দশম শ্রেণি বাংলা আফ্রিকা কবিতা থেকে কারক অকারক সম্পর্ক সমাস বাক্য পরিবর্তন বাচ্য পরিবর্তন |
রেখাঙ্কিত পদগুলির কারক/অকারক সম্পর্ক এবং বিভক্তি ও অনুসর্গ নির্ণয় করো
১. স্রষ্টা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে/নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত।
> নতুন সৃষ্টিকে – কর্মকারকে ‘কে’ বিভক্তি।
২. প্রাচী ধরিত্রীর বুকের থেকে / ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে, আফ্রিকা।
> প্রাচী ধরিত্রীর বুকের থেকে-অপাদান কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ। প্রাচী ধরিত্রীর-সম্বন্ধপদে ‘এর’ বিভক্তি।
৩. বাঁধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায়।
> বনস্পতির-সম্বন্ধপদে ‘র’ বিভক্তি।
৪. সেখানে নিভৃত অবকাশে তুমি/সংগ্রহ করছিলে দুর্গমের রহস্য।
> নিভৃত অবকাশে-অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
৫. প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু/মন্ত্র জাগাচ্ছিল, তোমার চেতনাতীত মনে।
> প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু-কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৬. বিদ্রূপ করছিলে ভীষণকে/বিরূপের ছদ্মবেশে।
> ভীষণকে-কর্মকারকে ‘কে’ বিভক্তি।
৭. আপনাকে উগ্র ক’রে বিভীষিকার প্রচণ্ড মহিমায়।
> বিভীষিকার-সম্বন্ধপদে ‘র’ বিভক্তি।
৮. এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে।
> ওরা-কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৯. গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে।
> গর্বে-করণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
১০. তোমার ভাষাহীন ক্রন্দনে বাষ্পাকুল অরণ্যপথে।
> অরণ্যপথে-অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
১১. দস্যু-পায়ের কাঁটা-মারা জুতোর তলায়।
> জুতোর তলায়-অধিকরণ কারকে ‘য়’ বিভক্তি।
১২. চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে।
> চিরচিহ্ন-কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১৩. শিশুরা খেলছিল মায়ের কোলে।
> শিশুরা-কর্তৃকারকে ‘রা’ বিভক্তি।
১৪. কবির সংগীতে বেজে উঠেছিল/সুন্দরের আরাধনা।
> সুন্দরের আরাধনা-কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১৫. যখন গুপ্ত গহ্বর থেকে পশুরা বেরিয়ে এল।
> গুপ্ত গহ্বর থেকে-অপাদান কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ।
১৬. দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে।
> দ্বারে-অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
রেখাঙ্কিত পদগুলির ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো
১. স্রষ্টা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে।
> অসন্তোষে = নেই সন্তোষে-না-তৎপুরুষ সমাস।
২. বাঁধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায়।
> বনস্পতির = বনের পতি-সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস, তার।
৩. কৃপণ আলোর অন্তঃপুরে।
> অন্তঃপুরে = অন্তঃ যে পুর-কর্মধারয় সমাস, সেখানে।
৪. সংগ্রহ করছিলে দুর্গমের রহস্য।
> দুর্গমের = দুঃ (দুর) গম যা-উপপদ তৎপুরুষ সমাস, তার।
৫. চিনছিলে জলস্থল।
> জলস্থল = জল ও স্থল-দ্বন্দ্ব সমাস।
৬. বিরূপের ছদ্মবেশে।
> ছদ্মবেশে = ছদ্ম যে বেশ-কর্মধারয় সমাস, তাতে।
৭. তাণ্ডবের দুন্দুভিনিনাদে।
> দুন্দুভিনিনাদে = দুন্দুভির নিনাদ-সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস, তাতে।
৮. হায় ছায়াবৃতা।
> ছায়াবৃতা = ছায়া দ্বারা আবৃতা-করণ তৎপুরুষ সমাস।
