Balurghat High School
বিভাগ ক
(i) পৃথিবীর মেরু ব্যাস – (a) 12,714 কিমি। (ii) পৃথিবীর কাছের গ্রহটি হল – (c) বুধ।
(iii) পৃথিবীর পরিক্রমণ গতির গতিবেগ হল – প্রতি সেকেন্ড (b) 30 কিমি।
(iv) মূলমধ্যরেখার কৌণিক মান – (a) 0° ।
(v) একটি প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতমালার উদাহরণ হল (b) আরাবল্লি ।
(vi) ভারতের একটি আগ্নেয় পর্বত হল (a) ব্যারেন।
(vii) ‘সুনামি’ হল একটি – (b) জাপানি শব্দ ।
(viii) ভারতের বৃহত্তম কয়লাক্ষেত্রটি হল – (b) ঝরিয়া ।
(ix) পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের উচ্চতম অংশ হল (c) গোর্গাবুরু।
(x) একটি জোয়ারভাটা প্রভাবিত নদী হল (b) গোসাবা ।
(xi) (a) 1992 সালে পশ্চিম দিনাজপুর জেলাকে বিভক্ত করে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা গঠন করা হয়।
(xii) উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম নদী হল – (a) তিস্তা।
(xiii) প্রথম কার্পাস বয়ন শিল্প গড়ে উঠেছিল (a) ঘুষুড়িতে।
(xiv) ‘Map’ শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন শব্দ – (b) mappa থেকে।
বিভাগ – খ
2 (A)
(i) পৃথিবীর কক্ষপথের আকৃতি উপবৃত্তাকার। শু
(ii) পৃথিবীর পরিক্রমণ গতির জন্য জোয়ার সৃষ্টি হয়। অ
(iii) কার্বনিক অ্যাসিড অক্সিডেশন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। অ
(iv) তিব্বত মালভূমি হল একটি লাভা মালভূমি। অ
(v) দুর্গাপুরকে ‘ভারতের রূঢ় বলা হয়। শু
(vi) পশ্চিমবঙ্গের শুষ্কতম জেলা হল নদিয়া। অ
(vii) প্রাচীনতম ম্যাপ ভারতে আবিষ্কার হয়েছিল। অ
(B)
(i) মকরসংক্রান্তি ঘটে 22 ডিসেম্বর তারিখে।
(ii) সুমেরুবৃত্তের মান 66½° উত্তর
(iii) জীবাশ্ম দেখা যায় একমাত্র পাললিক শিলায়।
(iv) দাবানল হল একটি আধা প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
(v) ‘তরাই’ শব্দের অর্থ হল স্যাঁতসেঁতে।
(vi) ‘মৌজা’ মানচিত্র হল বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র।
(vii) কলকাতা-কে বলা হয় ‘প্রাসাদ নগরী’।
(C)
(i) বৃহস্পতি গ্রহের উপগ্রহের সংখ্যা সর্বাধিক।
(ii) পশ্চিমবঙ্গের বক্সাদুয়ারে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয়।
(iii) ভারতের দ্বিতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ হল নন্দাদেবী।
(iv) একটি মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয় হল যুদ্ধবিগ্রহ।
(v) ভারতের প্রাচীনতম তৈলক্ষেত্র হল ডিগবয় ।
(vi) দ্বারকেশ্বর ও শিলাবতী নদীর মিলিত প্রবাহটি রূপনারায়ণ নামে পরিচিত।
(vii) কলকাতা বন্দরের পরিপূরক বন্দরটি হল হলদিয়া ।
(viii) কোনো মানচিত্রে ‘N’ এই প্রতীকটি দিকনির্দেশ করে।
(D)
(i) ক্ষয়জাত পর্বত (d) আরাবল্লি পর্বত
(ii) তুষারের কার্য (a) শীতল পার্বত্য অঞ্চল
(iii) তথ্যপ্রযুক্তি (b) রাজারহাট
(iv) মার্কেটর (c) প্রথম প্রকাশিত মানচিত্র
বিভাগ – গ
3| (i) পৃথিবীকে নীল গ্রহ বলার কারণ : পৃথিবী সৌরজগতের একমাত্র গ্রহ যার 70.8%, অর্থাৎ 36.1 কোটি বর্গকিমি অঞ্চল জুড়ে রয়েছে জল। তাই মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে নীল দেখায়। এই কারণে পৃথিবীকে ‘জলগ্রহ বা নীলগ্রহ’ বলা হয়।
