আজব শহর কলকেতা প্রশ্ন উত্তর ক্লাস 12 চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা

সূচিপত্র

আজব শহর কলকেতা প্রশ্ন উত্তর ক্লাস 12 চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা | Ajob Shohor Kolkata Question Answer

আজব শহর কলকেতা প্রশ্ন উত্তর
আজব শহর কলকেতা প্রশ্ন উত্তর

১। সৈয়দ মুজতবা আলীর রচনাশৈলী ‘আজব শহর কলকেতা’ প্রবন্ধ অবলম্বনে আলোচনা করো। ৫

বাংলা সাহিত্যে আড্ডার ভঙ্গিতে পরিবেশিত রম্যরচনার অনন্য রূপকার সৈয়দ মুজতবা আলী। তাঁর রচনাশৈলী ‘আজব শহর কলকেতা’ শীর্ষক প্রবন্ধের ক্ষুদ্র পরিসরেও নিজস্বতায় উজ্জ্বল।

প্রথমত: আলী সাহেবের লেখায় ইতিহাস, মানবজীবন, সমাজ, রাজনীতি অর্থনীতি ও নান্দনিক বিষয় সবই চমৎকাররূপে প্রতিভাত হয়েছে।

দ্বিতীয়ত: তাঁর রচনায় বাংলার সঙ্গে ইংরেজি, হিন্দি, ফারসি, পুশতু, আরবি, জার্মান, ফরাসি প্রভৃতি ভাষার শব্দের অদ্ভুত মিশেল ঘটেছে।

তৃতীয়ত: কখনও হিউমার, কখন স্যাটায়ার, কখন বা উইটের প্রয়োগে তিনি পাঠককে হাস্যরসের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্রুপের জ্বালাও সহ্য করতে বাধ্য করেছেন।

চতুর্থত: মুজতবা আলী মজলিশি আড্ডার মেজাজ বজায় রেখেছেন প্রবন্ধে। এই আড্ডার তথ্য পান্ডিত্যের ভারে ভারাক্রান্ত নয়, উপভোগের বিষয়।

পঞ্চমত: জ্ঞানপিপাসু মনের সঙ্গে আনন্দপিপাসু মনের খোরাক সৈয়দ মুজতবা আলী সরস রম্যতায় পরিবেশন করেছেন। ঘরকুনো-নিভৃতচারী পাঠককে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি আপনমনে দু-দণ্ড প্রাণ খুলে হাসানোরও দায়িত্ব নিয়েছেন প্রাবন্ধিক।

ষষ্ঠত: প্রাবন্ধিক তাঁর বিচিত্র অভিজ্ঞতাকে বর্ণময় করে তুলেছেন। প্রতিটি অভিজ্ঞতার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা যেন এক একটি রঙিন ক্যানভাস হয়ে উঠেছে।

২। “ছেলেবেলা থেকে শুনে আসছি”-কে, ছেলেবেলা থেকে কোন্ কথা শুনে আসছেন? বক্তার পরিচয় দাও। ২+৩

যিনি: আলোচ্য অংশটি প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘আজব শহর কলকেতা’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে বক্তা আলী সাহেব স্বয়ং ছেলেবেলা থেকে শুনে আসছেন, এ কথা বলা হয়েছে।

যে কথা: ছেলেবেলা থেকেই বক্তা শুনে আসছেন যে, কলকাতা হল এক আজব শহর। যদিও তার সপক্ষে তিনি কোনো প্রমাণ পাননি। তাই কলকাতা শহরকে চেনার জন্য, তার আজব ভাব উপলব্ধি করার জন্য প্রাবন্ধিকের উৎসাহের সীমা ছিল না।

বক্তার পরিচয়: বক্তা হলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও ভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলী। প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনি, উপন্যাস ও রম্যরচনায় তাঁর কৃতিত্ব অবিস্মরণীয়। তিনি বাংলা, ইংরেজি ছাড়াও বহু ভাষায় প্রাজ্ঞ ছিলেন। ‘আজব শহর কলকেতা’ প্রবন্ধে তাঁর সেই ভাষাজ্ঞানের প্রমাণ মেলে। তিনি ছিলেন ‘সুরসিক’। আমাদের পাঠ্য ‘পঞ্চতন্ত্র’-এর প্রবন্ধগুলিতে তাঁর সূক্ষ্ম হাস্যরসের পরিচয় পাওয়া যায়। আলোচ্য প্রবন্ধে মজলিশি ঢঙে তিনি যেসব প্রসঙ্গ উত্থাপন করে শহর কলকাতার আজবভাব-কে তুলে ধরেছেন, তা রম্যরচনা হিসেবে প্রবন্ধটিকে অনন্য মাত্রা দিয়েছে।

