দ্বাদশ শ্রেণি ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় ঠান্ডা লড়াইয়ের যুগ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর

সূচিপত্র

দ্বাদশ শ্রেণি ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় ঠান্ডা লড়াইয়ের যুগ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর
দ্বাদশ শ্রেণি ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় ঠান্ডা লড়াইয়ের যুগ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর

মনরো রীতি’ কী?

মার্কিন রাষ্ট্রপতি জেমস মনরো ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে এক ঘোষণায় বলেন যে, আমেরিকা আমেরিকাবাসীর জন্য। আমেরিকায় কোনো ইউরোপীয় ব্যবস্থা কায়েম হলে আমেরিকা তা মেনে নেবে না। এই ঘোষণাই মনরো রীতি নামে পরিচিত।

আটল্যান্টিক সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ ও ব্যক্তি কারা ছিলেন?

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট-এর মধ্যে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ আগস্ট আটল্যান্টিক সনদ স্বাক্ষরিত হয়।

কখন দ্বিমেরু বিশ্বের উদ্ভব ঘটেছিল?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে (১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে) দ্বিমেরু বিশ্বের উদ্ভব ঘটেছিল।

‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ কথাটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৬ এপ্রিল দক্ষিণ ক্যারোলিনা প্রদেশের কলম্বিয়া শহরে এক ভাষণে মার্কিন কূটনীতিবিদ বার্নার্ড বারুচ প্রথম ঠান্ডা লড়াই কথাটি প্রকাশ্যে ব্যবহার করেন।

‘ফালটন বক্তৃতা’ (Fulton Speech) বলতে কী বোঝায়? অথবা, ‘লৌহ যবনিকা’ তত্ত্ব (Iron Curtain) কী? অথবা, ফালটন বক্তৃতার বিষয়বস্তু কী ছিল? 

১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ মার্চ ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চার্চিল আমেরিকার মিসৌরি প্রদেশের ফালটনের ওয়েস্টমিনিস্টার কলেজে প্রদত্ত এক ভাষণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে, ইউরোপের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখন সোভিয়েত লৌহ ‘যবনিকার অন্তরালে চলে গেছে এবং এখনই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে সারা ইউরোপ একদিন সোভিয়েত রাশিয়ার দখলে চলে যাবে-ইতিহাসে যা লৌহ যবনিকা তত্ত্ব বা ফালটন বক্তৃতা নামে খ্যাত।

ফালটন বক্তৃতা কে, কবে প্রদান করেন?

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ মার্চ আমেরিকার মিসৌরি প্রদেশের ফালটনের ওয়েস্টমিনিস্টার কলেজে ফালটন বক্তৃতা প্রদান করেন।

চার্চিল কে?

উইনস্টন চার্চিল ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

‘ট্রুম্যান কে ছিলেন? কবে তিনি তাঁর নীতি ঘোষণা করেন?

হ্যারি ট্রুম্যান ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ তাঁর নীতি ঘোষণা করেন।

ট্রুম্যান নীতি’ (Truman Doctrine) কী ছিল?

সোভিয়েত রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিরোধে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ মার্কিন কংগ্রেসে রাষ্ট্রপতি হ্যারি ট্রুম্যান ঘোষণা করেছিলেন-যেসব জাতি সশস্ত্র সংখ্যালঘুদের (কমিউনিস্ট) আক্রমণ বা বিদেশি রাষ্ট্রের আক্রমণের প্রতিরোধে নিয়োজিত, তাদের আমেরিকা আর্থিক ও সামরিক সাহায্য করবে-এই নীতি ট্রুম্যান নীতি (Truman Doctrine) নামে পরিচিত। 

‘বেষ্টনী নীতি’ কী? অথবা, কেন্নান-এর ‘বেষ্টনী নীতি’ বা ‘সীমায়িতকরণের নীতি’ (Policy of Containment) কী?

সমাজতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ তথা সোভিয়েত সম্প্রসারণ মোকাবিলায় প্রখ্যাত মার্কিন কূটনীতিবিদ জর্জ এফ কেন্নান ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে – ‘Mr. X’ ছদ্মনামে ‘Foreign Affairs’ পত্রিকায় ‘সোভিয়েত কার্যকলাপের উৎস’ নামে এক প্রবন্ধে লেখেন- আমেরিকান সরকারের উচিত সোভিয়েত প্রভাব যেসকল অঞ্চলে বিদ্যমান, তাকে সেখানেই সীমাবদ্ধ রাখা। এই নীতিই বেষ্টনী নীতি বা পলিসি অফ কনটেইনমেন্ট নামে পরিচিত।

মার্শাল পরিকল্পনা কবে ও কেন ঘোষিত হয়?

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ৫ জুন মার্শাল পরিকল্পনা ঘোষিত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল-যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরোপের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন ঘটানো।

‘মার্শাল পরিকল্পনা’ (Marshall Plan) কী?

অর্থনৈতিক দুরবস্থার সুযোগে যাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরোপে সাম্যবাদের প্রভাব বিস্তৃত না হয়, সেই কারণে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব জর্জ সি মার্শাল ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ৫ জুন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদত্ত এক ভাষণে মার্কিন সাহায্যের এক পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। তাঁর এই প্রস্তাব মার্শাল পরিকল্পনা (Marshall Plan) নামে পরিচিত। 

মার্শাল পরিকল্পনার উদ্দেশ্য কী ছিল?

মার্শাল পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ছিল- – আর্থিক সাহায্যদানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে সোভিয়েত রাশিয়ার প্রভাবের বাইরে রাখা। মার্কিন ব্যাবসাবাণিজ্যের পথ সুগম করা। পরিকল্পনা গ্রহণকারী রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে একটি অনুগত রাষ্ট্রজোট গঠন করা ইত্যাদি।

ন্যাটো (NATO) কবে গঠিত হয়?

১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ এপ্রিল ন্যাটো গঠিত হয়।

ন্যাটো (NATO)-এর পুরো নাম কী?

NATO-এর পুরো নাম হল-North Atlantic Treaty Organisation.

ন্যাটো সামরিক জোটের কয়টি ভাগ ছিল?

ন্যাটো সামরিক জোটের ভাগ ছিল দুটি। যথা- গোয়েন্দা দপ্তর এবং নিরাপত্তা দপ্তর।

SEATO-র পুরো নাম কী?

SEATO-র পুরো নাম হল- South-East Asia Treaty Organisation.

কবে, কী উদ্দেশ্যে মেডো (MEDO) গঠিত হয়?

মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্পদের উপর কর্তৃত্ব স্থাপন এবং ওই অঞ্চলে সোভিয়েত রাশিয়ার প্রভাব প্রতিহত করার জন্য ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইরাক, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তানকে নিয়ে গঠিত হয় মেডো (MEDO = Middle East Defence Organisation) |

মেডো পরে কী নামে পরিচিত হয়?

মেডো পরে বাগদাদ চুক্তি নামে পরিচিত হয়। 

সেন্টো (CENTO) কী?

মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্পদের উপর কর্তৃত্ব স্থাপন এবং ওই অঞ্চলে সোভিয়েত রাশিয়ার প্রভাব প্রতিহত করার জন্য ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইরাক, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তানকে নিয়ে গঠিত হয় মেডো (Middle East Defence Organisation বা MEDO) বা বাগদাদ চুক্তি। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে ইরাক। এই চুক্তি। থেকে বেরিয়ে গেলে এটির নাম বদল করে রাখা হয় সেন্টো (Central Treaty Organisation বা CENTO)। এই সংস্থার সদর দফতর বাগদাদ থেকে আঙ্কারায় স্থানান্তরিত হয়।

‘কমিনফর্ম’ (COMINFORM) কবে গঠিত হয়?

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে কমিনফর্ম (Cominform) গঠিত হয়।

কমিনফর্ম’ (COMINFORM) কাকে বলে?

ইউরোপে কমিউনিস্ট-বিরোধী মার্কিন প্রয়াসের পরিপ্রেক্ষিতে সোভিয়েত রাশিয়া তার অনুগামী পোল্যান্ড, রুমানিয়া, বুলগেরিয়া প্রভৃতি সাম্যবাদী দেশগুলিকে নিয়ে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে কমিনফর্ম বা Communist Information Bureau (COMINFORM) গঠন করে।

কোন্ দেশের নেতৃত্বে কবে ‘কমেকন’ গঠিত হয়েছিল?

