আজাদ হিন্দ বাহিনীর বিচারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের পরিচয় দাও । আজাদ হিন্দ বাহিনীর ব্যর্থতার কারণগুলি লেখো

আজাদ হিন্দ বাহিনীর বিচারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের পরিচয় দাও । আজাদ হিন্দ বাহিনীর ব্যর্থতার কারণগুলি লেখো – নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু-র নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ বাহিনী ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের পথকে প্রশস্ত করেছিল। আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনানীদের বিচারকে কেন্দ্র করে যে গণবিক্ষোভ দেখা দেয়, তা ছিল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
 
তো চলুন আজকের মূল বিষয় আজাদ হিন্দ বাহিনীর বিচারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের পরিচয় দাও । আজাদ হিন্দ বাহিনীর ব্যর্থতার কারণগুলি লেখো পড়ে নেওয়া যাক।

আজাদ হিন্দ বাহিনীর বিচারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের পরিচয় দাও । আজাদ হিন্দ বাহিনীর ব্যর্থতার কারণগুলি লেখো

আজাদ হিন্দ বাহিনীর বিচারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের পরিচয় দাও আজাদ হিন্দ বাহিনীর ব্যর্থতার কারণগুলি লেখো

আজাদ হিন্দ বাহিনীর বিচারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের পরিচয় দাও । আজাদ হিন্দ বাহিনীর ব্যর্থতার কারণগুলি লেখো।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু-র নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ বাহিনী ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের পথকে প্রশস্ত করেছিল। 

আজাদ হিন্দ বাহিনীর বিচারকে কেন্দ্র করে গণ অভ্যুত্থান

আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনানীদের বিচারকে কেন্দ্র করে যে গণবিক্ষোভ দেখা দেয়, তা ছিল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। 
আজাদি সেনাদের বিচার: ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ৫ নভেম্বর দিল্লির লালকেল্লায় আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনাদের বিচার শুরু হয়। পি কে সেহগল, শাহনওয়াজ খান, ক্যাপটেন ধিলনকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। আজাদ হিন্দ সেনাদের মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে শুরু হয় গণবিক্ষোভ।

কলকাতার ছাত্র আন্দোলন: আজাদ হিন্দ সেনানীদের বিচারকে কেন্দ্র করে সবথেকে বেশি আন্দোলন গড়ে উঠেছিল কলকাতায়। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বরে কয়েকশো ছাত্র সেনাদের মুক্তির দাবিতে কলকাতার ডালহৌসি স্কোয়ার অবরোধ করে।

রশিদ আলির বিচার ও প্রতিক্রিয়া:
এর অল্পকাল পরেই অর্থাৎ ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে পরিস্থিতি আবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। আজাদ হিন্দ ফৌজের ক্যাপটেন রশিদ আলির বিচারকে কেন্দ্র করে সমগ্র দেশে ব্রিটিশবিরোধী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিচারে রশিদ আলিকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে কলকাতায় পালিত হয় রশিদ আলি দিবস (১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি)।

নৌ-সেনাদের বিক্ষোভ: পরাজিত আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাদের লালকেল্লায় বিচার শুরু হলে দেশের জনগণের সঙ্গে ভারতীয় নৌ-সেনারাও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিদ্রোহী ভারতীয় নাবিকরা ব্রিটিশ পতাকা ইউনিয়ন জ্যাক নামিয়ে জাহাজে ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে।

ব্যর্থতার কারণসমূহ

বিভিন্ন কারণে আজাদ হিন্দ বাহিনী ব্যর্থ হয়। যেমন-

জাপানি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত: নেতাজি জাপানের সাহায্যে আজাদ হিন্দ বাহিনী গড়ে তোলেন। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান পরাজিত হলে জাপানের সাহায্য থেকে আজাদ হিন্দ বাহিনী বঞ্চিত হয়।

প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব ও প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা : জাপানের সাহায্য বন্ধ হয়ে গেলে আজাদ হিন্দ বাহিনীর খাদ্য ও যুদ্ধের সরঞ্জামের ঘাটতি দেখা দেয়। এ ছাড়া অত্যধিক শীত, বিষাক্ত পোকামাকড়ের উপদ্রব প্রভৃতি কারণেও তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

সেনানায়কদের মধ্যে মতবিরোধ:
জাপানি সেনাপতির সঙ্গে অন্যান্য সেনানায়কদের মতপার্থক্যের ফলে আজাদ হিন্দ বাহিনী কোহিমা পর্যন্ত অগ্রসর হয়ে আর এগোতে পারেনি। ফলে তারা ব্যর্থ হয়।

ভারতীয় নেতৃবৃন্দের অসহযোগিতা : আজাদ হিন্দ বাহিনীর ভারত অভিযানকে ভারতের জাতীয় নেতৃবৃন্দ স্বাগত জানাননি ফলে আজাদি সেনারা ব্যর্থ হয়।

আপনি আমাদের একজন মূল্যবান পাঠক। আজাদ হিন্দ বাহিনীর বিচারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের পরিচয় দাও । আজাদ হিন্দ বাহিনীর ব্যর্থতার কারণগুলি লেখো -এই বিষয়ে আমাদের লেখনী সম্পূর্ণ পড়ার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।

Leave a Comment