মিয়োসিস কোশবিভাজনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো

মিয়োসিস কোশবিভাজনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো
মিয়োসিস কোশবিভাজনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

মিয়োসিসের তাৎপর্য (Significance of Meiosis)

প্রজাতির ক্রোমোজোম সংখ্যা ধ্রুবক রাখা: মিয়োসিসের ফলে ডিপ্লয়েড (2n) মাতৃকোশের ক্রোমোজোম সংখ্যা হ্রাস ঘটিয়ে হ্যাপ্লয়েড (n) জনন কোশ সৃষ্টি হয়। দুটি হ্যাপ্লয়েড জনন কোশ মিলিত হয়ে পুনরায় ডিপ্লয়েড কোশ সৃষ্টি হয়। ক্রোমোজোম সংখ্যার হ্রাস না ঘটলে প্রজাতির ক্রোমোজোম সংখ্যা 2n থেকে 4n. 8n, 16n হারে বেড়ে যেত। সুতরাং, মিয়োসিসের ফলে ক্রোমোজোম সংখ্যার হ্রাস ঘটে প্রজাতির ক্রোমোজোম সংখ্যা বংশপরম্পরায় ধ্রুবক থাকে।

ক্রোমাটিডের খণ্ডবিনিময়: মিয়োসিসের সময় দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে খন্ড বিনিময় ঘটার ফলে জিনের পুনর্বিন্যাস ঘটে।

প্রকরণের উৎপত্তি: মিয়োসিস বিভাজনকালে ক্রসিং ওভার ঘটার

ফলে যে জিন বিনিময় হয় তার দ্বারা প্রজাতির জিনগত ভেদ বা প্রজননিক প্রকরণ ঘটে। প্রকরণ বিবর্তনের প্রধান রসদ।

গ্যামেট উৎপাদন: জনন মাতৃকোশে মিয়োসিস বিভাজনের ফলে গ্যামেট উৎপাদন হয়।

জনুক্রম: মিয়োসিস বিভাজনের ফলে উৎপন্ন গ্যামেট বা স্পোর জীবদের বিশেষ করে উদ্ভিদের জীবনচক্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বহুকোশী উদ্ভিদের হ্যাপ্লয়েড গ্যামেটোফাইট দশা ও ডিপ্লয়েড স্পোরোফাইট দশার জনুক্রমে তাদের স্থায়িত্বকাল নির্ধারণের ক্ষেত্রে গ্যামেট ও স্পোরের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

সুতরাং, যৌন জননকারী জীবদের শ্রেণিবদ্ধতা, জিনগত প্রকরণ এবং বিবর্তনের জন্য মিয়োসিস অপরিহার্য।

Leave a Comment