৩। ‘আজব শহর কলকেতা’-এই শব্দবন্ধটি প্রথম কোথায় ব্যবহৃত হয়? হঠাৎ কী দেখে প্রাবন্ধিকের মনে হয়েছিল কলকাতা শহর আজব? ২+৩

প্রথম উল্লেখ: ‘আজব শহর কলকেতা’ এই শব্দবন্ধটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ‘হুতোম প্যাঁচার নক্শা’ গ্রন্থে। এই গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন কালীপ্রসন্ন সিংহ। এই গ্রন্থে উনবিংশ শতাব্দীর নব্য আধুনিক কলকাতার যে বৈচিত্র্যময় সমাজচিত্র তুলে ধরা হয়েছে, ‘আজব শহর কলকেতা’ প্রবন্ধেও প্রাবন্ধিক যেন হুতোমের অনুসরণেই এক বর্ণময়, বহু বিচিত্র ঘটমান ঘটনা সমন্বিত কলকাতার ছবি আঁকতে চেয়েছেন।

মনে হওয়ার কারণ: পাঠ্য ‘আজব শহর কলকেতা’ প্রবন্ধে আমরা দেখি, প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী ছেলেবেলা থেকেই কলকাতা শহর আজব, এ কথা শুনে এসেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে তেমন কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ তিনি পাননি। প্রমাণ সংগ্রহের জন্যই শহর কলকাতা ঘুরতে বেরিয়েছিলেন প্রাবন্ধিক। হঠাৎ তাঁর নজরে আসে একটি ‘ফ্রেঞ্চ বুক শপ’। শহর কলকাতায় যেখানে প্রকাশকরা বাংলা বই বিক্রি করেই বহু সময় লাভের মুখ দেখতে পান না, সেখানে কোনো বই বিক্রেতা কলকাতায় ফরাসি ভাষার বই বিক্রি করবেন বলে দোকান খুলেছেন-এই বিষয়টাই প্রাবন্ধিকের কাছে ছিল অবিশ্বাস্য, অবাক করা। তাই তাঁর মনে হয়েছিল কলকাতা শহর হয়তো সত্যিই আজব।

৪। “তবু তার প্রমাণ পেলুম কমই”-কে, কীসের প্রমাণ কম পেয়েছিলেন এবং সে বিষয়ে তাঁর আপশোশ থেকে গিয়েছিল কেন? ৫

বক্তা: সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘আজব শহর কলকেতা’ প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত অংশে স্বয়ং প্রাবন্ধিকের প্রমাণাভাবের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। যে প্রমাণ: কলকাতা যে ‘আজব শহর’ তা প্রাবন্ধিক তাঁর ছেলেবেলা থেকেই শুনে আসছেন। কলকাতার ‘আজব’ চরিত্রের কথা বহুশ্রুত হলেও তার উপযুক্ত প্রমাণ তিনি লাভ করেছেন অনেক কম। জনশ্রুতির পাশাপাশি কলকাতার আজব ভাব বোঝার জন্য যথাযথ প্রমাণের প্রয়োজন। তাই উপযুক্ত প্রমাণ সহযোগে প্রবন্ধ লেখার তাগিদে, তার উপকরণ সংগ্রহ করতেই কলকাতার রাজপথে নেমেছিলেন তিনি।

আপশোশের কারণ: প্রাবন্ধিক ছোটোবেলা থেকে শুনে আসছেন, কলকাতা হল এক আজব শহর। একসময় বাংলার রক্ষণশীল সমাজ ‘গজিয়ে ওঠা’ কলকাতার নব্য কালচার দেখে বলত- “মিথ্যে কথার কিবা কেতা। আজব শহর কলকেতা”। তিনি বুড়ো হতে চলেছেন তবু এ কথার কোনো কঠোর প্রমাণ পাননি। তাই তাঁর আপশোশ থেকে গিয়েছে।

৫। “তাই নিয়ে একখানা প্রামাণিক প্রবন্ধ লিখব ভাবছি”-কে, কী নিয়ে প্রামাণিক প্রবন্ধ লিখবেন ভেবেছিলেন? লিখতে বসে প্রাবন্ধিকের কী অবস্থা হয়েছিল? ২+৩

যিনি: আলোচ্য অংশটি সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত, ‘আজব শহর কলকেতা’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। এই প্রবন্ধ থেকে আমরা জানতে পারি প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী একখানা প্রামাণিক প্রবন্ধ লিখবেন ভেবেছিলেন।