রাশিয়ার নেতৃত্বে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে কমেকন গঠিত হয়েছিল।

ওয়ারশ চুক্তি (Warsaw Pact) কবে ও কেন স্বাক্ষরিত হয়?

রাশিয়ার নেতৃত্বে ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে ওয়ারশ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পূর্ব ইউরোপে কমিউনিস্টদের নিরাপত্তা সুদৃঢ় করার উদ্দেশ্যে এবং মার্কিন মদতপুষ্ট ন্যাটো, সিয়াটো-সহ অন্যান্য সামরিক শক্তিজোটের প্রত্যুত্তরে এই সংস্থাটি গঠিত হয়েছিল।

‘ইয়াল্টা সম্মেলন’ কেন ডাকা হয়?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদের খসড়া প্রণয়নের জন্য এবং নিরাপত্তা পরিষদের ভোটদান পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনার জন্য ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে ইয়াল্টা সম্মেলন ডাকা হয়।

ইয়াল্টা সম্মেলন কেন গুরুত্বপূর্ণ?

১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত ইয়াল্টা সম্মেলনে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদের খসড়া রচিত হয় এবং নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রগুলির ভেটো ক্ষমতা ও ভেটো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

‘বার্লিন অবরোধ’ (Berlin Blockade) কী? অথবা, ‘রার্লিন অবরোধ’ বলতে কী বোঝায়?

মিত্রশক্তি নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম জার্মানি থেকে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত পূর্ব জার্মানির বার্লিনে আসতে হলে রেল বা সড়কপথে আসতে হত। তাই জার্মানি নিয়ে তীব্র মতপার্থক্যের কারণে রাশিয়া মিত্রশক্তির বার্লিনে প্রবেশের সড়কপথ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুলাই থেকে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ১২ মে পর্যন্ত অবরোধ করে রাখে-যা ইতিহাসে বার্লিন অবরোধ নামে পরিচিত।

বার্লিন অবরোধ কবে শুরু হয়?

বার্লিন অবরোধ শুরু হয় ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুলাই।

বার্লিন এয়ারলিফট’ (Berlin Airlift) কী?

রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত বার্লিন অবরোধ ভাঙার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন মিত্রশক্তি অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে ১১ মাস ধরে আকাশপথে প্রায় ১৪০০ বিমানের সাহায্যে বার্লিনে খাদ্য, ওষুধ, তেল, কয়লা ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ অব্যাহত রাখে, যা বার্লিন এয়ারলিফট নামে পরিচিত। 

‘স্বদেশভূমি ফ্রন্ট’ কোথায় গঠিত হয়েছিল?

‘স্বদেশভূমি ফ্রন্ট’ বুলগেরিয়ায় গঠিত হয়েছিল।

ইমরে নেগি কে ছিলেন?

হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী কমিউনিস্ট নেতা ইমরে নেগির নেতৃত্বে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও হাঙ্গেরিতে কমিউনিস্ট-বিরোধী গণ আন্দোলন বন্ধ করা যায়নি। সোভিয়েত বাহিনী হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট অভিযান করলে নৃশংস দমননীতির দ্বারা এই আন্দোলন স্তব্ধ করে এবং হাঙ্গেরির গোমুলকা নামে পরিচিত ইমরে নেগি দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন ও ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে হত্যা করা হয়।

ক্লিমেন্ট গোটওয়াল্ড কে ছিলেন?

ক্লিমেন্ট গোটওয়াল্ড ছিলেন চেকোশ্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী।

‘ব্রেজনেভ তত্ত্ব’ (Brezhnev Doctrine) বলতে কী বোঝো?

