শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকার ৩২ ও ২২৬ নং ধারা আলোচনা করো

শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকার ৩২ ও ২২৬ নং ধারা আলোচনা করো

শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকার ৩২ ও ২২৬ নং ধারা আলোচনা করো
শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকার ৩২ ও ২২৬ নং ধারা আলোচনা করো

শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকার ৩২ ও ২২৬ নং ধারা

(1) শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকারের অর্থ

সংবিধানে মৌলিক অধিকারগুলির উল্লেখ করা থাকলে সেগুলি যথাযথভাবে সংরক্ষিত হবে এমন নয়। বস্তুত মৌলিক অধিকার নিছক ঘোষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে তা অর্থহীন হয়ে পড়ে। সংবিধান বিশেষজ্ঞ শ্রী দূর্গাদাস বসুর ভাষায় বলা যায়, ‘সংবিধানে মৌলিক অধিকারগুলি কার্যকর করার কোনো উপায়ের উল্লেখ যদি না থাকে তবে সেগুলির বিমূর্ত ঘোষণা মূল্যহীন’ (‘Abstract declarations of fundamental right in the constitution are useless, unless there is the means to make them effective.’)। এজন্য মৌলিক অধিকার উল্লেখের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সংবিধানে এই অধিকারগুলি সংরক্ষণের জন্য কিছু বিধিব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন প্রভৃতি দেশে মৌলিক অধিকারগুলি সাধারণ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় কিন্তু ভারতে নাগরিক অধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থাগুলিকে একটি পৃথক গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকার করা হয়েছে। নাগরিকদের জন্য প্রদত্ত মৌলিক অধিকারগুলির যথাযথ সংরক্ষণের জন্য ভারতীয় সংবিধানে শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকারের (Right to Constitutional Remedies) ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(2) লেখ, আদেশ ও নির্দেশের মাধ্যমে অধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা

সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে ৩২ নং ধারা ও ২২৬ নং ধারায় এই শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকার লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ড. আম্বেদকর সংবিধানের ৩২ নং ধারাকে সমগ্র সংবিধানের হৃদয় ও আত্মা বলে বর্ণনা করেছিলেন (‘It is the very soul of the Constitution and the very heart of it’)। গণপরিষদে আম্বেদকর মন্তব্য করেন, ‘আমাকে যদি সংবিধানের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ এমন কোনো ধারার নাম করতে বলা হয়, যে ধারাটিকে বাদ দিলে সংবিধান মূল্যহীন হয়ে পড়বে তাহলে আমি ৩২ নং ধারাটি ছাড়া অন্য কোনো ধারার উল্লেখ করব না।’ নাগরিক অধিকারসমূহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা সমন্বিত এই শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকার অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। অর্থাৎ ৩২ ও ২২৬ নং ধারা অনুসারে, নাগরিকরা তাদের মৌলিক অধিকার বলবৎ ও কার্যকর করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করতে পারে।

(3) শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকারের গুরুত্ব

সংবিধানের ১৩ নং ধারায় মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করার বিরুদ্ধে প্রতিবিধানের ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী, কোনো আইন মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হলে সংশ্লিষ্ট আইনের অসংগতিপূর্ণ অংশ বাতিল বলে গণ্য হবে। এখানে আইন বলতে পার্লামেন্ট প্রণীত আইন ছাড়াও অর্ডিন্যান্স, আদেশ, উপ-আইন, নিয়মকানুন, প্রচলিত প্রথা, রীতিনীতি প্রভৃতিকে বোঝায়। কোনো আইন মৌলিক অধিকারের বিরোধী কি না তা বিচার করার ক্ষমতা সুপ্রিমকোর্টের রয়েছে।

জরুরি অবস্থা ছাড়া অন্য কোনো পরিস্থিতিতে নাগরিকদের এই শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকারটিকে ক্ষুণ্ণ করা যায় না। এমনকি জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রপতি আদেশ জারি করে সংবিধানের ২০ এবং ২১ নং ধারায় উল্লিখিত বিধিবহির্ভূত শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকারকে খর্ব করতে পারেন না। সংবিধানের ৩২ এবং ২২৬ নং ধারায় উল্লিখিত সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের এক্তিয়ারে যে পাঁচ ধরনের লেখ, আদেশ বা নির্দেশের কথা বলা হয়েছে এখন তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে-