প্রবন্ধের বিষয়: প্রাবন্ধিক ছেলেবেলা থেকেই শুনে আসছেন- কলকাতা হল এক আজব শহর। কিন্তু তার প্রমাণ তিনি বৃদ্ধ বয়সে এসেও সেভাবে পাননি। তাই এই বিষয়ে তিনি একটা প্রামাণিক প্রবন্ধ লিখবেন তিনি বলে মনস্থির করেছিলেন- সে-কথাই এখানে বলা হয়েছে।

প্রাবন্ধিকের অবস্থা: ‘কলকাতা আজব শহর’-এ বিষয়ে একটি প্রামাণিক প্রবন্ধ লেখার কথা যখন প্রাবন্ধিক ভাবছেন তখনই হঠাৎ নামে প্রবল বৃষ্টি। এই অবিরাম বর্ষণে প্রাবন্ধিককে এক গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ, তাঁর কাছে না ছিল ছাতা, না ছিল বর্ষাতি। ট্রামে চড়ার তাগদ নেই, বাসে চড়ার আগ্রহ নেই, আর্থিক অবস্থার জন্য ট্যাক্সি চড়ার ক্ষমতাও নেই। এই অকালদুর্যোগে তাই পথ না হারিয়েও বাড়ি ফেরার চিন্তাটা পথ হারানোর বেদনার মতোই হয়ে ওঠে। আসলে বাড়ির পথ আর প্রবন্ধ রচনার পথ-উভয়ই তিনি যেন হারিয়ে ফেলেছিলেন।

৬। “সমীরণের পথ হারানোর বেদনা বেজে উঠল”-সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করো। ৫

প্রসঙ্গ: প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী ছোটোবেলা থেকেই শুনে আসছেন কলকাতা নাকি আজব শহর। যদিও বয়স গড়ালেও সেই আজব ভাবটি টের পেয়েছেন খুব কমই। তা সত্ত্বেও এই বিষয় নিয়ে যখন একটি প্রামাণিক প্রবন্ধ লেখার কথা তিনি ভাবছেন, তখনই নামে প্রবল বৃষ্টি। সেই প্রসঙ্গেই উদ্ধৃতিটির অবতারণা।

ব্যাখ্যা: প্রাবন্ধিকের কেবল জীবনের সঙ্গেই নয়, যেন কলমের সঙ্গেও তাঁর জীবন দেবতা, তাঁর গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ছিলেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। তাই হঠাৎই ঝড়-বৃষ্টি নামায় তাঁর মনে পড়ে যায় রবীন্দ্রনাথের গান। ১৩৪২-এর ৫ শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন “মনে হল যেন পেরিয়ে এলেম অন্তবিহীন পথ”-এই প্রকৃতি পর্যায়ের গানটি। কবির অন্তর্জগৎ এবং বাহ্যিক পৃথিবী-দুই-ই তখন উত্তাল। শান্তিনিকেতনে তখন নেমেছে শ্রাবণের প্রবল ধারাবর্ষণ। তখনই কবির লেখনী দিয়ে বেরিয়ে এসেছিল উক্ত গানটি। যার একটি পঙ্ক্তি ছিল- “পথ-হারানোর বাজিছে বেদনা – সমীরণে।” অকালদুর্যোগে বাড়ি ফেরার চিন্তা পথ হারানোর মতোই সমস্যা – হয়ে ওঠায়, প্রাবন্ধিক সেই প্রসঙ্গেই, আলোচ্য প্রবন্ধে রবীন্দ্রগানের উত্ত কলিটি ব্যবহার করেছেন। এখানে প্রাবন্ধিকের পথ হারানোর মতো সমস্যা যেন রবীন্দ্রনাথের গানের বেদনা হয়ে বেজে উঠেছিল।

৭। “যদিও পথ হারাইনি তবু সমস্যাটা একই”-আলোচ্য অংশে পথ হারানোর প্রসঙ্গ এসেছে কেন? পথ না হারিয়েও বক্তা সেই একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন কেন? ২+৩