১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বরে রুশ রাষ্ট্রপতি ব্রেজনেভ চেকোশ্লোভাকিয়ায় রুশ হস্তক্ষেপের তাত্ত্বিক ব্যাখ্যায় বলেন যে, সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি যে-কোনো হুমকিকে প্রতিহত করার জন্য ভ্রাতৃপ্রতীম দেশে সামরিক অভিযান চালানোর অধিকার সোভিয়েত রাশিয়ার আছে। সমাজতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য রাশিয়ার এই নীতি ব্রেজনেভ তত্ত্ব (Brezhnev Doctrine) নামে পরিচিত। 

বুলগানিন কে ছিলেন?

নিকোলাই বুলগানিন ছিলেন এক সোভিয়েত রাজনীতিবিদ, যিনি ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের মার্চ থেকে ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাস পর্যন্ত সোভিয়েত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। 

নাসের কে ছিলেন?

নাসের ছিলেন মিশরের রাষ্ট্রপ্রধান। তাঁর পুরো নাম-গামাল আবদেল নাসের।

নাসের কেন সুয়েজ খাল জাতীয়করণ করেন?

মিশরের আর্থিক উন্নয়নের প্রয়োজনে আসওয়ান বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ঋণ দিতে সম্মত হয়। কিন্তু কমিউনিস্ট গোষ্ঠীর সঙ্গে নাসের-এর হৃদ্যতার জেরে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে তারা ঋণ প্রদানের পরিকল্পনা বাতিল করে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নাসের ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে সুয়েজ খাল জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

সুয়েজ সংকটের আশু কারণ কী ছিল?

সুয়েজ সংকটের আশু কারণ ছিল- ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুলাই মিশরের রাষ্ট্রপ্রধান গামাল আবদেল নাসের কর্তৃক সুয়েজ খাল ও সুয়েজ ক্যানাল কোম্পানির জাতীয়করণের ঘোষণা।

সুয়েজ সংকট সমাধানের জন্য কোন্ ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী লন্ডন সম্মেলনে (১৯৫৬ খ্রি.) যোগ দেন?

সুয়েজ সংকট সমাধানের জন্য লন্ডন সম্মেলনে যোগ দেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী ভি কে কৃষ্ণমেনন।

বাতিস্তা কে ছিলেন?

ফ্যালজেনিকো বাতিস্তা ছিলেন মার্কিন মদতপুষ্ট কিউবার একনায়কতন্ত্রী শাসক।

ফিদেল কাস্ত্রো কে ছিলেন?

কিউবার জাতীয়তাবাদী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন মদতপুষ্ট কিউবার একনায়কতন্ত্রী বাতিস্তা সরকারকে পদচ্যুত করে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন (১৯৫৯-১৯৭৬ খ্রি.) এবং পরবর্তীতে (১৯৭৬-২০০৮ খ্রি.) দেশের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন। অন্যদিকে ১৯৬১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি কিউবা কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সম্পাদক পদে নিযুক্ত ছিলেন। 

‘কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংকট’ (১৯৬২ খ্রি.) বলতে কী বোঝায়?

মার্কিন আক্রমণের আশঙ্কায় ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে কিউবা সোভিয়েত রাশিয়ার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করলে রাশিয়া কিউবায় আণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় এবং আণবিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকেন্দ্র স্থাপন করে। অন্যদিকে, আমেরিকা কিউবার বিরুদ্ধে নৌ-অবরোধ করে। ফলে, সমগ্র ল্যাটিন আমেরিকায় যুদ্ধের পরিমণ্ডল তৈরি হয়, যা কিউবা সংকট নামে পরিচিত। 

কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি কে নির্মাণ করে?

কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি নির্মাণ করে রাশিয়া। 

‘দাতাঁত’ কী?

ফরাসি শব্দ দাতাঁত-এর অর্থ উত্তেজনার প্রশমন ও বন্ধুত্বের পুনঃপ্রতিষ্ঠা। ১৯৬০-এর দশক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে যে মতাদর্শগত লড়াই এবং পরস্পরের প্রতি যে অবিশ্বাস ও সন্দেহ ছিল, ধীরে ধীরে তার অবসান ঘটতে থাকে এবং এক পারস্পরিক সহাবস্থান নীতি গৃহীত হয়। এই ঘটনাকে বলা হয় দাতাঁত বা বিবাদাবসান।

৩৮° অক্ষরেখা কী? 