(4) সংবিধানে ৩২ এবং ২২৬ নং ধারায় উল্লিখিত পাঁচ ধরনের আদেশ, নির্দেশ বা লেখ

সংবিধানে উল্লিখিত যে পাঁচ ধরনের লেখ (Writs), নির্দেশ বা আদেশের মাধ্যমে নাগরিকরা মৌলিক অধিকার বলবৎকরণের জন্য সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্টের কাছে আবেদন করতে পারে সেই লেখ, নির্দেশ বা আদেশগুলি হল- বন্দি প্রত্যক্ষীকরণ, পরমাদেশ প্রতিষেধ অধিকার-পৃচ্ছা এবং উৎপ্রেষণ।

  • বন্দি প্রত্যক্ষীকরণ: বন্দি প্রত্যক্ষীকরণ বা Habeas corpus একটি লাতিন শব্দ। এর অর্থ হল ‘To have the body of’। অর্থাৎ, কোনো বিচারাধীন বন্দিকে আদালতে সশরীরে হাজির করার অর্থ হল ‘বন্দি প্রত্যক্ষীকরণ’। সুপ্রিমকোর্ট বা হাইকোর্ট বন্দির আবেদন অনুযায়ী আটককারী কর্তৃপক্ষকে আদেশ জারি করে বন্দিকে আদালতকক্ষে হাজির করার জন্য নির্দেশ দিতে পারেন। এরপর কী কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আটক করে রাখা হয়েছে তা জানতে পারেন। আদালত যদি মনে করেন যে, আবেদনকারীকে বেআইনিভাবে আটক করে রাখা হয়েছে তাহলে সুপ্রিমকোর্ট বা হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট বন্দিকে মুক্তিদানের নির্দেশ দিতে পারেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় যে, সুপ্রিমকোর্ট শুধুমাত্র রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘বন্দি প্রত্যক্ষীকরণ’ লেখ জারি করতে পারেন [বিদ্যাভার্মা বনাম শিবনারায়ন (১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দ)]। কিন্তু হাইকোর্টের রাষ্ট্র ও ব্যক্তি উভয়ের বিরুদ্ধেই এই লেখ জারি করার ক্ষমতা রয়েছে। তবে দুটি ক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্ট এই ‘বন্দি প্রত্যক্ষীকরণ’ লেখ জারি করতে পারে না। এগুলি হল- আদালতের নিজস্ব এক্তিয়ারের বাইরে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হলে এই ‘লেখ’ জারি করা যায় না এবং ফৌজদারি অপরাধে আদালতের বিচারে হাজতবাসের শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তির মুক্তির জন্য সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্ট এই লেখ জারি করতে পারে না (জনারধন বনাম হায়দরাবাদ রাজ্য, ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দ)।
  • পরমাদেশ: পরমাদেশ বা Mandamus শব্দটি হল একটি ল্যাটিন শব্দ। এর অর্থ ‘We command’ অর্থাৎ আমরা আদেশ করি। এর মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্ট কোনো অধস্তন আদালত, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য পরমাদেশ জারি করতে পারেন। আইনসংগত ও জনস্বার্থজড়িত কর্তব্য পালনে সরকারের উপর এই পরমাদেশ জারি করা যেতে পারে। অবশ্য রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পরমাদেশ জারির ক্ষমতা সুপ্রিমকোর্ট বা হাইকোর্টকে দেওয়া হয়নি।
  • প্রতিষেধ : প্রতিষেধ বা Prohibition শব্দটির অর্থ হল to forbid অর্থাৎ নিষেধ করা। স্বাভাবিক ন্যায় বিচার বিরোধী কাজ না করার জন্যই মূলত প্রতিষেধ জারি হয়। এই লেখ জারির মাধ্যমে উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতকে নিজ সীমার মধ্যে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করে। এই ধরনের আদেশ শুধুমাত্র আদালতের বিরুদ্ধেই প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। ঊর্ধ্বতন আদালতের এই আদেশ লঙ্ঘিত হলে লঙ্ঘনকারীকে আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করা যায়।
