দ্বাদশ শ্রেণি ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং উপনিবেশসমূহ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর

সূচিপত্র

দ্বাদশ শ্রেণি ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং উপনিবেশসমূহ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর
দ্বাদশ শ্রেণি ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং উপনিবেশসমূহ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর

বড়োলাট লর্ড লিনলিথগো কেন ভারতকে যুদ্ধরত দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন?

ইউরোপে শুরু হওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ইংল্যান্ড একটি পক্ষ বা জোটভুক্ত ছিল। ভারত যেহেতু ইংল্যান্ডের একটি উপনিবেশ ছিল তাই অধিকার বলে বড়োলাট লর্ড লিনলিথগো ভারতকে যুদ্ধরত দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন।

কংগ্রেসের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভাগুলি কেন পদত্যাগ করে?

কংগ্রেসের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভাগুলি শাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ছিল। এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে বড়োলাট লর্ড লিনলিথগো ভারতকে ১ যুদ্ধরত দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন। এই সুযোগ ও প্রতিবাদ হিসেবে কংগ্রেস মন্ত্রিসভাগুলি পদত্যাগ করে।

বড়োলাট লর্ড লিনলিথগোর ‘আগস্ট প্রস্তাব’ কী ছিল? অথবা, ‘লিনলিথগো প্রস্তাব’ বা ‘আগস্ট প্রস্তাব’ কবে ঘোষিত হয়?

ভারত সচিব আমেরি-র পরামর্শে বড়োলাট লর্ড লিনলিথগো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতের ধনসম্পদ ও জনসম্পদ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রস্তাব দেন (৮ আগস্ট, ১৯৪০ খ্রি.)। এতে বলা হয়, শেষে ভারতকে ডোমিনিয়ন মর্যাদা দেওয়া হবে, একটি সংবিধান সভা গঠন করা হবে। বড়োলাটের শাসন পরিষদে বেশি সংখ্যায় ভারতীয় নিয়োগ করা হবে প্রভৃতি যা ‘আগস্ট-প্রস্তাব’ নামে পরিচিত।

কে, কবে মুসলিম লিগের ‘লাহোর প্রস্তাব’ উত্থাপন করেন?

পাঞ্জাবের মুসলিম লিগ নেতা সিকান্দার হায়াত খান-এর রচিত লাহোর প্রস্তাবটি বাংলার প্রধানমন্ত্রি ফজলুল হক উত্থাপন করেন।

এই প্রস্তাবটি ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মার্চ মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনে পেশ করা হয়।

মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনের গুরুত্ব কী?

১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মার্চ মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়। এই প্রস্তাবে পৃথক পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানানো হয়।

কেন ক্রিপস মিশন ভারতে এসেছিল?

জাপানি আগ্রাসন মোকাবিলায় ভারতীয়দের সহযোগিতা লাভ, ভারতে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করার জন্য মার্কিন ও চিনা প্রেসিডেন্টের পরামর্শে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রি উইনস্টোন চার্চিল ভারতে ক্রিপস মিশন পাঠান (২৩ মার্চ, ১৯৪২ খ্রি.)। 7

ক্লিপস প্রস্তাব কী ছিল?

ক্রিপস প্রস্তাবে বলা হয় যে, যুদ্ধ শেষে ভারতকে ডোমিনিয়ন মর্যাদা দেওয়া হবে। ভারতীয় প্রতিনিধি সমবায়ে একটি সংবিধান সভা গঠন করা হবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র গঠন, দেশীয় রাজ্য ও মুসলিম স্বার্থরক্ষার কথা এই প্রস্তাবে ছিল। 

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় কোথায়, জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়?

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বাংলার তমলুক, উড়িষ্যার তালচের, মহারাষ্ট্রের সাতারা, যুক্ত প্রদেশের বালিয়া-আজমগড়ে ব্রিটিশ শাসন লোপ করে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। 

ভারতছাড়ো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এমন কয়েকজন নারী শহিদের নাম লেখো।

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের স্বতঃস্ফূর্ত ভারত ছাড়ো আন্দোলনে বাংলার তমলুকে মাতঙ্গিনী হাজরা (৭৩ বছরের বৃদ্ধ), আসামের ছাত্রী কনকলতা বড়ুয়া (১৩ বছর), পাঞ্জাবের গৃহবধূ ভোগেশ্বরী ফুকোননি (৩১ বছর) পুলিশের গুলিতে নিহত হয়ে শহিদ হন।

আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাপতি কারা ছিলেন?

আজাদ হিন্দ বাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন জেনারেল শাহনওয়াজ খান (সুভাষ ব্রিগেড)। অন্যান্য সেনাপতি ছিলেন ব্রিগেডিয়ার গুরবক্স সিং ধিলোঁ (নেহরু ব্রিগেড), জেনারেল প্রেমকুমার সেহগল (গান্ধি ব্রিগেড) এবং লক্ষ্মী-স্বামীনাথন (ঝাঁসি রানি ব্রিগেড)।

কবে, কোথায় নৌবিদ্রোহ ঘটে?