৩৮° অক্ষরেখা হল উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যেকার বিভাজনকারী রেখা।

৩৮° অক্ষরেখা বরাবর বিভাজনের পর দুই কোরিয়ার রাজধানী কোথায় হয়?

৩৮° অক্ষরেখা বরাবর বিভাজনের পর উত্তর কোরিয়ার রাজধানী হয়- পিয়ংইয়াং এবং দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী হয়- সিওল।

ম্যাক আর্থার কে ছিলেন?

ডগলাস ম্যাক আর্থার ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধান। কোরিয়ার যুদ্ধে তাঁর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।

কবে ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়?

১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়।

কবে ‘দিয়েন বিয়েন ফু’-র যুদ্ধ সংঘটিত হয়?

১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ভিয়েতনামে দিয়েন বিয়েন ফু-র যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

‘দিয়েন বিয়েন ফু’-তে কী ঘটেছিল? অথবা, ‘দিয়েন বিয়েন ফু’-র ঘটনা কী?

ভিয়েতমিন সেনাপতি জেনারেল নগুয়েন গিয়াপ দিয়েন বিয়েন ফু নামক স্থানে অবস্থিত ফরাসি অস্ত্রভাণ্ডার ও দুর্ভেদ্য ঘাঁটিকে ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাস নাগাদ এক আক্রমণ চালিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দেন। এটাই দিয়েন বিয়েন ফু-র ঘটনা নামে পরিচিত।

‘নেভারে প্ল্যান’ কী?

ভিয়েতমিনদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য ফরাসি সেনাপতি নেভারে যে পরিকল্পনা করেন, তা নেভারে প্ল্যান নামে পরিচিত।

জেনেভা সম্মেলন কত খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত হয়?

জেনেভা সম্মেলন ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত হয়।

জেনেভা সম্মেলন কেন ডাকা হয়?

দিয়েন বিয়েন ফু-র যুদ্ধে ফ্রান্সের চূড়ান্ত পরাজয়ের পর ইন্দোচিন সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ৮ মে জেনেভা সম্মেলন ডাকা হয়েছিল।

জেনেভা সম্মেলনে কোন্ কোন্ দেশ অংশগ্রহণ করে?

১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত জেনেভা সম্মেলনে ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকা, চিন, ভিয়েতনাম, লাওস ও কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যোগদান করেন।

১৭° সমাক্ষরেখা কী?

১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে ভিয়েতনামকে যে অক্ষরেখা বরাবর উত্তর ও দক্ষিণ-এই দুই ভিয়েতনামে বিভক্ত করা হয়, তাকে ১৭° সমাক্ষরেখা বলা হয়। ১৭° সমাক্ষরেখার উত্তরাংশে ভিয়েতমিন এবং দক্ষিণাঞ্চলে ন-দিন-দিয়েম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

‘ভিয়েত কং’ (Viet Cong) কী? অথবা, দক্ষিণ ভিয়েতনামের কমিউনিস্টরা কী নামে পরিচিত ছিলেন?

দক্ষিণ ভিয়েতনামে আমেরিকার তাঁবেদারি সরকারের অবসান ও উত্তর ভিয়েতনামের সঙ্গে সংযুক্তির উদ্দেশ্যে দক্ষিণ ভিয়েতনামে পিপলস লিবারেশন আর্মড ফোর্স (People’s Liberation Armed Force) নামক যে গেরিলা বাহিনী গড়ে উঠেছিল, তা ভিয়েত কং (Viet Cong) বা ভিয়েতনামী কমিউনিস্ট নামে পরিচিত ছিল। 

ফাম ভান দং কে ছিলেন?

ফাম ভান দং ছিলেন ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র-এর প্রথম রাষ্ট্রপতি।

OAS কী?

OAS-এর পুরো কথাটি হল- The Organisation of American States। এটি ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ৩০ এপ্রিল গঠিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫টি রাজ্য পারস্পরিক শান্তিরক্ষা ও সহযোগিতার অঙ্গীকারস্বরূপ OAS প্রতিষ্ঠা করেছিল। এর প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটনে অবস্থিত।

কবে এবং কাদের মধ্যে কৌশলগত অস্ত্রশস্ত্রের সীমিতকরণ চুক্তি (SALT-I) স্বাক্ষরিত হয়েছিল?