  • অধিকার-পৃচ্ছা : অধিকার-পৃচ্ছা বা quo-warranto হল একটি ল্যাটিন শব্দ। এর অর্থ ‘by what authority or warrant’ অর্থাৎ কোন্ অধিকারে। কোনো ব্যক্তি যদি আইনসম্মতভাবে কোনো সরকারি পদ দাবি করে, যে পদের যোগ্য সে নয় সেক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্ট বা হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট পদের দাবির বৈধতা বিচার করতে পারে। দাবি বৈধ না হলে সেই ব্যক্তিকে পদচ্যুত করা হয়।
  • উৎপ্রেষণ : উৎপ্রেষণ বা Certiorari হল একটি ল্যাটিন শব্দ। এর অর্থ to be informed অর্থাৎ বিশেষভাবে জ্ঞাত হওয়া। অধস্তন বা নিম্ন আদালত যদি অধিকার বহির্ভূতভাবে কোনো ক্ষমতার ব্যবহার করে তাহলে এই লেখ-এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে উক্ত মামলাটিকে  উচ্চ আদালতে পাঠানো যায় এবং এক্তিয়ার বহির্ভূত সিদ্ধান্তকে বাতিল বলে গন্য করা হয়।
  • ব্যতিক্রমসমূহ: সংবিধানে উল্লিখিত অন্যান্য মৌলিক অধিকারগুলির মতো শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকারও অবাধ নয়। কতকগুলি ব্যতিক্রম এই অধিকারটির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এগুলি হল-
  • ৩৫৮ নং ধারা অনুসারে আপৎকালীন জরুরি অবস্থা ঘোষিত হলে সংবিধানের ১৯ নং ধারায় উল্লিখিত স্বাধীনতার অধিকারগুলি অকার্যকর হয়ে যায়। জরুরি অবস্থার সময় আইনসভা যে-কোনো আইন প্রণয়ন করতে পারে এবং শাসন বিভাগ যে-কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
  • জরুরি অবস্থা ঘোষিত হলে রাষ্ট্রপতি আদেশ জারি করে শুধুমাত্র ২০ এবং ২১ নং ধারায় বর্ণিত অধিকারগুলি ছাড়া অন্যান্য সব মৌলিক অধিকার কার্যকর করার জন্য আদালতে আবেদন করার অধিকার স্থগিত রাখতে পারেন [৩৫৯(১) নং ধারা]।
  • সশস্ত্র বাহিনী, জনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিযুক্ত অন্যান্য বাহিনীর যথাযথ কর্তব্য সম্পাদন সুনিশ্চিত করার জন্য এইসব বাহিনীর সদস্যগণ কতখানি মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারবে, তা পার্লামেন্ট আইন করে স্থির করে দিতে পারে। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের সংবিধানের ৫০তম সংশোধনের মাধ্যমে গোয়েন্দা ব্যুরো, সরকারি সম্পত্তির রক্ষী বাহিনীর সদস্য, গোয়েন্দা বিভাগ বা এ ধরনের সংস্থার টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার কর্মীদের ক্ষেত্রেও সংবিধানের বিধান প্রযুক্ত হবে।
  • ভারতের যে-কোনো অঞ্চলে সামরিক শাসন চালু থাকার সময়ে কোনো সরকারি কর্মচারী বা অন্য কেউ শৃঙ্খলা রক্ষা বা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য যদি কোনো অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে আইন প্রণয়ন করতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট কাজকে বৈধ বলে ঘোষণা করতে পারে [৩৪ নং ধারা] পার্লামেন্ট প্রণীত এই ধরনের আইনকে দণ্ডনিষ্কৃতি আইন (Indemnity Act) বলে।

