Belda Gangadhar Academy (HS)
1. (i) ভারতের সঙ্গে নেপালের সময়ের তফাত হল মিনিট। – (a) 15
(ii) ভারতের একটি পর্বতবেষ্টিত মালভূমি হল (c) লাদাখ।
(iii) সোলাম বলা হয় মৃত্তিকা পরিলেখের – (a) A, B, স্তরকে।
(iv) পূর্ব মেদিনীপুরে যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা বেশি সেটি হল – (b) ঘূর্ণিঝড়।
(v) ‘সম্পদের প্রকৃত জননী’ বলা হয় – (d) জ্ঞানকে।
(vi) পিট কয়লার বর্ণ – (d) হালকা বাদামি।
(vii) মেতুর জলবিদ্যুৎকেন্দ্রটি অবস্থিত – (b) তামিলনাড়ু রাজ্যে।
(viii) পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা গঠিত হয় (c) 2002 সালে।
(ix) মালদহ জেলার সদর শহর হল (a) ইংরেজ বাজার।
(x) ঝাড়খণ্ডের ভাষা (c) ভোজপুরী।
(xi) ‘বাংলার দুঃখ’ যে নদীকে বলা হয়, তা হল – (c) দামোদর।
(xii) পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান জেলার সংখ্যা (c) 23 টি ।
(xiii) পৃথিবীর প্রথম মানচিত্র তৈরি করেন – (a) অ্যানাক্সিমেন্ডার।
(xiv) SOI স্থাপিত হয় (a) 1767 সালে।
2
(i) দ্রাঘিমারেখা দেশান্তর রেখা নামেও পরিচিত। শুদ্ধ
(ii) সমপ্রায়ভূমির ওপর ইনসেলবার্জ দেখা যায়। অশুদ্ধ
(iii) অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে শিলায় রাসায়নিক আবহবিকার ঘটে। শুদ্ধ
(iv) স্থলভাগে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়কে টর্নেডো বলে। শুদ্ধ
(v) ভারতের প্রাচীনতম তৈলখনিটি হল ডিগবয়। শুদ্ধ
(vi) ফারাক্কায় গঙ্গার ওপর বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। অশুদ্ধ
3.
(i) কোনো স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে সময়ের পার্থক্য 12 ঘণ্টা।
(ii) আবহবিকারের ফলে সৃষ্ট শিথিল শিলাচূর্ণকে রেগোলিথ বলে।
(ii) একটি গচ্ছিত সম্পদ হল কয়লা।
(iv) ভারতের বৃহত্তম তৈল শোধনাগার হল জামনগর।
(v) দামোদরের প্রধান উপনদী হল বরাকর।
(vi) মানচিত্র অঙ্কনবিদ্যা হল কার্টোগ্রাফি।
4
(i) নিরক্ষরেখাকে বিষুবরেখা বলার কারণ ‘বিষুব’ কথাটির অর্থ ‘সমান’ দিন ও রাত্রি। নিরক্ষরেখার ওপর বছরের প্রতিটি দিন সূর্যরশ্মি লম্বভাবে বা প্রায় লম্বভাবে পতিত হয় বলে দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়। অর্থাৎ, 12 ঘণ্টা দিন ও 12 ঘণ্টা রাত্রি। সেই কারণে এই রেখাটির অপর এক নাম বিষুবরেখা।
(ii) আরোহণের অপর নাম সঞ্জয়।
(iii) ভারত সৌদি আরব থেকে সবচেয়ে বেশি খনিজ তেল আমদানি করে।
(iv) রূপনারায়ণ দ্বারকেশ্বর ও শিলাবতী নদীর মিলিত প্রবাহে সৃষ্টি হয়েছে।
(v) পাট গবেষণাগার ব্যারাকপুরে অবস্থিত।
(vi) যে তিনটি ‘T’-এর জন্য দার্জিলিং বিখ্যাত তা হল Toy Train, Tea Garden, Tiger Hill
5
(i) শান্তিনিকেতন (c) বসন্ত উৎসব
(ii) বিষ্ণুপুর (b) টেরাকোটা মন্দির
(iii) কোচবিহার (d) রাসমেলা
(iv) কৃষ্ণনগর (a) পলাশি
6 (i) মহাবৃত্ত (Great circle) : মহাবৃত্ত বলতে বোঝায়, যখন কোনো বৃত্তের বৃত্তীয় তলের কেন্দ্রবিন্দু ও ভূগোলকের কেন্দ্রবিন্দু একই বিন্দুতে অবস্থান করে। সাধারণত মহাবৃত্ত হল সবচেয়ে বড়ো যে বৃত্ত। সেই অর্থে, নিরক্ষীয় পরিধি সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এটিকে ভূগোলকের মধ্যে সবচেয়ে বড়ো বৃত্ত বা মহাবৃত্ত হিসেবে গণ্য করা হয়। নিরক্ষরেখার বৃত্তীয় তলই একমাত্র মহাবৃত্তরূপে পৃথিবীর মেরুরেখার সঙ্গে সমকোণে অবস্থান করে।