১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে SALT-। চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

CTBT-র পুরো কথা কী? 

CTBT-র পুরো কথা হল- Comprehensive Nuclear Test Ban Treaty.

NPT কী?

NPT-র পুরো কথা হল- Nuclear Non-proliferation Treaty. ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বের ৯৮টি রাষ্ট্র এই চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর দ্বারা পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয় এবং যে রাষ্ট্র পারমাণবিক শক্তিধর নয় তাকে চুক্তিবদ্ধ রাষ্ট্রগুলি পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ না করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে।

‘পেরেস্ত্রৈকা’ কী?

পেরেস্ত্রৈকা শব্দের অর্থ হল- আর্থিক ও সামাজিক সংস্কার।

১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর মিখাইল গর্বাচেভ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ব্যাবসা, ব্যাবসাবাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সূচনা ও উৎপাদন ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের অবসান প্রভৃতি যে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন, তা পেরেস্ত্রৈকা নামে পরিচিত।

‘গ্লাসনস্ত’ কী?

গ্লাসনস্ত শব্দটির অর্থ হল মুক্তাবস্থা (Open air)। ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর মিখাইল গর্বাচেভ মানবাধিকার ও সাংস্কৃতিক কার্যকলাপের ক্ষেত্রে যে মুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন, তা গ্লাসনস্ত নামে পরিচিত।

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের লক্ষ্য কী ছিল?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মূল লক্ষ্য ছিল-যুদ্ধের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করা এবং বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।

জাতিপুঞ্জের প্রথম মহাসচিব কে ছিলেন?

জাতিপুঞ্জের প্রথম মহাসচিব ছিলেন ট্রিগভি লি।

‘জোটনিরপেক্ষ নীতি’ (Policy of Non-Alignment) কাকে বলে?

স্বাধীনতালাভের পর ভারত আমেরিকা ও রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন জোটশক্তিতে যোগ না দিয়ে উভয় গোষ্ঠীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বা সমদূরত্ব বজায় রেখে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তার বিদেশনীতি পরিচালনার কথা ঘোষণা করে, যা জোটনিরপেক্ষ নীতি নামে পরিচিত। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ছিলেন এই নীতির প্রধান প্রবক্তা ও রূপকার।

জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রধান রূপকার কে ছিলেন? অথবা, জোটনিরপেক্ষতার প্রধান প্রবক্তা কে ছিলেন?

জোটনিরপেক্ষতার প্রধান প্রবক্তা ছিলেন জওহরলাল নেহরু। 

প্রথম নির্জোট সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল?

প্রথম নির্জোট সম্মেলন যুগোশ্লাভিয়ার বেলগ্রেড শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের দুজন/কয়েকজন নেতার নাম লেখো।

জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের কয়েকজন নেতার নাম হল- ভারতের জওহরলাল নেহরু, যুগোশ্লাভিয়ার মার্শাল টিটো, মিশরের – গামাল আবদেল নাসের, ইন্দোনেশিয়ার সুকর্ণ, ঘানার নক্কুমা প্রমুখ। 

‘পঞ্চশীল’ কী?

১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও চিনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই ভারত-চিন সম্পর্ক নির্ধারণের ক্ষেত্রে পাঁচটি নীতি অনুসরণ করে যে চুক্তিতে উপনীত হন, তা ভারত-চিন পঞ্চশীল চুক্তি নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, পরস্পরের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, অনাক্রমণ, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ইত্যাদি নীতিগুলি ছিল পঞ্চশীল নীতির মধ্যে অন্যতম।

মার্শাল টিটো কে ছিলেন?

মার্শাল টিটো ছিলেন যুগোশ্লাভিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে রাজা দ্বিতীয় পিটার কর্তৃক যুগোশ্লাভিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে সমাজতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রীয় যুগোশ্লাভীয় প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন। তিনি জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। উল্লেখ্য, তিনি যে ৯৮টি আন্তর্জাতিক উপাধি পান তার মধ্যে অন্যতম ছিল-লিজিয়ন অফ অনার (Legion of Honour), অর্ডার অফ দ্য বাথ (Order of the Bath) এবং অর্ডার অফ লেনিন (Order of Lenin) ইত্যাদি।

কবে ও কেন বান্দুং সম্মেলন হয়?