অথবা, দিগন্তরেখা (Horizon) : কোনো ফাঁকা মাঠ বা কোনো উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে চারদিকে তাকালে মনে হয় আকাশ ও ভূমি যেন দূরে এক জায়গা বরাবর বৃত্তাকারে মিলিত হয়েছে। এই বৃত্তরেখাকে দিগন্তরেখা বলে। যত উঁচু থেকে দেখা যায় বৃত্তাকার দিগন্তরেখার পরিধি তত বৃদ্ধি পায়।
সূর্যোদয়ের আগে সূর্য দিগন্তরেখার নীচে থাকে এবং সূর্যাস্তের পর সূর্য দিগন্তরেখার নীচে চলে যায় বলে আমরা সূর্যোদয়ের আগে ও সূর্যাস্তের পরে সূর্যকে দেখতে পাই না।
(ii) পামির মালভূমিকে পৃথিবীর ছাদ বলার কারণ : উপরিভাগ কিছুটা সমতল ও চারপাশ খাড়া ঢালযুক্ত মালভূমিগুলির গড় উচ্চতা 300 মিটারের সামান্য বেশি হলেও পামির মালভূমির উচ্চতা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, প্রায় 4,873 মিটার। এত উঁচুতে অবস্থিত হওয়ার জন্য পামিরকে ‘পৃথিবীর ছাদ’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
অথবা, গ্রস্ত উপত্যকা (Rift valley) : দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ নীচে বসে গিয়ে যে অবনত ভূমির সৃষ্টি করে, তাকে গ্রস্ত উপত্যকা বলে।
সৃষ্টির কারণ : (১) প্রবল ভূ-আলোড়নের ফলে সৃষ্ট টান ও সংকোচনের জন্য শিলাস্তরে ফাটল বা চ্যুতির সৃষ্টি হয়। এরূপ দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ মহীভাবক আলোড়নের কারণে নীচে বসে গেলে গ্রস্ত উপত্যকার সৃষ্টি হয় এবং পাশের অংশ দুটি স্তূপ পর্বতরূপে বিরাজ করে।
উদাহরণ : রাইন নদী উপত্যকা হল গ্রস্ত উপত্যকা এবং দুপাশের স্তূপ পর্বত দুটি হল ভোজ ও ব্ল্যাকফরেস্ট।
(২) আবার, মহীভাবক আলোড়নের ফলে দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ উত্থিত হয়ে স্তূপ পর্বত সৃষ্টি হলে তার দুপাশের অংশ অবনত ভূমি রূপে গ্রস্ত উপত্যকায় পরিণত হয়।
উদাহরণ : সাতপুরা স্তূপ পর্বতের দুপাশের নর্মদা ও তাপ্তি নদী উপত্যকা দুটি হল গ্রস্ত উপত্যকা।
(iii) রেগোলিথ (Regolith) : আবহবিকারের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের শিলাস্তরের উপরিভাগ চূর্ণবিচূর্ণ ও বিয়োজিত হয়ে ভূত্বকের মূল শিলার ওপর সূক্ষ্মতর শিলাজাত পদার্থের শিথিল স্তর গঠিত হয়, একেই রেগোলিথ বলে। কালক্রমে রেগোলিথের সঙ্গে উয়তা, জল, খনিজদ্রব্য ও জৈবপদার্থ প্রভৃতি উপাদানের পারস্পরিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ায় মাটির সৃষ্টি হয়।
বৈশিষ্ট্য : (১) রেগোলিথ মূল শিলার গুণাগুণ বহন করে। মূল শিলার উপরই অবস্থান করে। (২) এটি মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রাথমিক উপাদান।
অথবা, নগ্নীভবন (Denudation) : Baghbazar Multipurpose Girls’ School (Govt Spons)-এর 3. (ii)-এর উত্তরটি দেখুন।
