Kola Union High School (HS)
বিভাগ – ক
1 (i) পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাসের পরিমাপ – (a) 12,757 km
(ii) কলকাতায় পৃথিবীর আবর্তনে বেগ প্রায় – (b) 1536.14 কিমি প্রতি ঘণ্টায়।
(ii) পৃথিবীর মেরুঅক্ষ কক্ষতলের সঙ্গে (a) 23°30° কোণে অবস্থান করে।
(iv) ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমারেখার মান হল – (b) 82°30° পূর্ব।
(v) আরাবল্লি একটি – (a) ক্ষয়জাত পৰ্বত।
(vi) অন্তর্জাত প্রক্রিয়ার একটি উদাহরণ হল – (d) ভূমিকম্প।
(vii) গোলাকৃতি আবহবিকার হল – (a) শল্কমোচন ।
(vii) ঘূর্ণিঝড় দ্রুতগতিতে আছড়ে পড়ে – (b) উপকূল অঞ্চলে।
(ix) শিলায় মরচে পড়ে যে প্রক্রিয়ার ফলে তা হল – (b) জারণ।
(x) অবাধ সম্পদের উদাহরণ হল – (c) সূর্যকিরণ।
(xi) ভারতের বৃহত্তম কয়লাখনি হল (b) ঝরিয়া।
(xii) উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার’ বলা হয় – (a) শিলিগুড়িকে।
(xiii) পশ্চিমবঙ্গ – (b) মৌসুমি জলবায়ুর অন্তর্গত।
(xiv) মৌজা মানচিত্রের স্কেল হল (b) 1 : 3,9601
বিভাগ – খ
2 (A) (i) পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলাকার। ঠিক
(ii) 21 জুনের পর সূর্যের উত্তরায়ণ ঘটে। ভুল
(iii) প্রতিটি অক্ষরেখা পরস্পর সমান্তরাল। ঠিক
(iv) অবরোহণ প্রক্রিয়ায় ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। ভুল
(v) লাভা মালভূমির উৎপত্তি ঘটেছে বিদার অগ্ন্যুদ্গমের ফলে। ঠিক
(vi) যান্ত্রিক আবহবিকারে শিলা ও খনিজ বিয়োজিত হয়। ভুল
(vii) মাটির B ও C স্তরকে একত্রে সোলাম বলে। ভুল
(B) (i) পৃথিবী গ্রহকে বলা হয় নীলগ্রহ।
(ii) নিরক্ষীয় অঞ্চল বরাবর পৃথিবীর দিনরাত্রি সারাবছর সমান হয়।
(ii) কর্কটক্রান্তিরেখা পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে উত্তরে 23½ ডিগ্রি কোণে অবস্থান করে।
(iv) আফ্রিকার দ্য গ্রেট রিফট ভ্যালি পৃথিবীর দীর্ঘতম গ্রস্ত উপত্যকা।
(v) ক্ষয়ীভবন প্রক্রিয়ার আর এক নাম হল অপসারণ।
(vi) হিউমিফিকেশন প্রক্রিয়ায় জৈব পদার্থ বিয়োজিত হয়।
(vii) সুনামির মূল কারণ হল সমুদ্রের তলদেশে সৃষ্ট ভূমিকম্প।
(C) (i) 4 জুলাই (d) অপসূর অবস্থান
(ii) কর্কটক্রান্তিরেখা (a) 23½° উত্তর
(iii) ডেকানট্র্যাপ (b) লাভা মালভূমি
(iv) ক্রোনোমিটার (c) গ্রিনিচ ঘড়ি
(D) (i) পৃথিবীর গভীরতম অংশটির নাম হল মারিয়ানা খাতের চ্যালেঞ্জার ডেপথ।
(ii) 21 মার্চ তারিখ মহাবিষুব হয় ।
(iii) অক্ষরেখাগুলির মধ্যে নিরক্ষরেখা হল মহাবৃত্ত।
(iv) পৃথিবীর উচ্চতম আগ্নেয়গিরি হল ওজোস ডেল সালাডো।
(v) ভারতের একমাত্র পর্বতবেষ্টিত মালভূমি হল লাদাখ মালভূমি।
(vi) ভারতের প্রথম পাটকল স্থাপিত হয় রিষড়ায়।
(vii) পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় ভূমিধসের সম্ভাবনা বেশি।
বিভাগ – গ
3 (i) জিয়ড (Geoid) : AC Institution, Malda-এর 4. (i)-এর অথবা-র উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, ছায়াবৃত্ত (Shadow Circle) : মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্রের 3. (ii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) প্রমাণ সময় (Standard time) : Bolpur High School-এর 3. (ii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, মোনাড্নক (Monadnock) : সমপ্রায় ভূমির মধ্যে অবস্থিত কঠিন শিলায় গঠিত অনুচ্চ পাহাড় বা টিলাগুলিকে মোনাড়নক বলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট মোনাক-এর নামানুসারে এর নামকরণ হয়েছে।
উদাহরণ : অযোধ্যা, শুশুনিয়া প্রভৃতি পাহাড় মোনাড়কের উদাহরণ।
(ii) অ্যাথেনোস্ফিয়ার (Asthenosphere) : অর্থ : ‘Asthenosphere’ শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘Asthenica’ থেকে, যার অর্থ ‘দুর্বল’ এবং ‘Sphere’-এর অর্থ ‘মণ্ডল’। অর্থাৎ, অ্যাথেনোস্ফিয়ার হল দুর্বলমণ্ডল।