১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ১৮-২৪ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং শহরে এশিয়া ও আফ্রিকার ২৯টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে বান্দুং সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ঔপনিবেশিক শাসন ও বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা ও ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ প্রভৃতি বিষয় আলোচিত হয়। এই সম্মেলন থেকেই জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। উল্লেখ্য, এই সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলি শস্ত্রোমিদজোজো।

‘মধ্যপ্রাচ্য’ বলতে কী বোঝো?

মধ্যপ্রাচ্যের কোনো সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক সংজ্ঞা না থাকলেও সাধারণভাবে উত্তরে ভূমধ্যসাগর থেকে দক্ষিণে লোহিত সাগর এবং পূর্বে নীলনদ থেকে পশ্চিমে পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত ভূভাগ মধ্যপ্রাচ্য নামে পরিচিত। লেবানন, সিরিয়া, জর্ডন, ইরাক প্রভৃতি ছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ।

কবে, কেন ‘আরব লিগ’ গঠিত হয়েছিল?

১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে মিশরের রাজধানী কায়রোতে প্যালেস্টাইনকে ব্রিটেনের অছি থেকে মুক্ত করা এবং প্যালেস্টাইনে ইহুদি অনুপ্রবেশ রোধ করার উদ্দেশ্যে ছয়টি আরব রাষ্ট্র- লেবানন, ইরাক, মিশর, সিরিয়া, সৌদি আরব ও ট্রান্স জর্ডন মিলিত হয়ে আরব লিগ গঠন করে।

আরব লিগ কোন্ কোন্ দেশ নিয়ে গঠিত হয়?

লেবানন, ইরাক, মিশর, সিরিয়া, সৌদি আরব ও ট্রান্স জর্ডন মিলিত হয়ে আরব লিগ গঠিত হয়।

প্যালেস্টাইন মুক্তিসংঘের নেতা কে ছিলেন? অথবা, ইয়াসের আরাফত কে ছিলেন?

প্যালেস্টাইন মুক্তিসংঘের নেতা ছিলেন ইয়াসের আরাফত।

প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়?

১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে ইরাক ও কুয়েতের মধ্যে প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ হয়। কুয়েতের তরফে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, মিশর ইত্যাদি দেশও লড়াই করে।

কাদের প্রচেষ্টায় চিনের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়?

মাও জে দং এবং চৌ এন লাই-এর প্রচেষ্টায় চিনের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

লং মার্চ’ (Long March) কী?

১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর মাও জে দং-এর নেতৃত্বে প্রায় ১ লক্ষ কমিউনিস্ট সরকারি বাহিনীর অবরোধ ভেঙে প্রায় দীর্ঘ ৬০০০ মাইল বা ২৮ হাজার লি পথ অতিক্রম করে দক্ষিণ চিন থেকে উত্তর-পশ্চিম চিনের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থান শেনসি প্রদেশে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২০ অক্টোবর উপস্থিত হন। পায়ে হেঁটে ৩৭০ দিনের এই দীর্ঘ যাত্রাকে লং মার্চ বা দীর্ঘ পদযাত্রা বলে অভিহিত করা হয়।

চিনে কার নেতৃত্বে ‘লং মার্চ’ (Long March) শুরু হয়েছিল? কত দিন পরে, কবে তা শেষ হয়?

চিনে ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর মাও জে দং-এর নেতৃত্বে লং মার্চ শুরু হয় এবং ৩৭০ দিন পরে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২০ অক্টোবর এই যাত্রা শেষ হয়।

চিনে লালফৌজ কারা গঠন করেন?

চিনে লালফৌজ গঠন করেন মাও জে দং এবং চু-তে। 

কবে ও কার নেতৃত্বে চিনে গণ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়?

১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ১ অক্টোবর মাও জে দং-এর নেতৃত্বে চিনের পিকিং শহরে গণ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

Leave a Comment