ব্রহ্মচর্য কাকে বলে

ব্রহ্মচর্য কাকে বলে
ব্রহ্মচর্য কাকে বলে

ব্রহ্মচর্য

ব্রহ্মচর্য হল মানুষের আধ্যাত্মিক উত্তরণের প্রথম পর্যায়। এরূপ পর্যায়টিকে বলা হয় গুরুগৃহে শিক্ষালাভের অধ্যায়। যাঁরা ব্রহ্মচর্য পালন করেন, তাঁদের বলা হয় ব্রহ্মচারী (ব্রহ্মাণি চরতি ইতি ব্রহ্মচারী)। এই অধ্যায়ে মানুষ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গুরুগৃহে শিক্ষালাভ করে। গুরুগৃহে লব্ধ শিক্ষার মাধ্যমে তারা তাদের চরিত্র গঠন করে এবং আত্মসংযমে ব্রতী হয়। ইন্দ্রিয়সংযম রক্ষাপূর্বক তারা আত্মসংযম আয়ত্ত করে। ইন্দ্রিয়সংযম তথা আত্মসংযম ছাড়াও তারা গুরুগৃহে আরও নানাপ্রকার শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে, যেমন-গুরুসেবা করা, পূজার্চনা পদ্ধতি, হোমাগ্নির অর্চনা এবং অপরাপর ব্রহ্মচর্যের উপযোগী বিভিন্নরকম নৈতিক নিয়মাবলির শিক্ষা। এই সমস্ত বিষয় এই অধ্যায়ে তথা আশ্রমে তাদের অবশ্যপালনীয় ধর্মরূপে গণ্য। এখানে ব্রহ্মচারীর ইচ্ছা-অনিচ্ছা হল নগণ্য, গুরুর ইচ্ছাই হল মুখ্য বিষয়। গুরুর নির্দেশিত শিক্ষা অনুযায়ীই ব্রহ্মচারী তার নিজের চরিত্র গঠন করতে সমর্থ হন এবং নিজেকে নৈতিক দিক থেকে বলশালী করে তুলতে সফল হন।

Leave a Comment