সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা দলিত শ্রেণির আন্দোলনের সূত্রপাত ও প্রসার সম্পর্কে আলোচনা করো। |
দলিত শ্রেণির আন্দোলনের সূত্রপাত ও প্রসার
দলিত আন্দোলনের পুরোধা ভীমরাও রামজি আম্বেদকর মহারাষ্ট্রের দরিদ্র মাহার পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও নিজ দক্ষতায় উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে দলিতদের প্রথম সর্বভারতীয় সম্মেলনে দলিতদের জন্য তিনি সামাজিক বিকাশের এক কর্মসূচি উত্থাপন করেন। গড়ে তোলেন অল ইন্ডিয়া ডিপ্রেসড ক্লাসেস ফেডারেশন।
মাহাদ মার্চ :
১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে মহারাষ্ট্রের কোলাবা জেলায় আম্বেদকর তাঁর বিখ্যাত মাহাদ মার্চ পরিচালনা করেন। এখানেও অস্পৃশ্য মাহারদের সর্বসাধারণের ব্যবহার্য জলাশয় ও কূপ থেকে জল নেওয়া নিষিদ্ধ ছিল, এর বিরুদ্ধে আম্বেদকর প্রতিবাদে সরব হন। এই সময় এক প্রকাশ্য সমাবেশে প্রতিবাদস্বরূপ আম্বেদকর জাতিভেদ প্রথার আকর গ্রন্থ মনুস্মৃতি পুড়িয়ে দেন।
মন্দিরে প্রবেশের আন্দোলন: ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে আম্বেদকর-এর নেতৃত্বে অস্পৃশ্য বা দলিতদের মন্দির প্রবেশের দাবিতে কলারাম মন্দিরে প্রবেশ আন্দোলন বা কলারাম সত্যাগ্রহ অনুষ্ঠিত হয়। গান্ধিজি মন্দির প্রবেশের বিষয়টিকে সমর্থন করেন।
আন্দোলন পরিচালনা: কলারাম মন্দিরে প্রবেশাধিকারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দলিত হিন্দু এবং বর্ণহিন্দুদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। উগ্র হিন্দুরা অস্পৃশ্যদের লক্ষ করে ইট, পাথর ছুঁড়তে থাকে। শেষপর্যন্ত মন্দিরটি এক বছরের জন্য বন্ধ রাখা হয়।
পরিণতি: আম্বেদকর পরিচালিত আন্দোলনগুলির ফলে- দলিত শ্রেণির আন্দোলন সারাদেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সমর্থন এবং সহানুভূতি লাভ করেছিল। আম্বেদকরের এই আন্দোলনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে মন্দির প্রবেশ সংক্রান্ত বিল পাস হয়।
মন্দিরে প্রবেশের আন্দোলন: ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে আম্বেদকর-এর নেতৃত্বে অস্পৃশ্য বা দলিতদের মন্দির প্রবেশের দাবিতে কলারাম মন্দিরে প্রবেশ আন্দোলন বা কলারাম সত্যাগ্রহ অনুষ্ঠিত হয়। গান্ধিজি মন্দির প্রবেশের বিষয়টিকে সমর্থন করেন।
আন্দোলন পরিচালনা: কলারাম মন্দিরে প্রবেশাধিকারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দলিত হিন্দু এবং বর্ণহিন্দুদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। উগ্র হিন্দুরা অস্পৃশ্যদের লক্ষ করে ইট, পাথর ছুঁড়তে থাকে। শেষপর্যন্ত মন্দিরটি এক বছরের জন্য বন্ধ রাখা হয়।
পরিণতি: আম্বেদকর পরিচালিত আন্দোলনগুলির ফলে- দলিত শ্রেণির আন্দোলন সারাদেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সমর্থন এবং সহানুভূতি লাভ করেছিল। আম্বেদকরের এই আন্দোলনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে মন্দির প্রবেশ সংক্রান্ত বিল পাস হয়।
এই সমস্ত আন্দোলন আম্বেদকরকে একদিকে যেমন খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেয়, অন্যদিকে তেমনই রাজনৈতিক কারণে কংগ্রেস দলিতদের রাজনৈতিক অধিকার দানে বাধ্য হয়। এর ফলে সামাজিক ক্ষেত্রে অস্পৃশ্যতার অভিশাপ সাময়িকভাবে হ্রাস পায়।