১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের উত্থানের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোচনা করো
১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের উত্থানের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোচনা করো। |
গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের উত্থানের প্রেক্ষাপট
মাও জে দং-এর নেতৃত্বে কমিউনিস্ট পার্টির উত্থান ও সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব চিনে গণপ্রজাতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে।
(ক) ৪ মে-র আন্দোলন
১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে প্যারিসের শান্তি সম্মেলনে চিনের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের ফলে সমগ্র চিন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এমতাবস্থায় অধ্যাপক চেন তু-শিউ এর নেতৃত্বে ৪ মে-র আন্দোলন শুরু হলে ছাত্রদের সঙ্গে শ্রমিক শ্রেণিও যোগদান করে। এই আন্দোলনের সূত্রেই চিনে কমিউনিস্ট ভাবাদর্শের প্রসার ঘটে।
(খ) কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা
রাশিয়ার বলশেভিক বিপ্লব দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে চিনের সাংহাইতে মাও জে দং-সহ ১১ জনের উপস্থিতিতে গোপনে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে উঠেছিল।
(গ) কুয়োমিনতাং দল
১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে সান ইয়াৎ-সেন-এর মৃত্যুর পর কুয়োমিনতাং দল ও সরকারের প্রধান হন চিয়াং কাই-শেক। তিনি কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে চরম দমনমূলক নীতি গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে মাও জে দং-এর নেতৃত্বে চিনের শেনসি প্রদেশের উদ্দেশে কমিউনিস্টদের যাত্রা বা লং মার্চ শুরু হয়।
(ঘ) সিয়াং ফু-র ঘটনা
লং মার্চের পর কমিউনিস্টরা মাও জে দং-এর নেতৃত্বে শেনসি প্রদেশে কমিউনিস্ট রাষ্ট্র গঠন করে, যার রাজধানী হয় সিয়াং ফু। ইতিমধ্যে চিয়াং কাই-শেক সিয়াং ফুতে এলে কমিউনিস্ট নেতা চ্যাং শিউ-লিয়াং তাকে অপহরণ করেন ও তিনি রুশ হস্তক্ষেপে মুক্তি পান। এরপর চিয়াং কাই-শেক কমিউনিস্টদের সঙ্গে একসঙ্গে জাপানি আক্রমণের মোকাবিলায় সচেষ্ট হন। এটি সিয়াং ফু-র ঘটনা
(ঙ) জাপানি আক্রমণ প্রতিরোধ
১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে জাপান আবার চিনের বিরোধ বাধে। নামে পরিচিত। উপর আক্রমণ করলে মাও জে দং-এর সেনারা মিলিতভাবে জাপানি আক্রমণ প্রতিহত করে। শেষপর্যন্ত ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে জাপানের আত্মসমর্পণের পর আবার কমিউনিস্ট ও কুয়োমিনতাং দলের মধ্যে