একটি কোশচক্রের ইন্টারফেজের বিভিন্ন দশায় কী কী ধরনের রাসায়নিক উপাদান সংশ্লেষিত হয়? একটি কোশচক্রের বিভিন্ন বিন্দুতে স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হলে কী ঘটতে পারে? |
কোশচক্রের ইন্টারফেজের বিভিন্ন দশায় রাসায়নিক উপাদানের সংশ্লেষণ
ইন্টারফেজ: এই পর্যায়ে কোশ বিভাজন ঘটে না। এই সময় বিভাজনের প্রস্তুতি পর্ব চলে। এই সময় DNA, RNA ও প্রোটিন সংশ্লেষণের কাজ সংঘটিত হয়। ইন্টারফেজে তিনটি দশা দেখা যায়। যথা-
(i) G, দশা বা প্রোথ-1 দশা (G₁ stage): এই দশায় RNA ও প্রোটিন সংশ্লেষ হয়।
(ii) S দশা বা সংশ্লেষণ দশা (S stage): এই দশায় DNA সংশ্লেষণ ঘটে।
(iii) G₂ দশা বা প্রোথ-G₂ দশা (G₂ stage): এই দশায় চরম বিপাকীয় সক্রিয়তা দেখা যায়। বিভিন্ন প্রকার RNA অণুর সংশ্লেষ ঘটে। বেমতত্ত্ব গঠনকারী প্রোটিনের সংশ্লেষ ঘটে। নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমের আয়তন বৃদ্ধি পায়।
কোশচক্রের বিভিন্ন বিন্দুতে স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হলে কোশ বিভাজন অনিয়মিত হয়ে পড়বে। ফলে অতি দ্রুত কোশ বিভাজন ঘটবে ফলে যে কোশপুঞ্জ সৃষ্টি হয় তাকে টিউমার বলে। টিউমার যদি রক্তবাহের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে এবং নতুন টিউমার সৃষ্টি করে, তখন তাকে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার ও নির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ থাকলে তাকে বিনাইন টিউমার বলে। বিনাইন টিউমার ক্ষতিকারক নয়।