বিশুদ্ধ জীববিদ্যার বিভিন্ন শাখা বা বিভাগগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো

বিশুদ্ধ জীববিদ্যার বিভিন্ন শাখা বা বিভাগগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো
বিশুদ্ধ জীববিদ্যার বিভিন্ন শাখা বা বিভাগগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো।
(ⅰ) কোশতত্ত্ব (Cytology; kytos = ফাঁপা, logos = আলোচনা): জীববিদ্যার যে শাখায় কোশের আকার, গঠন, কাজ প্রভৃতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, তাকে কোশবিদ্যা বলে।

(ii) কলাবিদ্যা (Histology; Histos = কলা, logos = আলোচনা): জীববিদ্যার যে শাখায় জীবদেহের কলার গঠন ও কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, তাকে কলাবিদ্যা বলে।

(iii) অঙ্গসংস্থানবিদ্যা (Morphology; Morph = আকার, logos = আলোচনা): জীববিদ্যার যে শাখায় জীবদেহের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ গঠন ও আকার সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়, তাকে অঙ্গসংস্থানবিদ্যা বলে।

(iv) ভ্রূণবিদ্যা (Embryology; Em = ভিতরে, bryo = স্ফীত হওয়া, logos = আলোচনা): জীববিদ্যার যে শাখায় ভূণের গঠন ও বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, তাকে ভূণবিদ্যা বলে। বর্তমানে এটিকে Developmental Biology বলা হয়।

(v) শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা (Taxonomy; Taxis = বিন্যাস, nomon = আইন) : জীববিদ্যার যে শাখায় জীবজগতের শ্রেণিবিভাগ, নামকরণ ও শনাক্তকরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, তাকে শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা বলে।

(vi) শারীরস্থানবিদ্যা (Anatomy; Ana = ওপরে, temno = কাটা): জীববিদ্যার যে শাখায় জীবদেহের অন্তর্গঠন সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়, তাকে শারীরস্থানবিদ্যা বলে।

(vii) শারীরবিদ্যা (Physiology; Physis = প্রকৃতি, logos = আলোচনা): জীববিদ্যার যে শাখায় জীবদেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ নিয়ে আলোচনা করা হয়, তাকে শারীরবিদ্যা বলে।

(viii) বংশগতিবিদ্যা (Genetics; Genesis = উৎপত্তি): জীববিদ্যার যে শাখায় জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্য ও তাদের উত্তরাধিকার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, তাকে বংশগতিবিদ্যা বলে। বিজ্ঞানী বেটসন (Bateson) সর্বপ্রথম ‘জেনেটিকস’ শব্দটি ব্যবহার করেন।

(ix) অভিব্যক্তি (Evolution; E = বাইরে, volves = আবর্তন): জীববিদ্যার যে শাখায় জীবের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, তাকে অভিব্যক্তি বলে।

(x) বাস্তুসংস্থানবিদ্যা (Ecology; Oikos = বাড়ি, log- os = আলোচনা) জীববিদ্যার যে শাখায় জীবের বাসস্থান ও পরিবেশের সঙ্গে জীবের আন্তঃসম্পর্ক আলোচনা করা হয়, তাকে বাস্তুসংস্থানবিদ্যা বলে।

(xi) প্রত্নজীববিদ্যা বা প্যালিওন্টোলজি (Palaeontology): জীবের জীবাশ্ম সম্পর্কিত আলোচনা জীববিজ্ঞানের যে শাখায় করা হয়, তাকে প্রত্নজীববিদ্যা বা প্যালিওন্টোলজি বলে।

(xii) রোগবিদ্যা বা প্যাথোলজি (Pathology): জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবদেহের বিভিন্ন রোগ, রোগের লক্ষণ, রোগের কারণ, রোগ প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, তাকে রোগবিদ্যা বা প্যাথোলজি বলে।

(xiii) ভৌগোলিক জীববিদ্যা বা বায়োজিওগ্রাফি (Bio- geog- raphy): জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের ভৌগোলিক পরিবেশ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, তাকে বায়োজিওগ্রাফি (Biogeogra- phy) বা ভৌগোলিক জীববিদ্যা বলা হয়।

(xiv) ইকোনমিক বায়োলজি বা অর্থকরী জীববিজ্ঞান (Economic Biology): জীববিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে জীবের অর্থনৈতিক গুরুত্ব আলোচনা করা হয়, তাকে অর্থকরী জীববিজ্ঞান বা ইকোনমিক বায়োলজি বলে।

(xv) অস্থিবিজ্ঞান বা অস্টিওলজি (Osteology): প্রাণীদেহের কঙ্কাল সম্পর্কিত বিদ্যাকে বলা হয় অস্থিবিজ্ঞান বা অস্টিওলজি (Osteology)।

(xvi) পেশিবিজ্ঞান বা মায়োলজি (Myology): জীবদেহের পেশির গঠন, কার্য সম্পর্কিত বিদ্যাকে বলা হয় পেশিবিজ্ঞান। 

(xvii) জেনোমিক্স (Genomics): কোনো জীবের জিন সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করাকে জেনোমিক্স বলে।

Leave a Comment