(ii) মালভূমিকে ‘টেবিলল্যান্ড’ বলার কারণ : ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের কোনো ফাটলের মধ্য দিয়ে বিস্ফোরণ ছাড়াই অর্থাৎ, বিদার অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে (Fissure Eruption) লাভা আকারে বেরিয়ে এসে সঞ্চিত হয় এবং এভাবে ক্রমাগত লাভা সঞয়ের মাধ্যমে যে ভূমিরূপের সৃষ্টি হয় তাকে মালভূমি বলে। মালভূমির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল – এগুলির মাথা চ্যাপটা আকৃতির হয়। চ্যাপটাকৃতির হওয়ার প্রধান কারণ হল— (ক) ক্রমাগত লাভা সঞ্চয়ের ফলে এই জাতীয় মালভূমি সৃষ্টি হয়, (খ) ভূপৃষ্ঠের কোনো ফাটল বা ছিদ্রপথ দিয়ে তরল ক্ষারকীয় লাভা বেরিয়ে আসে। (গ) ক্ষারকীয় লাভা আম্লিক লাভা অপেক্ষা অধিক তরল প্রকৃতির, তাই এই জাতীয় লাভা যখন বিস্ফোরণ ছাড়া নির্গত হয় তখন তা অনেক দূর পর্যন্ত প্রসারিত হয়। (ঘ) ক্ষারীয় লাভার সান্দ্রতা কম হওয়ায় অর্থাৎ ঘনত্ব কম হওয়ায় তা অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে এবং পর্বতের চূড়ার আকৃতি ধারণ না করে চ্যাপটাকৃতির হয়। উপরিউক্ত কারণেই মালভূমিগুলি খাড়া ঢালযুক্ত প্রায় টেবিল আকৃতির দেখতে হয়। তাই মালভূমিকে ‘টেবিলল্যান্ড’ বলা হয়।
অথবা, শিলায় মরচে ধরার কারণ : সাধারণত লোহাযুক্ত শিলার খনিজের সঙ্গে অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় জারণ সংঘটিত হয়। লোহা যখন ফেরাস অক্সাইডরূপে শিলার মধ্যে অবস্থান করে তখন তা ভীষণ কঠিন, কিন্তু জারণ প্রক্রিয়ায় তা যখন ফেরিক অক্সাইডে পরিণত হয় তখন সহজেই শিলা ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। শিলার উপর একপ্রকার হলদে-বাদামি ছোপ দেখা যায় যাকে মরচে বলে। এইভাবে শিলায় মরচে ধরে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় ফেরাস অক্সাইড লিমোনাইটে রূপান্তরিত হয়।
(iii) হড়পা বান (Flash Flood) : হঠাৎ ভারী বর্ষণের ফলে পার্বত্য অঞ্চলে যে বিশাল মাত্রায় দ্রুতগতি সম্পন্ন জলপ্রবাহ দেখা যায়, তাকে হড়পা বান বলে। এর ফলে পার্বত্য ঢালে জলপ্রবাহের সঙ্গে সব কিছু ধসে নীচের দিকে নামতে থাকে এবং ব্যাপক হারে জীবন ও সম্পত্তিহানি হয় ।
উদাহরণ : 2010 সালে জম্মু-কাশ্মীরের লেহ্ উপত্যকায় হড়পা বানে 250 জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
অথবা, সুনামি (Tsunami) : সুনামি (Tsunami) একটি জাপানি শব্দ। ‘Tsu’-এর অর্থ ‘বন্দর’ ও ‘nami’-এর অর্থ ‘ঢেউ’। অর্থাৎ, সুনামি শব্দের অর্থ “বন্দর সংলগ্ন ঢেউ”। সাধারণত প্রবল ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্র উপকূল বা বন্দর সংলগ্ন অঞ্চলে যে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়, তাকে সুনামি বলে।
সুনামি সৃষ্টির প্রধান কারণগুলি হল সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্প : সমুদ্রগর্ভে পাত সঞ্চালনের ফলে সৃষ্ট ভূমিকম্পের কারণে ভয়াবহ সুনামির সৃষ্টি হয়। 2004 সালের ভারত মহাসাগরের সুনামি, 2011 সালের জাপানের সুনামি। অগ্ন্যুৎপাত : সমুদ্রের মধ্যে অবস্থিত আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত ঘটলে যে কম্পন সৃষ্টি হয় তার ফলেও সুনামি সৃষ্টি হয়। যেমন 1928 সালে ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট সুনামি। ধস : সমুদ্র তীরবর্তী পার্বত্য এলাকায় বা বৃহদায়তন শিলায় ধসের ফলে সুনামির সৃষ্টি হয়। যেমন 1980 সালে ফ্রান্স উপকূলে সৃষ্ট সুনামি। হিমানি সম্প্রপাত : হিমানি সম্প্রপাতে বিশাল বরফের স্তূপ সমুদ্রজলে আছড়ে পড়লে সুনামি সৃষ্টি হয়। উল্কাপাত : সমুদ্রে বড়ো উল্কাপিণ্ডের পতনের ফলে সুনামি সৃষ্টি হয়। ঘূর্ণিঝড় : প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ফলেও অনেক সময় সুনামির সৃষ্টি হয়।