(iv) ব্লিজার্ড (Blizzard) : সূক্ষ্ম তুষার কেলাস (ছোটো বরফকণা) বহনকারী অতি শীতল এবং প্রচণ্ড বেগে প্রবাহিত বায়ুপ্রবাহকে তুষারঝড় বা ব্লিজার্ড বলে। আন্টার্কটিকা, উত্তর আমেরিকার উত্তরভাগ, কানাডা, ইউরোপ ও এশিয়ার উত্তরাংশে, বরফাবৃত উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে ব্লিজার্ড সৃষ্টি হতে দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য : তুষার ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় 120 – 160 কিমি হয়। গু তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে যায়। ও সামান্য দূরের বস্তুও দৃশ্যমান হয় না। ঝড়ের স্থায়িত্ব কমপক্ষে 3 ঘণ্টা হয়ে থাকে।
প্রভাব : ব্লিজার্ডের প্রভাবে জমা বরফ পরে গলে গিয়ে বন্যার সৃষ্টি করে। কৃষিজমি তুষারাবৃত হয়ে পড়ায় ফসলের ক্ষতি হয়। রেলপথ, সড়কপথ, বিমানবন্দর তুষারাবৃত হয়ে পড়ে।
উদাহরণ : 1888 সালে ঘটা ব্লিজার্ড-এর ফলে USA-এর কানেটিকাট্ এবং ম্যাসাচুসেট্স-এ প্রায় 400 জন মারা যায়।
অথবা, দুর্যোগ (Hazard) : প্রাকৃতিক ও মানবিক কারণে সংঘটিত যে-সকল ঘটনা দ্বারা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়; জীবন, স্বাস্থ্য ও সম্পত্তিহানি হয় এবং পরিবেশের গুণগত মানের অবনমন ঘটে, তাকে দুর্যোগ বলে।
উদাহরণ : ভূমিকম্প, বন্যা, ভূমিধস প্রভৃতি। অর্থ : প্রাচীন ফরাসি শব্দ ‘Hasard’ থেকে ‘Hazard’ শব্দটি এসেছে, যার অর্থ ‘দুর্যোগ’। আবার, অনেকে মনে করেন আরবি শব্দ ‘ar-zahr’ থেকে ‘Hazard’ শব্দের উৎপত্তি, যার অর্থ ‘Chance ‘ (অপ্রত্যাশিত বা দৈব ঘটনা) বা ‘Luck’ (অদৃষ্ট) অর্থাৎ, দুর্যোগ হল অদৃষ্ট বা কোনো দৈব ঘটনা।
(v) বরেন্দ্রভূমি : দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা জেলার পূর্বাংশে মহানন্দা নদী অববাহিকার প্রাচীন ও অনুর্বর পলিগঠিত সমভূমিকে ‘বরেন্দ্রভূমি’ বা ‘বারিন্দ’ বলে। এটি একটি তরঙ্গায়িত সমভূমি।
অথবা, কালবৈশাখী : মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে গ্রীষ্মকাল থাকে। এসময়ে স্থলভাগ ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হতে থাকলে বায়ুর আর্দ্রতা কমে গিয়ে বায়ু হালকা হতে থাকে এবং নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। নিকটবর্তী সমুদ্রের শীতল ও আর্দ্র বায়ু শূন্যস্থান পূরণের জন্যে প্রবল বেগে ওই নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে ছুটে আসতে থাকে এবং ঝড়ের সূচনা হয়। একে ‘কালবৈশাখী’ বলে।
বৈশিষ্ট্য : এই অঞ্চলটি প্রাচীন পলি দ্বারা গঠিত। ও লাল রঙের ল্যাটেরাইট মাটি দেখা যায়। ছোটো ছোটো টিলা দেখা যায়, যেগুলি 30 মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। এটি একটি তরঙ্গায়িত সমভূমি।
বৈশিষ্ট্য : উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আগত বায়ুর প্রভাবে এই ঘূর্ণিঝড় হয় বলে একে নরওয়েস্টারও বলে। উষ্ণতা প্রায় 10°C 15°C পর্যন্ত কমে যায়। ও এই ঝড় ক্ষণস্থায়ী হয়। কৃষিক্ষেত্রের ক্ষতিসাধন করে।
(vi) ভগ্নাংশসূচক স্কেল (Representative Fraction) : মানচিত্রের দূরত্ব ও ভূমি দূরত্বের অনুপাতকে যখন ভগ্নাংশে প্রকাশ করা হয়, তখন তাকে ভগ্নাংশসূচক স্কেল বা RF বলে।
অথবা, AC Institution, Malda-এর 3. (vi)-এর উত্তরটি দ্যাখো।