পথ হারানোর প্রসঙ্গ: আলোচ্য অংশটি সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘অনুব শহর কলকেতা’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। এই প্রবন্ধ থেকে আমরা জানতে পারি প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী একদিন কলকাতা শহর ঘুরে দেখছিলেন। সেইসময়ে হঠাৎ বৃষ্টি নামে। প্রাবন্ধিকের কাছে সেইদিন ছাতা বা বর্ষাতি কিছুই ছিল না এবং ট্রামে-বাসে চেপে বাড়ি ফেরার মতো যথেষ্ট টাকাও ছিল না। তাই যদিও তিনি পথ হারাননি, তবু বৃষ্টির দিনে এমন পরিস্থিতি তাঁর কাছে ছিল পথ হারানোর সমান। অর্থাৎ, তাঁর অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল যে, আদতে পথ না হারালেও তাঁর বাড়ি ফেরার কোনো উপায় ছিল না। এই অসহায় অবস্থা বোঝাতেই সমীরণে পথ হারানোর প্রসঙ্গ এসেছে।

সমস্যাটা এক হওয়ার কারণ: কলকাতার রাজপথে হাঁটতে হাঁটতে, কলকাতা যে আজব শহর-এ বিষয়ে একটি প্রামাণিক প্রবন্ধ লেখার কথা যখন প্রাবন্ধিক ভাবছেন, তখন হঠাৎই নামল জোর বৃষ্টি। প্রবল বাতাসে পথ হারানোর বেদনা বেজে উঠল। তিনি পথ হারাননি, কিন্তু বাড়ি ফেরারও উপায় নেই। কারণ তাঁর কাছে ছাতা নেই, বর্ষাতি নেই। ট্রামে চড়ার মতো তাগদ নেই। ভীড় বাসে চড়ার ইচ্ছা নেই। আর্থিক অক্ষমতার জন্য ট্যাক্সি চড়তে বুক কচকচ করে।

ফলে অকালদুর্যোগে পথ না হারিয়েও বাড়ি ফেরার চিন্তার বেদনাটা পথ হারানোর মতোই সমস্যা ঘনিয়ে তুলল। আবার কলকাতা আজব শহর, তা প্রমাণের মালমশলা না পাওয়াও যেন একই সমস্যা ঘনিয়ে তোলে বলে মনে করেছেন প্রাবন্ধিক।

৮। “… তবু সমস্যাটা একই”-কোন্ সমস্যার কথা বলা হয়েছে? তাঁর সমস্যার কারণগুলি লেখো। ২+৩

সমস্যার বর্ণনা: পাঠ্য ‘আজব শহর কলকেতা’ প্রবন্ধ থেকে আমরা জানতে পারি প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী ছোটোবেলা থেকেই শুনে আসছেন কলকাতা ‘আজব শহর’। অথচ তার প্রমাণ বুড়ো বয়স পর্যন্ত পেলেন না। এই কথাই যখন ভাবছিলেন প্রাবন্ধিক তখনই জোর বৃষ্টি নামে। আচমকা ঝড় উঠলে যেমন চারদিক ধুলোয় অন্ধকার হয়ে যায়, চেনা পথ হয়ে যায় অচেনা, তেমনই প্রাবন্ধিকেরও একই সমস্যা হয়েছিল। সঙ্গে না ছিল বৃষ্টি থেকে নিজেকে রক্ষা করার সাজ-সরঞ্জাম, না যানবাহনে চড়ার তাগিদ। আবার অর্থাভাবে বিলাসব্যসনের সুযোগও ছিল না। বাড়ি ফেরার সমস্যাটা তাই ঝড়ে পথ হারানোর মতোই মনে হয়েছে আলী সাহেবের।

বক্তার সমস্যার কারণ: বক্তা অর্থাৎ প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী ‘আজব শহর কলকেতা’-কে নিয়ে একটি প্রামাণিক প্রবন্ধ লেখার কথা ভাবতে ভাবতে শহরের পথে হাঁটছিলেন, তখন অঝোরধারায় বৃষ্টি নামে। ফলে বাড়ি ফেরা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। কারণ-

প্রথমত, বৃষ্টিতে না ভিজে বাড়ি ফেরার জন্য ছাতা কিংবা বর্ষাতি ছিল না তাঁর কাছে।

দ্বিতীয়ত, তাঁর ট্রামে চড়ার মতো তাগদ ছিল না।

তৃতীয়ত, বাসে করে বাড়ি ফেরার কথা প্রাবন্ধিক ভাবতেই পারেননি।

চতুর্থত, ট্যাক্সিতে চড়ার মতো আর্থিক ক্ষমতাও তাঁর নেই।

তেমন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এই সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল প্রাবন্ধিককে।

৯। “কাজেই বাড়ি ফেরার চিন্তার বেদনাটা ‘পথ হারানো’র মতোই হল” -বাড়ি ফেরার চিন্তা কেন বেদনায় পরিণত হয়েছিল? ‘পথ হারানো কথাটির গুরুত্ব আলোচনা করো। ২+৩

