প্রাণী হরমোনের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে, প্রাণী হরমোনের সঙ্গে উদ্ভিদ হরমোনের পার্থক্য দেখাও। |
প্রাণী হরমোনের বৈশিষ্ট্য
① উৎস: অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি।
② রাসায়নিক প্রকৃতি: হরমোন প্রোটিনধর্মী বা অ্যামাইনোধর্মী বা স্টেরয়েডধর্মী এবং লিপিডধর্মী হয় (প্রোটিনধর্মী-STH: অ্যামাইনোধর্মী-অ্যাড্রিনালিন ও থাইরক্সিন; স্টেরয়েডধর্মী- টেস্টোস্টেরন, প্রোজেস্টেরন, ইস্ট্রোজেন; লিপিডধর্মী– প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন)।
③ পরিবহণের পদ্ধতি: হরমোন উৎসস্থল থেকে রক্তের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন স্থানে বাহিত হয়। রক্ত থেকে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় কোশে প্রবেশ করে।
④ কাজ ও পরিণতি: হরমোন উৎসস্থল থেকে দূরে বাহিত হয়ে কোশের বিপাকীয় ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। হরমোনের কাজ শেষ হলে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং ক্রিয়া স্থান থেকে বেরিয়ে যায়।
⑤ বাহক ও নিয়ন্ত্রক হিসেবে হরমোনের ভূমিকা: অধিকাংশ ক্ষেত্রে হরমোন পরোক্ষভাবে নানা গ্রন্থির মাধ্যমে নিজেই নিজের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন, পিটুইটারি গ্রন্থির অগ্রখণ্ড থেকে নিঃসৃত TSH (Thyroid Stimulating Hormone) থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন হরমোনের ক্ষরণ ঘটায়। রক্তে থাইরক্সিনের অধিক মাত্রা পিটুইটারি থেকে TSH ক্ষরণ হ্রাসের মাধ্যমে থাইরয়েড থেকে থাইরক্সিন ক্ষরণ হ্রাস করে। এই ধরনের নিয়ন্ত্রণকে ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ (feed back control) বলে।