ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে ইউগ্লিনার গমন পদ্ধতি চিত্রসহ সংক্ষেপে বর্ণনা করো। |
সিলিয়ার সাহায্যে প্যারামেসিয়ামের গমন
প্যারামেসিয়াম (Paramoecium), ভর্টিসেলা (Vorticella), ওপালিনা (Opalina) প্রভৃতি প্রাণীরা বহিঃআবরণে অবস্থিত সিলিয়ার আন্দোলনের সাহায্যে গমন করে বলে এদের গমনকে সিলিয়ারি গমন (cilliary movement) বলে। প্যারামেসিয়ামের সারা দেহে সিলিয়া অনুদৈর্ঘ্য সারিতে সজ্জিত থাকে। দেহাকৃতি সাঁতার কাটার উপযোগী বলে অগ্র ও পশ্চাৎ উভয় দিকে যেতে পারে। দেহের সিলিয়াগুলি নৌকার দাঁড়ের মতো একযোগে অগ্রভাগ থেকে পশ্চাৎ ভাগে জল ঠেলে দেহটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়। পরমুহূর্তে আবার সিলিয়াগুলিকে টেনে সামনের দিকে নিয়ে যায় এবং পুনরায় একইভাবে দাঁড়ের মতো ব্যবহার করে। প্রয়োজনে সিলিয়াগুলিকে বিপরীত মুখে সঞ্চালিত করে পিছোতে পারে অথবা একদিকের সঞ্চালন অপরদিকের তুলনায় কম বা বেশি করে গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। এছাড়া দেহের বহিরাবরণ অত্যন্ত স্থিতিস্থাপক হওয়ায় নমনীয় দেহকে ইচ্ছামতো নানাভাবে ঘুরিয়ে, পেঁচিয়ে, বেঁকিয়ে বিভিন্ন বাধা কাটিয়ে এগিয়ে যেতে পারে।
ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে ইউপ্লিনার গমন
ইউপ্লিনা (Euglena), ট্রাইপ্যানোসোমা (Trypanosoma), নকটিলিউকা (Noctiluca) প্রভৃতি এককোশী প্রাণীদের ফ্ল্যাজেলা থাকে। ফ্ল্যাজেলার ছন্দোবদ্ধ আন্দোলনের সাহায্যে এই সকল প্রাণীরা জলে স্থানান্তরে গমন করে। ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে এই ধরনের গমনকে ফ্ল্যাজেলীয় গমন (flageller movement) বলে। ইউগ্লিনা ফ্ল্যাজেলামকে নৌকার দাঁড়ের মতো চালনা করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। ফ্ল্যাজেলাম প্রতিবার চালনা করার সময় দেহের পেছনদিকে তির্যকভাবে আছড়ে পড়ে এবং প্রতিবার ফ্ল্যাজেলামের গোড়া থেকে প্রান্তভাগ পর্যন্ত স্পন্দনের ঢেউ পরিব্যাপ্ত হয়। ফলে যে সর্পিল চক্রাকার গতি সূচিত হয় তার জন্য সমগ্র দেহটি সামনের দিকে অগ্রসর হয়।