চিন্তা বেদনায় পরিণত হওয়ার কারণ: ‘আজব শহর কলকেতা’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন, কলকাতার রাস্তায় চলার পথে হঠাৎই প্রবল বাতাসের সঙ্গে মুশলধারায় বৃষ্টি নামে। ছাতা-বর্ষাতি কিছুই না থাকায় প্রাবন্ধিক বাড়ি ফেরার চিন্তায় বেদনার্ত হয়ে পড়েন। ট্রামে- বাসে চড়ার মতো দৈহিক শক্তি তখন তাঁর নেই। এদিকে ট্যাক্সির ভাড়া মহার্ঘ – হওয়ায় তা তাঁর সাধ্যের অতীত। তাই ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে কীভাবে বাড়ি ফিরবেন, এই চিন্তা পথভ্রষ্ট হওয়ার বেদনার সমতুল্য বলে মনে হয়েছিল তাঁর।

পথ হারানো কথাটির গুরুত্ব: শহর কলকাতা ঘুরতে বেরিয়ে অবিরাম বর্ষণে প্রাবন্ধিককে খুব অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল। কথায় আছে, ‘যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধে হয়’। কলকাতা ভ্রমণে বেরিয়ে সেই রকমই এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হন প্রাবন্ধিক আলী সাহেব। হঠাৎ বৃদ্ধি নামলে আত্মরক্ষা করা যাবে, না-ছিল এমন সাজ-সরঞ্জাম, না-ছিল তাগদ, হঠাৎ দুর্যোগ উপস্থিত হলে ভিড়ে ঠাসাঠাসি ট্রামে-বাসে আশ্রয় নেওয়ার। এদিকে চরম অর্থাভাবে বিলাসবহুল গাড়ি চড়ার সুখও অধরা। এমনসময় হঠাৎই চোখে পড়ল, শহর কলকাতার বুকে স্পর্ধাভরে দাঁড়িয়ে আছে একটি ‘ফ্রেঞ্চ বুক শপ’। বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে সেখানে প্রবেশ করলেন বটে, কিন্তু যে, শহরে বাংলা বই-ই বিক্রি হয় না, সেখানে ফরাসি বই-এর দোকান তাঁকে হতবাক করল। তখন কলকাতা শহরের আজব চরিত্র নিয়ে প্রামাণিক প্রবন্ধ লেখার কথা চিন্তা করার অবকাশও আর আলী সাহেবের ছিল না। তাই পথ না হারালেও প্রাবন্ধিকের করুণ অবস্থাকে পথ হারানোর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কারণ বাড়ির পথ আর প্রবন্ধ রচনার পথ উভয়ই তিনি হারিয়ে ফেলেছেন।

১০। “এমন সময় সপ্রমাণ হয়ে গেল ‘কলকেতা আজব শহর”-কীভাবে প্রমাণিত হল যে কলকেতা আজব শহর? ৫

যেভাবে প্রমাণিত হল: প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘আজব শহর কলকেতা’ প্রবন্ধে দেখা যায়, প্রাবন্ধিক কলকাতার আজব স্বভাবখানি নিয়ে একটা প্রামাণ্য প্রবন্ধ লেখার অভিপ্রায়ে কলকাতার রাজপথে নেমেছেন। তাঁর সন্ধানী চোখ যখন প্রবন্ধের উপাদান খুঁজে বেড়াচ্ছে, তখন শহরের বুকে প্রবল দুর্যোগ এসে উপস্থিত হয়। প্রবল বাতাস, প্রবল ধারাবর্ষণ-এদিকে তাঁর না আছে ছাতা বা বর্ষাতি, না আছে সামর্থ্য ট্রামে-বাসে চড়ার। অর্থাভাবে ট্যাক্সিও অধরা। এই প্রবল দুর্যোগে ও চরম অসহায়তায় বাড়ির পথ আর সৃষ্টির পথ দুই-ই যখন হারাতে বসেছেন, এমন সময় একটি দোকানের সাইন বোর্ড তাঁকে বিস্মিত করে। বাড়ি ফেরার চিন্তায় প্রাবন্ধিক যখন উদ্ভ্রান্ত, তখন সামনেই পড়ে একটি বুক শপ, সেটি আবার যেমন-তেমন নয়, ‘ফ্রেঞ্চ বুক শপ’। কলকাতার ক্রমহ্রাসমান পাঠককুল, বই বাণিজ্যে লোকসান ইত্যাদি নানাবিধ কারণে বাঙালি প্রকাশকদের বই যেখানে বিক্রি-ই হয় না, সেখানে ফরাসি বইয়ের প্রকাশক কি হালহকিকত না জেনেই পথ হারিয়ে এই দোকান খুলে বসেছেন? কারণ বাংলায় যদি বাংলা বইয়েরই এমন দুর্দশা, তাহলে ফরাসি বই বিক্রি হবে কী করে! কলকাতা শহরের আজব ভাবখানার যে অংশটুকু প্রাবন্ধিকের কাছে ছিল অধরা, আক্ষেপের কারণ কলকাতা বক্ষের ‘ফ্রেঞ্চ বুক শপ’ সেটুকুকে পূর্ণ করে তাঁকে হতবাক করে। প্রমাণিত হয় কলকাতা সত্যই আজব শহর।