(iv) নিরপেক্ষ বস্তু (Neutral Stuff) : পৃথিবীতে উপস্থিত যে-সমস্ত দ্রব্য বা উপাদান মানুষের কোনো চাহিদা মেটায় না, আবার কোনো ক্ষতিসাধনও করে না, তাদের নিরপেক্ষ সামগ্রী বলে । সংস্কৃতির ব্যবহার ঘটিয়ে মানুষই নিরপেক্ষ সামগ্রী থেকে নতুন সম্পদ সৃষ্টি করে। যেমন— আন্টার্কটিকা মহাদেশে সঞ্চিত খনিজ ভাণ্ডার একটি নিরপেক্ষ সামগ্রীর উদাহরণ। কারণ— প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশে খনিজ সম্পদ উত্তোলন মানুষের পক্ষে অসম্ভব। তবে এটির ভবিষ্যতে নিরপেক্ষ সামগ্রী থেকে মূল্যবান সম্পদে পরিণত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
অথবা, রাঢ় সমভূমির বৈশিষ্ট্য : পশ্চিমের ছোটোনাগপুর মালভূমির ক্ষয়জাত পদার্থ নদী দ্বারা বাহিত হয়ে সৃষ্টি হওয়া এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি রুক্ষ ও মাটির রং লাল। সমভূমি হলেও স্থানে স্থানে তরঙ্গায়িত ভূমি ও টিলা দেখা যায়। রাঢ় অঞ্চল পশ্চিম থেকে পূর্বে ক্রমশ ঢালু। এখানকার গড় উচ্চতা 50-100 মিটার। এই অঞ্চলের পশ্চিমদিকে মৃত্তিকা ক্ষয়ের ফলে খোয়াই ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়েছে। রাঢ় সমভূমি অঞ্চলের মৃত্তিকা লাল বর্ণের ল্যাটেরাইট জাতীয়। তবে পূর্বদিকে নদী উপত্যকায় পলিমাটি দেখতে পাওয়া যায়।
(v) আশ্বিনের ঝড় ( Ashwiner Jhar) : সেপ্টেম্বর মাসের শেষে সূর্যের দক্ষিণায়ন শুরু হয়। স্থলভাগ থেকে আগত প্রত্যাবর্তনকারী উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট উয় ও আর্দ্র বায়ুর সংঘর্ষের ফলে পশ্চিমবঙ্গের ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হয়ে থাকে। ফলে স্থানীয়ভাবে প্রচুর ঝড় বৃষ্টি হয়। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আশ্বিন মাসে হয় বলে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে এই ঝড় ‘আশ্বিনের ঝড়’ নামে পরিচিত। আশ্বিনের ঝড়ের প্রভাবে মাঝে মাঝে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিও হয়।
অথবা, RF স্কেল (ভগ্নাংশ সূচক স্কেল) : Balurghat High School-এর 3. (vi)-এর উত্তরটি দেখুন।
(vi) SAIL : সম্পূর্ণ নাম: Steel Authority of India Limited। প্রতিষ্ঠা : ভারতীয় লৌহ-ইস্পাত শিল্পের উন্নতিকল্পে 1973 সালে এই সংস্থাটি গঠিত হয়।
অধীনস্থ কারখানা : ভিলাই, রৌরকেল্লা, বোকারো, সালেম এবং পশ্চিমবঙ্গের বার্নপুর-কুলটি ও দুর্গাপুর প্রভৃতি বৃহৎ লৌহ-ইস্পাত শিল্পকারখানাগুলি সবই এই সংস্থার অধীন।
উদ্দেশ্য : রাষ্ট্রায়ত্ত লৌহ-ইস্পাত কারখানাগুলির তদারকি করা। প্রশিক্ষিত দক্ষ শ্রমিক সরবরাহ করা। উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করা এবং গুণগত মান বাড়ানো। লৌহ-ইস্পাতের মূল্য নির্ধারণ করা।
অথবা, আউটসোর্সিং (Outsourcing) : আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে শিল্পের অবস্থান ও উন্নতির উপর শ্রমিকের অবস্থানের প্রভাব ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। কারণ, বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থাগুলি পৃথিবীর যেখানেই সস্তায় দক্ষ শ্রমিক পাওয়া যায়, সেখান থেকে শ্রমিক সংগ্রহ করে নিজের সংস্থায় তাদের নিয়োগ করে। এক স্থান থেকে আর এক স্থানে বা এক দেশ থেকে আর এক দেশে শ্রমিক নিয়োগের এই পদ্ধতিকে বলা হয় আউটসোর্সিং। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পক্ষেত্রে ভারতের ইঞ্জিনিয়ারদের আউটসোর্সিং বিশেষভাবে লক্ষণীয়।