সত্যিই তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনটি এল আজ?”-তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন কোন্টি? ওই সুখের দিনের শেষ পরিণতি কী হয়েছিল? |
সবচেয়ে সুখের দিন
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের সদ্যবিবাহিত ছোটোমাসি আর ছোটোমেসো যেদিন ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার একটি সংখ্যা নিয়ে তপনদের বাড়ি এসেছিল, সেদিনটি ছিল তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন। কারণ তপন আশা করেছিল মেসোর নিয়ে আসা পত্রিকাটিতে সম্ভবত তার জীবনের প্রথম লেখা গল্পটি ছাপা হয়েছে। সেই উত্তেজনার আবেশে ওই দিনটি হয়ে উঠেছিল তার কাছে সর্বাপেক্ষা সুখের।
শেষ পরিণতি
তপনের ছোটোমাসি এবং নতুন মেসো ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা নিয়ে এলে তপনের মনে যে চূড়ান্ত সুখকর অনুভূতি তৈরি হয়েছিল, তার শেষ পরিণতি বালক তপনের কাছে হয়ে উঠেছিল অত্যন্ত করুণ। ‘প্রথম দিন (গল্প), শ্রীতপন কুমার রায়’- এই শিরোনামে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পটি মায়ের আদেশে পাঠ করতে গিয়ে তপন দেখেছিল সম্পূর্ণ গল্পটি লেখক মেসো তাঁর নিজস্ব লিখন কৌশলে বদলে দিয়েছেন। একমাত্র শিরোনাম ছাড়া তাতে তপনের কোনো অস্তিত্বই নেই। এই ঘটনায় তপন অত্যন্ত আঘাত পেয়েছিল। অপমানে, লজ্জায় সকলের আড়ালে গিয়ে সে কেঁদে ফেলেছিল। এই গভীর দুঃখের মুহূর্তে সে সংকল্প নিয়েছিল- ভবিষ্যতে কখনোই কারোর সাহায্যে সে গল্প ছাপাতে দেবে না। নিজের অপটু লেখা প্রত্যাখ্যাত হলেও তপন কোনোভাবেই যা তার নিজের লেখা নয়, সেই গল্প ছাপার অপমানে অপমানিত হবে না।