১১। ১৯১৪ আজব শহর কলকেতা’-য় ফরাসি বইয়ের দোকান দেখে লেখকের মনে কীরূপ ভাবের উদয় হয়েছিল? দোকানের ভিতর ঢুকে লেখক কীরূপ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলেন? 

অথবা, “সামনে দেখি বড় বড় হরফে লেখা ‘ফ্রেঞ্চ বুক শপ'”ー ‘ফ্রেঞ্চ বুক শপ’-টিতে গিয়ে প্রাবন্ধিকের কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা প্রসঙ্গ-সহ বর্ণনা করো। ৫

প্রসঙ্গ: পাঠ্য ‘আজব শহর কলকেতা’ প্রবন্ধ থেকে আমরা জানতে পারি প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী ছেলেবেলা থেকে ‘আজব শহর’ কলকাতাকে নিয়ে একটি প্রামাণিক প্রবন্ধ রচনার পরিকল্পনা করেন। ঠিক সেইসময়ই ঝড়-বৃষ্টির দাপটে বাড়ি ফেরার চিন্তা তাঁকে গ্রাস করে। পথহারানোর অনুভূতির মধ্যেই কলকাতা যে ‘আজব শহর’ তার প্রমাণ তিনি হঠাৎই পেয়ে যান, একটি ‘ফ্রেঞ্চ বুক শপ’ লেখা দোকান সামনে দেখে। কলকাতার আজব স্বভাবখানার প্রমাণস্বরূপই ‘ফ্রেঞ্চ বুক শপ’-এর প্রসঙ্গটি এসেছে।

প্রথম দর্শনে প্রাবন্ধিকের মনের ভাব: প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী একদিন শহর কলকাতা ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ রাস্তায় দেখতে পান ‘ফ্রেঞ্চ বুক শপ’ নামক একটি বইয়ের দোকান। প্রথমে বাইরে থেকে তিনি ভেবেছিলেন নামে ফরাসি হলেও, ভিতরে হয়তো মিলতে পারে প্রসাধনসামগ্রীর মতো ঝকমকে কোনো রদ্দি বই। অর্থাৎ, কেবল ক্রেতাকে আকর্ষণ করার জন্য বাইরে এমন নাম লেখা আছে।

দোকানে প্রবেশের পর প্রাবন্ধিকের অভিজ্ঞতা: দোকানে প্রবেশ করার পর প্রাবন্ধিকের ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটে। তিনি দেখেন, চারদিকে প্রচুর হলদে ও সাদা মলাটওয়ালা ফরাসি বই ছড়ানো আছে। অর্থাৎ, বিক্রেতা কেবল ফরাসি বই বিক্রি করেই লক্ষ্মীলাভ করতে চান। দোকানদার বইগুলোকে সাজিয়েছেন বাঙালি দোকানদারদের মতো-টাইপরাইটারের হরফ সাজানোর কায়দায়। অর্থাৎ কেউ সাজানোর পদ্ধতিটা আয়ত্ত করতে পারলে অনায়াসেই বই খুঁজে নিতে পারবে। এই দোকানের বিক্রেতা ফরাসি মেমসাহেবের সঙ্গেও পরে প্রাবন্ধিকের কথোপকথন হয় এবং ফরাসি ভাষার প্রতি তাঁর একাত্মতা, তাঁর জাত্যভিমান প্রাবন্ধিক উপলব্ধি করেন।

১২। “নিশ্চয়ই কোনো ফরাসী পথ হারিয়ে কলকাতায় এসে পড়েছে”- কোন্ প্রসঙ্গে বক্তা এ কথা বলেছেন? বক্তার এমন মনে হওয়ার কারণ কী? ২+৩

