কৃত্রিম উপায়ে কীভাবে অঙ্গজ জনন সম্পন্ন হয় তার দুটি উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করো

কৃত্রিম উপায়ে কীভাবে অঙ্গজ জনন সম্পন্ন হয় তার দুটি উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করো
কৃত্রিম উপায়ে কীভাবে অঙ্গজ জনন সম্পন্ন হয় তার দুটি উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করো।
শাখাকলম বা কাটিং ও জোড়কলম বা গ্রাফটিং পদ্ধতিতে কৃত্রিম অঙ্গজ জনন নিম্নরূপে সম্পন্ন করা হয়-

1. শাখাকলম বা কাটিং (Cutting): কান্ডের শাখাকলম একটি সহজ পদ্ধতি। জনিতৃ দেহ থেকে 20-30 cm কান্ড বা কান্ডের শাখা কেটে নিয়ে কাটা অংশটিকে ভিজে নরম মাটিতে পুঁতে রাখলে কয়েক দিন পরে কাটা অংশ থেকে মূল সৃষ্টি হয় এবং বায়বীয় অংশ থেকে কাক্ষিক মুকুল সৃষ্টি হয়ে শাখাপ্রশাখা সৃষ্টি করে। এই রকম কলম গোলাপ, লেবু, জাম, আম, তুলা প্রভৃতি গাছে করা হয়।

2. জোড়কলম বা গ্রাফটিং (Grafting): যে প্রক্রিয়ায় একই প্রজাতিভুক্ত দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের শাখা জোড়া লাগানো হয় তাকে গ্রাফটিং বলে। আম, লেবু, পেয়ারা প্রভৃতি গাছে জোড়কলম বাঁধা হয়। একই গণভুক্ত দুটি ভিন্ন প্রজাতির গাছের শাখায় গ্রাফটিং করা হয়। মূলসহ যে গাছটিতে অন্য গাছের ডাল জোড়া লাগানো হয় তাকে স্টক (stock) এবং যে গাছটির শাখা জোড়া হয় তাকে সিয়ন (scion) বলে।

উভয় গাছের ডালের যে অংশে জোড়া লাগানো হয় সেই অংশের ক্যাম্বিয়াম পর্যন্ত চেঁছে দিয়ে ডাল দুটিকে পরস্পর জুড়ে দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দেওয়া হয়। কয়েকদিন এইভাবে রাখার পর ডাল দুটি জুড়ে যায়, তখন সিয়ন কেটে নেওয়া হয়। জোড়া লাগানো অংশে লঘু অক্সিনের দ্রবণ ছিটালে কাজ ভালো হয়।

গ্রাফটিং দু-রকমের হয়, যথা- সিয়ন গ্রাফটিং এবং বাড গ্রাফটিং। সিয়ন গ্রাফটিং-এর ক্ষেত্রে দুটি গাছের ডালের মধ্যে জোড়া লাগানো হয়। বাড গ্রাফটিং-এর ক্ষেত্রে স্টকের ছালে আকৃতির গর্ত করে নিয়ে তার মধ্যে সিয়নের মুকুল কেটে নিয়ে। আকৃতির গর্তে ঢুকিয়ে সুতো দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দেওয়া হয়। কিছুদিনের মধ্যে সিয়ন স্টকের সঙ্গে জোড়া লেগে যায়।

Leave a Comment