৯. অপরিচিত ছিল তোমার মানবরূপ।
> অপরিচিত = নয় পরিচিত-না-তৎপুরুষ সমাস।
১০. তোমার মানবরূপ।
> মানবরূপ = মানবের রূপ-সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
১১. এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে।
> হাতকড়ি = হাতে লাগানোর কড়ি-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
১২. এল মানুষ-ধরার দল।
▷ মানুষ-ধরার = মানুষকে ধরার-কর্ম তৎপুরুষ সমাস।
১৩. গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে।
> সূর্যহারা = সূর্যকে হারা-কর্ম তৎপুরুষ সমাস।
১৪. আপন নির্লজ্জ অমানুষতা।
> নির্লজ্জ = নেই লজ্জা যার-না-বহুব্রীহি সমাস।
১৫. তোমার ভাষাহীন ক্রন্দনে।
> ভাষাহীন = ভাষা দ্বারা হীন-করণ তৎপুরুষ সমাস।
১৬. চিরচিহ্ন দিয়ে গেল।
> চিরচিহ্ন = চির যে চিহ্ন-কর্মধারয় সমাস।
১৭. সমুদ্রপারে সেই মুহূর্তেই।
> সমুদ্রপারে = সমুদ্রের পারে-সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
১৮. প্রদোষকাল ঝঞ্ঝাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস।
> প্রদোষ স্তুপ্র দোষ (রাত) যার – বহুব্রীহি সমাস।
প্রদোষকাল ক্ত প্রদোষ নামক কাল-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
১৯. ঝঞ্ঝাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস।
> রুদ্ধশ্বাস = রুদ্ধ যে শ্বাস-কর্মধারয় সমাস।
২০. অশুভ ধ্বনিতে ঘোষণা করল।
> অশুভ = নয় শুভ-নন্তৎপুরুষ সমাস।
২১. দিনের অন্তিমকাল।
> অন্তিমকাল = অন্তিম যে কাল-কর্মধারয় সমাস।
২২. সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।
> পুণ্যবাণী = পুণ্য যে বাণী-কর্মধারয় সমাস।
নির্দেশ অনুসারে বাক্য পরিবর্তন করো
১. নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত। (ভাববাচ্যে)
> নতুন সৃষ্টিকে বারবার করা হচ্ছিল বিধ্বস্ত। (ভাববাচ্য)
২. বাঁধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায়। (ভাববাচ্যে)
> বাঁধা হল তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায়। (ভাববাচ্য)
৩. এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে। (কর্মবাচ্যে)
> আসা হল ওদের দ্বারা লোহার হাতকড়ি নিয়ে। (কর্মবাচ্য)
৪. শিশুরা খেলছিল মায়ের কোলে। (কর্মবাচ্যে)
> শিশুদের দ্বারা খেলা হচ্ছিল মায়ের কোলে। (কর্মবাচ্য)
৫. যখন গুপ্ত গহ্বর থেকে পশুরা বেরিয়ে এল। (ভাববাচ্যে)
> যখন গুপ্ত গহ্বর থেকে পশুদের বেরিয়ে আসা হল। (ভাববাচ্য)
৬. দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে। (ভাববাচ্যে)
> দাঁড়ানো হোক ওই মানহারা মানবীর দ্বারে। (ভাববাচ্য)
৭. বলো ‘ক্ষমা করো’। (ভাববাচ্যে)
> বলা হোক ‘ক্ষমা করো’। (ভাববাচ্য)
নির্দেশ অনুসারে বাচ্য পরিবর্তন করো
১. নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত। (জটিল বাক্যে)
> যা নতুন সৃষ্টি তাকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত। (জটিল বাক্য)
২. সংগ্রহ করছিলে দুর্গমের রহস্য। (জটিল বাক্যে)
> যা সংগ্রহ করছিলে তা হল দুর্গমের রহস্য। (জটিল বাক্য)
৩. অপরিচিত ছিল তোমার মানবরূপ। (না-সূচক বাক্যে)
> পরিচিত ছিল না তোমার মানবরূপ। (না-সূচক বাক্য)
৪. কবির সংগীতে বেজে উঠেছিল। (প্রশ্নবোধক বাক্যে)
> কবির সংগীতে কী বেজে ওঠেনি? (প্রশ্নবোধক বাক্য)
৫. অশুভ ধ্বনিতে ঘোষণা করল দিনের অন্তিমকাল। (জটিল বাক্যে)
> অশুভ ধ্বনিতে যা ঘোষণা করল তা হল দিনের অন্তিমকাল। (জটিল বাক্য)
৬. দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে। (প্রশ্নবোধক বাক্যে)
> দাঁড়াবে না কি ওই মানহারা মানবীর দ্বারে? (প্রশ্নবোধক বাক্য)