্তমান-ঊর্ধ্বোভঙ্গ ও অধোভঙ্গ।
④ শিলার প্রাধান্য: ভঙ্গিল পর্বতে পাললিক শিলার আধিক্য থাকলেও স্থানীয়ভাবে আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলা-ও দেখা যায়।
⑤ জীবাশ্ম সৃষ্টি: পাললিক শিলায় গঠিত হওয়ায় ভঙ্গিল পর্বতে জীবাশ্ম দেখা যায়।
⑥ একাধিক শৃঙ্গ: ভঙ্গিল পর্বতে একাধিক শৃঙ্গ থাকে। যেমন- হিমালয়ের মাউন্ট এভারেস্ট, মাকালু, ফালুট, কাঞ্চনজঙ্ঘা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য পর্বতশৃঙ্গ।
⑦ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য: [i] ভঙ্গিল পর্বত অঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ হয়, [ii] পাত সঞ্চরণ অব্যাহত থাকায় এর উচ্চতা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়, [iii] ঢাল খাড়া হয়, [iv] শঙ্কু আকৃতির হয়, [v] বন্ধুরতা বেশি হয়।
আরও পড়ুন – শৈশবের স্মৃতি রচনা