প্রসঙ্গ: সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘আজব শহর কলকেতা’ আলোচ্য প্রবন্ধে আমরা দেখি আলী সাহেব একদিন ভীষণ বৃষ্টির মধ্যে শহরের পথে আটকে পড়েন। চরম দুর্যোগে সঙ্গে ছাতা বা বর্ষাতি কিছু না থাকায় এবং ট্রামে-বাসে চড়ার মতো শারীরিক সামর্থ্য কিম্বা ট্যাক্সি চড়বার মতো অর্থ না থাকার কারণে পথ হারানোর মতো বেদনার্ত হতে হয় তাঁকে। একদিকে প্রবল ধারাবর্ষণ, অন্যদিকে আত্মরক্ষার্থে নিরুপায় প্রাবন্ধিকের হঠাৎ চোখে পড়ে কলকাতার বুকে বড়ো বড়ো হরফে লেখা ‘ফ্রেঞ্চ বুক শপ’। তখন তিনি অনুমান করেন, কোনো ফরাসি হয়তো পথ হারিয়ে কলকাতায় এসেছেন শখ করে একটি বইয়ের দোকান দিয়ে ট্যাঁকের পয়সা খোয়ানোর জন্য। এই প্রসঙ্গেই আলী সাহেবের এরূপ উক্তি।

মনে হওয়ার কারণ: প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর ‘আজব শহর কলকেতা’ প্রবন্ধে প্রশ্নোদ্ভূত ভাবনার কথাটি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন কলকাতা শহরে ভালো বাংলা বই ছাপিয়েও পয়সা কামানো যায় না। তাই কলকাতায় ‘ফ্রেঞ্চ বুক শপ’ দেখে প্রাবন্ধিক অবাক হয়েছেন। তাঁর মনে হয়েছে ফ্রান্সের কোনো বড়োলোক ব্যক্তি, যিনি ‘ফ্রেঞ্চ বুক শপ’-এর মালিক, তিনি হয়তো পথ হারিয়ে ফ্রান্স থেকে এসে পড়েছেন কলকাতায় এবং তাঁর সঞ্চিত অর্থ শখ করে খরচ করার জন্যই কলকাতায় ফরাসি বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

১৩। “আর যে দুটি পয়সা ট্যাকে আছে তাই খোয়াবার জন্য …”-কে, কী করেছিলেন তা কারণ-সহ ব্যাখ্যা করো। ৫

যিনি, যা করেছিলেন: শহর কলকাতার বুকে এক ভয়াবহ দুর্যোগের সম্মুখীন হন প্রাবন্ধিক। এমন সময় হঠাৎই তাঁর চোখে পড়ে শহর কলকাতার বুকে একটি দোকানের এক অত্যাশ্চর্য সাইন বোর্ড। তাতে লেখা ‘ফ্রেঞ্চ বুক শিপ’। কলকাতায় বাংলা বইয়েরই ক্রেতা মেলে না, সেখানে ফরাসি বইয়ের দোকান! প্রাবন্ধিক এই প্রসঙ্গে পথ হারিয়ে কলকাতায় এসে পড়া কোনো ফরাসি ব্যক্তির কথা বলেছেন, যাঁর আর্থিক সংগতি বিদ্যমান বলেই প্রাবন্ধিকের ধারণা। কলকাতায় এসে তিনিই এই ফরাসি বইয়ের দোকান খুলেছেন শখ করে, তাঁর সমস্ত টাকা খোয়ানোর জন্য-এ কথাই এখানে বলা হয়েছে।

কারণ: ‘ফ্রেঞ্চ বুক শপ’ নামের নির্ভেজাল ফরাসি বইয়ের দোকান কলকাতার বাঙালি সংস্কৃতিতে বেমানান বলে মনে হয়েছে প্রাবন্ধিকের। ‘আজব শহর কলকেতা’ রচনায় লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী এই দোকানে শুধু ফরাসি বই বিক্রি করে বিক্রেতার মুনাফা অর্জনের বিষয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েন। তাঁর অভিজ্ঞতায় বাঙালি প্রকাশকরা ভালো বইয়ের পাশাপাশি বহু রদ্দি বইও প্রকাশ করেন লক্ষ্মীলাভের আশায়। তাই প্রাবন্ধিকের ধারণা জন্মে যে, হাতির দাঁতের মতো বাইরেটা ‘ফ্রেঞ্চ’ হলেও ভিতরে চিবোনোর দাঁতের ন্যায় ফরাসি সুগন্ধী, প্রসাধনীস্বরূপ স্বল্প সময়ের জন্য আনন্দদায়ক কোনো রদ্দি বই-ই হয়তো বিক্রি করছেন বিক্রেতা। ‘ফ্রেঞ্চ বুক শপ’ নামটা কেবল ক্রেতার মনে কৌতূহল জাগিয়ে তোলার জন্য।

