দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা ভাষার ইতিহাস বাক্যতত্ত্ব ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর |
বাক্যতত্ত্ব কাকে বলে?
বাক্যের মধ্যে শব্দগুলির বিন্যাস অর্থাৎ বাক্যের মধ্যে কোন্ শব্দ বা পদ কোথায় বসবে এবং তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক কীরকম হবে তা ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় আলোচনা করা হয়, তাকে বাক্যতত্ত্ব বলে।
উদ্দেশ্য অংশ বলতে কী বোঝো?
বাক্যে যার সম্বন্ধে কোনো কিছু বলা হয় বা ভাবপ্রকাশ করা হয় তাই উদ্দেশ্য।
বাক্যের বিধেয় অংশ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
বাক্যের উদ্দেশ্যকে অবলম্বন করে যা কিছু বলা হয়, তাই হল বাক্যের ‘বিধেয়’ বা বিধেয় অংশ।
রাম ভাত খায়-বাক্যে ‘ভাত খায়’ অংশটি বিধেয়।
বাংলা ভাষাকে ‘এস-ও-ভি’ ভাষা বলা হয় কেন?
বাংলা বাক্যের পদসংস্থানের স্বাভাবিক ক্রমটি হল-কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া বা সাবজেক্ট-অবজেক্ট-ভার্ব। তাই এই ভাষাকে সংক্ষেপে ‘এস-ও-ভি’ ভাষা বলা হয়।
ইংরেজি ভাষাকে ‘এস-ভি-ও’ ভাষা বলা হয় কেন?
ইংরেজি ভাষায় স্বাভাবিক পদক্রম হল কর্তা-ক্রিয়া-কর্ম অর্থাৎ সাবজেক্ট-ভার্ব-অবজেক্ট। তাই এই ভাষাকে ‘এস-ভি-ও’ ভাষা বলা হয়।
সরল বাক্যে ক-টি উদ্দেশ্য এবং ক-টি বিধেয় থাকে?
সরল বাক্যে একটা উদ্দেশ্য এবং একটা বিধেয় থাকে।
অব্যবহিত-উপাদান কাকে বলে?
বাক্যবিশ্লেষণের প্রথম ধাপে আমরা বাক্যকে যে দুটি বা যে ক-টি বৃহত্তম অর্থপূর্ণ উপাদানে ভাগ করতে পারি তাদের অব্যবহিত-উপাদান তথা অব্যবহিত গঠন বলে।
বাক্যের অব্যবহিত উপাদান কী কী?
বাক্যের অব্যবহিত উপাদানগুলি হল বাক্য, পদ, রূপ ও ধ্বনি।
অন্তর্মুখী সংগঠন কত প্রকার ও কী কী?
অন্তর্মুখী সংগঠন দুই প্রকার- যৌগিক বা সাব-অর্ডিনেট এবং অধীনস্থ বা কো-অর্ডিনেট।
পদবর্গ কী?
একটি বাক্যকে অব্যবহিত উপাদানের সর্বশেষ পর্যায়ে ভাঙলে পদ পাওয়া যায়। এই পদের যে ব্যাকরণগত পরিচয় রয়েছে, তাকে বলে পদবর্গ।
সংবর্তন কাকে বলে?
যেসব প্রক্রিয়া বাক্যের চেহারা বদলে দেয়, সেইসব প্রক্রিয়াকে সংবর্তন বলে।
‘সঞ্জননী ব্যাকরণ’ কাকে বলে?
সমস্ত বাক্য কীভাবে সঞ্জাত হয় তা জানা যায় যে ব্যাকরণের মাধ্যমে, তাকে বলা হয় ‘সঞ্জননী ব্যাকরণ’।