টীকা লেখো কার্বোনারি আন্দোলন – আজকের পর্বে টীকা লেখো কার্বোনারি আন্দোলন আলোচনা করা হল।
টীকা লেখো কার্বোনারি আন্দোলন
টীকা লেখো: কার্বোনারি আন্দোলন। |
ভূমিকা
ইটালিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তি আন্দোলনের প্রেক্ষাপট রচনা ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যে-সমস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন, কার্বোনারি নামে গুপ্ত সমিতি ও কার্বোনারি আন্দোলন তাদের মধ্যে সবিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল।
কার্বোনারি
‘Charcoal burners’ বা ‘জ্বলন্ত অঙ্গারবাহী’ থেকে কার্বোনারি কথাটি এসেছে। নেপলস ছিল এই গুপ্ত সমিতির প্রধান কেন্দ্রস্থল।
আদর্শ ও লক্ষ্য
কার্বোনারি আন্দোলনের মূল আদর্শ ও প্রধান লক্ষ্য ছিল:
বিদেশি শাসনের অবসান: ইটালিতে বিদেশি শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা অর্জনের ব্যবস্থা করা ছিল কার্বোনারি আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য।
বিদেশি শাসনের অবসান: ইটালিতে বিদেশি শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা অর্জনের ব্যবস্থা করা ছিল কার্বোনারি আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য।
আদর্শ : খ্রিস্টীয় গণতান্ত্রিক আদর্শ প্রচার ও ব্যক্তিগত নৈতিকতার ওপর এই সমিতি গুরুত্ব আরোপ করেছিল।
প্রভাবিত এলাকা : দক্ষিণ ইটালির নেপলস ছাড়া উত্তর ইটালির পিডমন্ট, মধ্য ইটালির পোপের রাজ্যে এই সমিতির উল্লেখযোগ্য প্রভাব ছিল। ইটালির বুর্জোয়া সম্প্রদায়, প্রাক্তন সৈনিক ও দেশপ্রেমিকরা কার্বোনারি দলের সদস্য ছিল।
আন্দোলন
কার্বোনারি আন্দোলনের প্রধান দিকগুলি ছিল:
সংবিধান প্রবর্তন: ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে এই সমিতি নেপলসের রাজা ফার্দিনান্ডকে সে দেশের সংবিধান প্রবর্তনে বাধ্য করেছিল।
পিডমন্ট অভ্যুত্থান: উত্তর ইটালিতে পিডমন্ট রাজ্যে প্রাক্তন সেনারা অভ্যুত্থান ঘটালে অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী মেটারনিখ সেনাবাহিনী পাঠিয়ে সেই বিদ্রোহ দমন করেন (১৮২১ খ্রি.)।
জুলাই বিপ্লবকালে : ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের জুলাই বিপ্লবকালে ইটালিতে এই সমিতির সদস্যরা সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং মধ্য ইটালিতে পোপ ও পার্মার শাসককে সরিয়ে একটি যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করে।
ব্যর্থতার কারণ
কার্বোনারি আন্দোলনের ব্যর্থতার মূলে বেশ কয়েকটি কারণ ছিল, যেমন: ১ পোপের রাজ্য এবং পিডমন্ট ছাড়া অন্যত্র এই আন্দোলনের তেমন প্রভাব না থাকা; ২ কেবলমাত্র এই মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে এই আন্দোলনের সীমাবদ্ধতা; ৩ আন্দোলনকারীদের মধ্যে গঠনমূলক কার্যসূচির অভাব ও অনৈক্য এবং ৪ অস্ট্রিয়ার সৈন্যবাহিনীর দমন নীতি।