ফলিত জীববিদ্যার বিভিন্ন শাখাগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও

ফলিত জীববিদ্যাকে প্রধান দুটি শাখায় ভাগ করা যায়, যথা- ফলিত উদ্ভিদবিজ্ঞান (Applied Botany), ফলিত প্রাণীবিজ্ঞান (Applied Zoology)। এখানে এই দুই শাখার অন্তর্গত বিভিন্ন বিভাগগুলিকে আলোচনা করা হল-

(1) ফলিত উদ্ভিদবিজ্ঞানের অন্তর্গত শাখাসমূহ :

(1) কৃষিবিদ্যা (Agriculture): কৃষিকাজ সম্পর্কিত জীববিদ্যা।

(ii) উদ্যানপালন (Horticulture): উদ্যানপালন সম্পর্কিত জীববিদ্যা।

(iii) বনপালন (Forestry): অরণ্য সুরক্ষা সম্পর্কিত জীববিদ্যা।

(iv) ভেষজবিদ্যা (Pharmacology): ভেষজ উদ্ভিদ সম্পর্কিত জীববিদ্যা।

(v) জীবাণুতত্ত্ব (Bacteriology): বিভিন্ন জীবাণু বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কিত জীববিদ্যা।

(vi) মাটি সংরক্ষণ (Soil Conservation): মাটি সংরক্ষণ সম্পর্কিত জীববিদ্যা।

(vii) উদ্ভিদ প্রজনন (Plant breeding) উদ্ভিদবিজ্ঞানের একটি প্রধান শাখা যেখানে কৃষিকাজের উন্নতি সাধনের জন্য উন্নতমানের উদ্ভিদ সৃষ্টির পরিকল্পনাহেতু নতুন নতুন পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। 

(2) ফলিড প্রাণীবিজ্ঞানের শাখাসমূহ: ফলিত প্রাণীবিজ্ঞানের অন্তর্গত বিভিন্ন শাখাগুলি হল-

(i) মৎস্যচাষ (Pisciculture): মাছ সম্পর্কিত জীববিদ্যা।

(ii) শম্বুকবিদ্যা (Malacology) কম্বোজ বা মোলাস্কা প্রাণী সম্পর্কিত জীববিদ্যা।

(iii) পক্ষীবিদ্যা (Ornithology): পক্ষী সম্পর্কিত জীববিদ্যা। 

(iv) কীটপতঙ্গবিদ্যা (Entomology): কীটপতঙ্গ সম্পর্কিত জীববিদ্যা।

(v) পরজীবীবিদ্যা (Parasitology): পরজীবী প্রাণী সম্পর্কিত জীববিদ্যা।

(vi) গো-পালন (Dairy): গোরু, মহিষ পালন ও দুগ্ধ উৎপাদন সম্পর্কিত জীববিদ্যা।

(vii) শুয়োর চাষ (Piggery): শুয়োর প্রতিপালন সম্পর্কিত জীববিদ্যা।

(viii) মুক্তা চাষ (Pearl culture): মুক্তা ঝিনুকের চাষ, প্রতিপালন সম্পর্কিত জীববিদ্যা।

(ix) হাঁস-মুরগি পালন (Poultry): পোলট্রি পাখি প্রতিপালন সম্পর্কিত জীববিদ্যা।

(x) লাক্ষা চাষ (Lac culture): লাক্ষা কীটকে প্রতিপালন পদ্ধতি এবং লাক্ষা সংগ্রহ করার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচিত জীববিদ্যা। 

(xi) মৌমাছি চাষ (Apiculture): মৌমাছি প্রতিপালন ও মধু, মৌমোম উৎপাদন সম্পর্কিত জীববিদ্যা।

(xii) রেশম চাষ (Sericulture): রেশম কীট ও রেশম উৎপাদন সম্পর্কিত জীববিদ্যাকে বলা হয় রেশম চাষ।