১৪। বই বিক্রি প্রসঙ্গে বাঙালি প্রকাশকদের অভিমতটি আলোচ্য প্রবন্ধ অনুসারে লেখো। ৫

বাঙালি প্রকাশকদের বক্তব্য: প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর ‘আজব শহর কলকেতা’ প্রবন্ধে বলেছেন-বাঙালি প্রকাশকরা বলেন যে, শুধু ভালো বই ছাপিয়ে পয়সা উপার্জন করা যায় না।

তাদের অবলম্বনের পথ: কলকাতা শহরের এই বাঙালি প্রকাশকরা মুনাফালাভের আশায় অনেকসময় গাদা গাদা নিম্নরুচির উপন্যাসও ছেপে বিক্রি করেন।

এ কথা বলার কারণ: কলকাতা শহর ভ্রমণে বেরিয়ে হঠাৎই ‘ফ্রেঞ্চ বুক শপ’ অর্থাৎ ফরাসি বইয়ের দোকান দেখে প্রাবন্ধিক অবাক হয়ে যান এবং সেই বইয়ের দোকানের মালিকের মুনাফা করার অভিপ্রায়টি সম্বন্ধে সংশয় প্রকাশ করেই তিনি বাঙালি প্রকাশকদের মন্তব্য স্মরণ করেন। এই কথায় বাংলা সাহিত্যের বই কেনাবেচার এক করুণ দৃশ্য ফুটে ওঠে। বাংলা সাহিত্যের সেই সমৃদ্ধির কালে ভাবলে বিস্ময় জাগে, বাংলা বইয়ের বাঙালি ক্রেতা ছিল অপ্রতুল। বাঙালি প্রকাশকরা তাই দেউলিয়া হওয়ার ভয়ে বেশি বই ছাপতেই ভয় পেত। কেবল ভালো বই ছাপিয়ে লাভের মুখ দ্যাখা যেত না। অর্থাৎ প্রকাশকরা লক্ষ্মীলাভের জন্য সব ধরনের বই, এমনকি নিম্নমানের বইও প্রকাশ করতে বাধ্য হন।

১৫। “কথাটা যদি সত্যি হয়”-কোন্ কথা? কথাটি কি প্রকৃতপক্ষে সত্যি এবং যদি তা সত্যি হয় তবে কী হবে? ২+৩

উত্তর প্রশ্নোক্ত উদ্ধৃতির কথাটা হল: প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী ‘আজব শহর কলকেতা’ প্রবন্ধে বলেছেন, বাঙালি বইয়ের প্রকাশকেরা -বলেন যে,-শুধু ভালো বই ছাপিয়ে পয়সা উপার্জন করা যায় না, নিম্নরুচির উপন্যাসও বেশি করে প্রকাশ করতে হয়।

সত্যি কথার পক্ষে যুক্তি: বাংলা সাহিত্যজগতে প্রথিতযশা লেখকের সুগ্রন্থের অভাব নেই। অভাব শুধুমাত্র পাঠকের। বাঙালি প্রকাশকরা বাণিজ্যগত দিক থেকে উপলব্ধি করেছেন, যদি ‘ভালো বই’ অর্থাৎ বই কেবল বিষয়ের দিক দিয়ে ভালো হয় তবে সেই বইয়ের বোদ্ধা পাঠক সংখ্যা খুবই নগণ্য হয়ে পড়ে। এতে নাম থাকলেও বহু সময় লক্ষ্মীলাভ থাকে অধরা, কারণ ক্রেতা মেলে না। তাই অচলা লক্ষ্মীকে সচল রাখতে নিম্নরুচির উপন্যাস ছাপাতে হয়। তার পাঠক উন্নতমানের নয় ঠিকই, তবে সারাবছরের ক্রেতা এঁরাই।

কথাটা সত্যি হলে যা হবে: প্রাবন্ধিক আশঙ্কা করেছেন কথাটি সত্য হলে ‘ফ্রেঞ্চ বুক শপ’ থেকে শুধুমাত্র ফরাসি ভাষায় রচিত সাহিত্যকীর্তিমূলক গ্রন্থ বিক্রি করে সেই দোকানদারের লাভের মুখ দেখা মুশকিল হবে।

আরো পড়ুন : একাদশ শ্রেণি দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment