দশম শ্রেণি বাংলা হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ব্যাকরণ কারক অকারক সম্পর্ক ব্যাসবাক্যসহ সমাস বাক্য পরিবর্তন বাচ্য পরিবর্তন |
রেখাঙ্কিত পদগুলির কারক/অকারক সম্পর্ক এবং বিভক্তি ও অনুসর্গ নির্ণয় করো
১. কিন্তু আমি ছাড়া কারও হাতে কলম নেই।
▷ হাতে-অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
২. কারও সঙ্গে কলম নেই।
▷ কলম-কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৩. লেখকের কারখানা।
▷ লেখকের-সম্বন্ধপদে ‘এর’ বিভক্তি।
৪. আমি গ্রামের ছেলে।
▷ গ্রামের-সম্বন্ধপদে ‘এর’ বিভক্তি।
৫. আর সেগুলি বান্ডিল করে নিয়ে যেতাম স্কুলে।
▷ স্কুলে-অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
৬. গোরুকে অক্ষর খাওয়ানোও নাকি পাপ।
▷ গোরুকে-কর্মকারকে ‘কে’ বিভক্তি।
৭. লাউপাতা দিয়ে তা ঘষে তুলে …।
> লাউপাতা দিয়ে-করণ কারকে ‘দিয়ে’ অনুসর্গ।
৮. তারপর ন্যাকড়ায় ছেঁকে দোয়াতে ঢেলে কালি।
▷ ন্যাকড়ায়-করণ কারকে ‘য়’ বিভক্তি।
৯. যদি ভারতে জন্ম না হয়ে আমার জন্ম হত প্রাচীন মিশরে?
> মিশরে-অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
১০. ফাউন্টেন পেন বা বলপেনের বদলে খাগের কলম।
▷ খাগের-সম্বন্ধপদে ‘এর’ বিভক্তি।
১১. তাতেও রয়েছে ধারালো ব্লেড।
▷ ব্লেড-কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১২. বলেই মুখ থেকে খাপটা সরিয়ে …।
▷ মুখ থেকে-অপাদান কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ।
১৩. অন্যরা প্রায় সবাই লিখছেন কলমে।
> সবাই-কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
রেখাঙ্কিত পদগুলির ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো
১. আমি যেখানে কাজ করি সেটা লেখালেখির আপিস।
> লেখালেখির-লেখা ও লেখি-দ্বন্দ্ব সমাস, তার।
২. মাস্টারমশাই দেখে বুঝে আড়াআড়ি ভাবে…।
> মাস্টারমশাই-যিনি মাস্টার তিনিই মশাই—কর্মধারয় সমাস।
৩. গোরু খেয়ে নিলে অমঙ্গল।
▷ অমঙ্গল-নয় মঙ্গল-নন্তৎপুরুষ সমাস।
৪. তিল ত্রিফলা সিমুল ছালা।
▷ ত্রিফলা-ত্রি (তিন) ফলের সমাহার-দ্বিগু সমাস।
৫. বনপ্রান্ত থেকে কুড়িয়ে নিতাম।
▷ বনপ্রান্ত-বনের প্রান্ত-সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
৬. ছদ্মবেশী বল পেন মাত্র।
▷ বল পেন-বল ওয়ালা পেন-মধ্যপদলোপী কর্মধারয়।
৭. এক হাতে দশ কলমধারী ফেরিওয়ালা কিন্তু এখনও দেখা যায়।
কলমধারী-কলম ধরেন যিনি-উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
৮. তাকে বলা হতো ঝরনা কলম।
▷ ঝরনা কলম-ঝরনা নামক কলম-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
৯. জাপানি কলম।
◇ জাপানি কলম-জাপানে তৈরি কলম-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
১০. সুন্দর নেশার একটি ছিল লিপিশিল্প।
▷ লিপিশিল্প-লিপি নির্ভর শিল্প-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
নির্দেশ অনুসারে বাক্যের পরিবর্তন করো
১. আমি যেখানে কাজ করি সেটা লেখালেখির আপিস। (সরলবাক্যে)
> আমি লেখালেখির আপিসে কাজ করি। (সরলবাক্য)
২. প্রতিটি বোতামে ছাপা রয়েছে একটি করে হরফ। (জটিল বাক্যে)
▷ যে বোতামগুলি রয়েছে, তার প্রত্যেকটিতে ছাপা রয়েছে একটি করে হরফ। (জটিল বাক্য)
৩. বাইরে ফেললে গোরু খেয়ে নিলে অমঙ্গল। (জটিল বাক্যে)
> বাইরে ফেললে যদি গোরু খেয়ে নেয় তাহলে অমঙ্গল। (জটিল বাক্য)
৪. লাউপাতা দিয়ে তা ঘষে তুলে একটা পাথরের বাটিতে রাখা জলে তা গুলে নিতে হতো। (যৌগিক বাক্যে)
▷ লাউপাতা দিয়ে তা ঘষে তোলা হতো এবং একটা পাথরের বাটিতে রাখা জলে গুলে নিতে হত। (যৌগিক বাক্য)
৫. অল্প জল তো, তাই অনেক সময় টগবগ করে ফুটত। (সরলবাক্যে)
> জল অল্প হওয়ায় অনেক সময় টগবগ করে ফুটত। (সরলবাক্য)
৬. আমরা শুধু জানি দেশে সবাই স্বাক্ষর না হলেও, কলম এখন সর্বজনীন। (যৌগিক বাক্যে)
> আমরা শুধু জানি দেশে সবাই স্বাক্ষর নন, কিন্তু কলম সর্বজনীন। (যৌগিক বাক্য)
৭. লাল নীল দু-রকম বড়িই পাওয়া যেত। (যৌগিক বাক্যে)
> লাল বড়িও পাওয়া যেত এবং নীল বড়িও পাওয়া যেত। (যৌগিক বাক্য)
৮. তাঁর অনেক সুস্থ সুন্দর নেশার একটি ছিল লিপিশিল্প। (জটিল বাক্যে)
▷ তাঁর যেসব সুস্থ সুন্দর নেশা ছিল, তার মধ্যে একটি ছিল লিপিশিল্প। (জটিল বাক্য)
নির্দেশ অনুসারে বাচ্য পরিবর্তন করো
১. দায়সারা ভাবে কোনও মতে সেদিনকার মতো কাজ সারতে হয়। (কর্তৃবাচ্যে)
▷ দায়সারাভাবে কোনো মতে সেদিনকার মতো কাজ সেরে নিই। (কর্তৃবাচ্য)
২. আর সেগুলি বান্ডিল করে নিয়ে যেতাম স্কুলে। (ভাববাচ্যে)
▷ আর সেগুলি বান্ডিল করে নিয়ে যাওয়া হত স্কুলে। (ভাববাচ্য)
৩. আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই। (কর্মবাচ্যে)
▷ কালিও তৈরি হত আমাদের নিজেদের দ্বারা। (কর্মবাচ্য)
৪. কলম সেদিন খুনিও হতে পারে বইকী। (কর্মবাচ্যে)
▷ সেদিন কলম দিয়ে খুনও করা যেতে পারত বইকী। (কর্মবাচ্য)
৫. তাকে আবার কেউ কেউ বলেন ডট-পেন। (কর্মবাচ্যে)
> কোনো কোনো ব্যক্তির দ্বারা তা ডট-পেন নামে খ্যাত। (কর্মবাচ্য)
৬. এর একটা বিহিত তাঁকে করতেই হবে। (কর্তৃবাচ্যে)
▷ এর একটা বিহিত তিনি করবেনই। (কর্তৃবাচ্য)
৭. আমরা কালি বানাতাম কালি ট্যাবলেট বা বড়ি-গুলি দিয়ে। (ভাববাচ্যে)
▷ আমাদের কালি বানাতে হত কালি-ট্যাবলেট বা বড়ি-গুলি দিয়ে। (ভাববাচ্য)
৮. রাজা জমিদাররা লিপি-কুশলীদের গুণী বলে সম্মান করতেন। (কর্মবাচ্যে)
▷ রাজা জমিদার কর্তৃক লিপি-কুশলীরা গুণী বলে সম্মানিত হতেন। (কর্মবাচ্য)