মূল্যায়ন

ভারতীয় সংবিধানের স্বীকৃত মৌলিক অধিকারগুলির রক্ষাকবচ হিসেবে শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গজেন্দ্র গাদকর-এর অভিমত হল, সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ের এই অংশটি গণতান্ত্রিক কাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তরস্বরূপ। কিন্তু এই মূল্যবান মৌলিক অধিকারটির উপর নানান বিধিনিষেধ আরোপিত হওয়ার জন্য এটি বিরূপ সমালোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। সমালোচকদের অভিমত হল, জরুরি অবস্থা জারি থাকাকালীন মৌলিক অধিকারগুলি বিচারবিভাগের সংরক্ষণ হারাবার ফলে মূল্যহীন হয়ে পড়ে। তবে ৪৪তম সংবিধান সংশোধনের পর এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে।

৪৪তম সংশোধনের ফলে শুধুমাত্র যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণের ক্ষেত্রেই ১৯ নং ধারায় স্বাধীনতার অধিকারগুলি বাতিল করা যাবে, অভ্যন্তরীণ জরুরি অবস্থার কারণে তা করা যাবে না। এই সংশোধনীতে, আরও বলা হয়েছে, ২১ নং ধারায় বর্ণিত জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকারকে রাষ্ট্রপতি কোনো অবস্থাতেই স্থগিত রাখতে পারবেন না। জরুরি অবস্থা ছাড়া অন্য সময়ে বিশেষ ক্ষেত্রে নিবর্তনমূলক আটক আইনের সাহায্যে মৌলিক অধিকারকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। সমালোচকরা একে গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ বলে মনে করেননি।

গণপরিষদে ড. আম্বেদকর বলেছিলেন যে, রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে অথবা জরুরি অবস্থায় মৌলিক অধিকারসমূহ স্থগিত রাখার প্রশ্ন দেখা দিতে পারে। পৃথিবীর সব দেশে জরুরি অবস্থায় মৌলিক অধিকার নিয়ন্ত্রিত হয়। এজন্য সেখানে সাধারণ আইনই যথেষ্ট। কিন্তু ভারতে সংসদের অনুমোদন ছাড়া কোনো মৌলিক অধিকার স্থগিত রাখা যায় না। সংসদের সমর্থনকে এখানে শ্রেষ্ঠ রক্ষাকবচ হিসেবে রাখা হয়েছে।

(1) নাগরিক এবং বিদেশিদের জন্য মৌলিক অধিকার

  • শুধুমাত্র নাগরিকদের জন্য উল্লিখিত মৌলিক অধিকারসমূহ 
  • ধর্ম, জাতি, বর্ণ, স্ত্রী-পুরুষ জন্মস্থান ভেদে নাগরিকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না (১৫ নং ধারা)।
  • সরকারি চাকুরি বা পদে নিয়োগের ব্যাপারে সমান সুযোগসুবিধা পাওয়ার অধিকার (১৬ নং ধারা)
  • ছয় প্রকার স্বাধীনতার অধিকার যথা- বাক্বাধীনতা ও মতামত প্রকাশ করার অধিকার, শান্তিপূর্ণ ও নিরস্ত্রভাবে সমবেত হওয়ার অধিকার, সংঘ বা সমিতি কিংবা সমবায় সমিতি গঠনের অধিকার, ভারতের সর্বত্র চলাফেরা করার অধিকার,  ভারতের যে-কোনো অঞ্চলে স্বাধীনভাবে বসবাস করার অধিকার এবং যে-কোনো বৃত্তি, পেশা বা ব্যাবসাবাণিজ্য করার অধিকার। (১৯ নং ধারা)
  • সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের নিজ ভাষা, লিপি ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ করার অধিকার (২৯ নং ধারা)
  • সংখ্যালঘু শ্রেণির শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান গঠনের অধিকার (৩০ নং ধারা)।
  • নাগরিক এবং বিদেশিদের জন্য উল্লিখিত মৌলিক অধিকারসমূহ 
  • আইনের দৃষ্টিতে সমতার অধিকার ও আইনসমূহ কর্তৃক সমভাবে সুরক্ষিত হওয়ার অধিকার (১৪ নং ধারা)।
  • আইন লঙ্ঘন করার অপরাধ ছাড়া শাস্তি না পাওয়ার অধিকার (২০ নং ধারা)
  • জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সুরক্ষার অধিকার (২১ নং ধারা)
  • অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার (২১ ক নং ধারা)
  • কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার ও আটক না হওয়ার অধিকার। (২২ নং ধারা)
  • মানবপাচার ও বেগার শ্রমের বিরুদ্ধে সুরক্ষিত থাকার অধিকার। (২৩ নং ধারা)
  • শিশু শ্রমের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকার অধিকার (২৪ নং ধারা)
  • ধর্মীয় কাজকর্ম পরিচালনার অধিকার (২৬ নং ধারা)
  • ধর্মীয় আচারবিধি পালনের জন্য করদানের হাত থেকে অব্যাহতি পাওয়ার অধিকার (২৭ নং ধারা)।
  • বিশেষ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার অধিকার (২৮ নং ধারা)।

Read More – As You Like It MCQ

Leave a Comment