১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি নৌবিদ্রোহ (Royal Indian Navy) ঘটে। বোম্বাই নৌঘাঁটির তলোয়ার জাহাজ থেকে বিদ্রোহের সূচনা হয়।

রাজাজি সূত্র বা সি. আর, ফর্মুলা কী?

মাদ্রাজের কংগ্রেস নেতা চক্রবর্তী রাজা গোপালাচারী প্রস্তাব দেন (১৯৪৪ খ্রি.) কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ স্বাধীনতার দাবিতে একসঙ্গে আন্দোলন করবে। স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের দাবি ওই অঞ্চলে গণভোটে নির্ধারিত হবে। এই সূত্র রাজাজি সূত্র বা সি. আর. ফর্মুলা নামে পরিচিত।

ওয়াভেল পরিকল্পনা কী ছিল?

সমকালীন ভারতের রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করার জন্য, এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রেক্ষাপট হিসেবে বড়োলাট লর্ড ওয়াভেল ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ১৪ জুন কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ-এর কাছে একটি পরিকল্পনা পেশ করেন। যা ওয়াভেল পরিকল্পনা নামে পরিচিত।

কবে, কেন মন্ত্রি মিশন ভারতে এসেছিল?

১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ২৪ মার্চ ইংল্যান্ডের মন্ত্রি মিশন ভারতে এসেছিল। ভারতের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের জন্য (সাম্প্রদায়িক সমস্যা ও ক্ষমতা হস্তান্তর) এই মন্ত্রি মিশন ভারতে এসেছিল।

মন্ত্রি মিশন-এর সদস্য কারা ছিলেন?

ইংল্যান্ডের মন্ত্রিসভার তিনজন সদস্য নিয়ে এই মন্ত্রি মিশন গঠিত হয়। এই সদস্যরা ছিলেন ভারত সচিব প্যাথিক লরেন্স, নৌবাহিনীর প্রধান এ. ভি. আলেকজান্ডার এবং বাণিজ্য মন্ত্রি স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রীপস।

মন্ত্রি মিশন পরিকল্পনা কী ছিল?

ব্রিটিশ শাসিত প্রদেশ ও দেশীয় রাজ্য সমবায়ে যুক্তরাষ্ট্র গঠন, প্রদেশগুলিকে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে A.B.C শ্রেণিতে বিন্যাস এবং প্রদেশগুলির শ্রেণিবদল স্বেচ্ছাধীন করা, আঞ্চলিক ও সর্বভারতীয় সংবিধান রচনা, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন প্রভৃতি এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত ছিল।

কে, কেন প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস আহ্বান করেন?

মুসলিম লিগ নেতা মহম্মদ আলি জিন্না প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস আহ্বান করেন (১৬ আগস্ট, ১৯৪৬ খ্রি.) মন্ত্রি মিশন পরিকল্পনা গ্রহণ করা সত্ত্বেও কংগ্রেস কেবল সংবিধান রচনা ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে সম্মত হয়। তখন লিগ মন্ত্রি মিশন পরিকল্পনা বর্জন করে ও দাবি আদায়ের জন্য এই আহ্বান জানায়।

এলির ফেব্রুয়ারি ঘোষণা কী ছিল?

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রি ক্লিমেন্ট এলি পার্লামেন্টে ঘোষণা করেন, ৩০ জুন, ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ব্রিটিশরা ভারত ত্যাগ করবে। এই সময়ের মধ্যে ভারতীয়রা যদি সংবিধান রচনা করেত না পারে তাহলে কেন্দ্রিয় সরকারে না হলে প্রাদেশিক সরকারের হাতে ক্ষমতা সমর্পণ করবে- যেটা জনস্বার্থের অনুকূল ও যুক্তিযুক্ত। দেশিয় রাজ্যগুলি স্বাধীন হবে।

মাউন্ট ব্যাটেন পরিকল্পনা কী?

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত ভাগের পরিকল্পনা অনুমোদিত হওয়ার পর ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ৩ জুন লর্ড মাউন্টব্যাটেন তা ঘোষণা করেন। যা ‘মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা’ নামে পরিচিত।

মেইজি পুনরুত্থান কী?

১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন নৌ সেনাপতি কমোডর পেরি বলপূর্বক জাপানকে উন্মুক্ত করেন। এরপর পিছিয়ে পড়া জাপান নিজের দূরবস্থা দূর করে দ্রুত আধুনিকতার পথে এগিয়ে চলে। সেখানে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বিকাশ ঘটে। এই সময় সামন্ততান্ত্রিক শোগুনতন্ত্র ক্ষমতা সমর্পণ করে আবার সম্রাট মেইজিকে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করে (১৮৬৭ খ্রি.)। এই ঘটনা মেইজি পুনরুত্থান নামে পরিচিত।

‘এশিয়া এশিয়াবাসীদের জন্য’ – জাপান কেন এই নীতি ঘোষণা করে?

জাপান মেইজি পুনরুত্থানের পর শিল্প-বাণিজ্যে খুব উন্নত হয়। কিন্তু শিল্পের কাঁচামাল বা পণ্য বিক্রির বাজার সেখানে ছিল না। এমনকী ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বাসস্থানের উপযুক্ত জমিও সেখানে ছিল না। তাই জাপান প্রতিবেশি কোরিয়া, চিনের মাঞ্চুরিয়া দখল করে। দ: পূ: এশিয়ায় বিদেশি শক্তির প্রভুত্ব ছিল। এই বিদেশি প্রভুত্বের অবসান ও নিজ প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য জাপান এই নীতি ঘোষণা করে।

তানাকা মেমোরিয়াল কী?

১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে জাপানের প্রধানমন্ত্রি তানাকা সম্রাট হিরোহিতোকে এক স্মারকপার জানান, জাপানের সমস্যাগুলি (বাসস্থান, কাঁচামাল, বাজার ও বিদেশি শক্তি) সমাধানের পথ হল মাঞ্চুরিয়া ও বহির্মঙ্গোলিয়া দখল করা। এই যুদ্ধবাদ ও সম্প্রসারণবাদ তানাকা মেমোরিয়াল’ নামে পরিচিত।

লঙ্ মার্চ বা দীর্ঘ পদযাত্রা কী?

বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা মাও-সে-তুঙ চিনের কিয়াং সি প্রদেশে সংগঠন গড়ে তোলেন। কুয়ো-মিন-তাং দলের নেতা ও প্রেসিডেন্ট চিয়াং-কাই-শেক কিয়াং-সি প্রদেশে আক্রমণ চালান। ফলে মাও-সে-তুঙ-এর নেতৃত্বে কিয়াং সি-র প্রায় এক লক্ষ মানুষ ৬০০০ মাইল পথ হেঁটে শেন্সি প্রদেশের পীত নদীর তীরে পৌঁছায় (অক্টোবর ১৯৩৪-অক্টোবর ১৯৩৫)। এই দীর্ঘ পদযাত্রা লংমার্চ নামে পরিচিত।

পার্ল হারবার ঘটনা কী? অথবা, জাপান কেন পার্ল হারবার আক্রমণ করেছিল?

দূর প্রাচ্যে জাপানের বিস্তারনীতির ক্ষেত্রে প্রধান বাধা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেজন্য জাপান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌঘাঁটি হাওয়াই দ্বীপের পার্ল হারবার আক্রমণ করে (৭ ডিসেম্বর, ১৯৪১ খ্রি.)। বহু মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংস হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিত্র জোটে যোগ দিয়ে জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

ভিয়েতমিন কী?

১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে হো-চি-মিন ভিয়েতনামের স্বাধীনতার জন্য ‘লিগ-ফর দি ইন্ডিপেন্ডেন্স ফর ভিয়েতনাম’ নামে একটি সংস্থা তৈরি করেন। এই সংস্থা ভিয়েতমিন নামে পরিচিত ছিল। উত্তর ভিয়েতনামে এর প্রভাব বেশি ছিল।

কবে, কাদের মধ্যে দিয়েন-বিয়েন-ফু-র যুদ্ধ ঘটে?

১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে দিয়েন-বিয়েন-ফু যুদ্ধ ঘটে। ঔপনিবেশিক ফরাসি বাহিনী ও ভিয়েতনামের মুক্তি বাহিনীর মধ্যে ওই যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে ফরাসি বাহিনী পরাজিত হয়।

ভিয়েত কং কারা?

মার্কিন সমর্থিত দক্ষিণ ভিয়েতনামে ন-দিন-দিয়েম সরকার প্রতিষ্ঠিত ছিল। এই সরকারের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ও উত্তর ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট গেরিলারা যুদ্ধ রত ছিল। এরা ভিয়েত কং নামে পরিচিত ছিল।

মাই-লাই গণহত্যা কী?

ভিয়েতনামের মাই-লাই নামে একটি স্থানে মার্কিন বিমান হানায় প্রায় ৪৫০ মানুষ মারা যান (১৬ মার্চ, ১৯৬৮ খ্রি.)। এই ঘটনা মাই-লাই গণহত্যা নামে কুখ্যাত।

তিন ‘A’ নীতি কী?

ইন্দোনেশিয়ায় ওলন্দাজ প্রভুত্বের অবসান ঘটিয়ে জাপান স্বল্প সময়ের জন্য দখলদারি প্রতিষ্ঠা করে। এই সময় তিন ‘A’ নীতি ঘোষিত হয়। এগুলি ছিল- জাপান এশিয়ার আলো, জাপান এশিয়ার রক্ষক, জাপান, এশিয়ার নেতা প্রভৃতি।

কবে, কার নেতৃত্বে ইন্দোনেশিয়া স্বাধীনতা লাভ করে?

১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মধ্যস্থতায় ইন্দোনেশিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। এই স্বাধীনতা লাভের ক্ষেত্রে ড: সুকর্ণ ও মহম্মদ হাত্তার বিশেষ ভূমিকা ছিল।

Leave a Comment