সংজ্ঞা : ভূত্বকের নীচে গড়ে 150 – 200 কিমি পুরু ঊর্ধ্ব গুরুমণ্ডলের অন্তর্গত সান্দ্র, দুর্বল ও নমনীয় প্রকৃতির পরিবর্তনশীল স্তরকে অ্যাসথেনোস্ফিয়ার বলে। পাতগুলি এই স্তরের উপর ভাসমান অবস্থায় আছে। এখানকার ম্যাগমার পরিচলন স্রোতের কারণে পাতের চলন ঘটে, অগ্ন্যুৎপাত হয়, ভূমিকম্প হয়। তাই এই স্তরকে ক্ষুব্ধমণ্ডল বলে।
অথবা, নগ্নীভবন (Denudation) : Baghbazar Multipurpose Girls’ School (Govt Spons )-এর 3. (ii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(iv) খরা (Drought) : ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের সংজ্ঞানুযায়ী কোনো অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম (75%-এর কম) বৃষ্টি হলে বা বহুদিন ধরে বৃষ্টি না হলে অস্বাভাবিক শুষ্ক অবস্থার সৃষ্টি হয়, তাকে খরা বলে। যেমন— ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বে প্রায় 300 km বিস্তৃত অঞ্চল খরাপ্রবণ।
অথবা, তুষারঝড় (Blizzard ) : Balurghat High School-এর 3. (iv)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(v) নিরপেক্ষ সামগ্রী (Neutral Stuff) : Belda Gangadhar Academy (HS)-এর 6. (iv)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প (IT Industry) : কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সাহায্যে বিভিন্ন প্রকার তথ্য সংগ্রহ, সঞ্চয়, বিচার বিশ্লেষণ, পরিবর্তন, পরিবর্ধন ইত্যাদি কাজ ব্যাবসায়িক ভিত্তিতে করা হলে, তাকে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প বলা হয়। বর্তমান যুগকে ‘তথ্যপ্রযুক্তি যুগ’ বলা হয়। এই শিল্প ছাড়া বর্তমান জীবনযাপন প্রায় অসম্ভব। দেশের অর্থনীতির একটি বিশাল অংশ এই শিল্পকে নির্ভর করে উন্নতি লাভ করছে। তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রগুলি হল – ভারতের দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, চণ্ডিগড়, পশ্চিমবঙ্গের সল্টলেক (Sector-V) ও রাজারহাট।
(vi) অর্থকরী ফসল (Cash Crop ) : যে-সমস্ত ফসল দেশীয় তথা আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করে যথেষ্ট পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা যায়, তাকে অর্থকরী ফসল বলা হয়। যেমন— পাট, তুলা, চা প্রভৃতি।
অথবা, স্কেল (Scale) : Jalpaiguri Govt Girls School-এর 3. (vi)-এর অথবার উত্তরটি দ্যাখো।
বিভাগ – ঘ
অথবা, শিল্ড মালভূমির উৎপত্তি : AC Institution, Malda-এর 3. (iii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) ক্ষুদ্রকণা বিসরন (Granular Disintegration) : 494 নং পৃষ্ঠার Bankura Christian Collegiate School-এর 5. (A) (iv)-এর ‘ক্ষুদ্রকণা বিসরণ’ পয়েন্টটি দ্যাখো।
অথবা, দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে পার্থক্য : AC Institution, Malda-এর 4. (ii)-এর উত্তরটি দ্যাখো ।
(iii) সম্পদের কার্যকারিতা : বিংশ শতকের তিরিশের দশকে অধ্যাপক জিমারম্যান সম্পদের কার্যকারিতা তত্ত্বের অবতারণা করেন। তাঁর মতে, কোনো বস্তু বা পদার্থের কার্যকারিতাই হল সম্পদ। অর্থাৎ, কার্যকরী গুণ বা অভাব পূরণের ক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো বস্তুর সম্পদে পরিণত হওয়ার তত্ত্বকে সম্পদের কার্যকারিতা তত্ত্ব বলে।
তত্ত্বের মূলকথা : জিমারম্যানের কার্যকারিতা তত্ত্ব অনুসারে সম্পদ ও কার্যকারিতার সম্পর্ক হল – বস্তু + কার্যকারিতা = সম্পদ, যেমন – কয়লা, খনিজ তেল প্রভৃতি। অবস্তু + কার্যকারিতা = সম্পদ,
যেমন – শিক্ষা, কর্মদক্ষতা, জ্ঞান প্রভৃতি। বস্তু – কার্যকারিতা = সম্পদ নয়,
যেমন – পতিত জমি, দূষিত বাতাস প্রভৃতি।
অবস্তু – কার্যকারিতা = সম্পদ নয়,
যেমন – কুসংস্কার, বর্ণবৈষম্য প্রভৃতি। –
সম্পদ – কার্যকারিতা = সম্পদ নয়,
যেমন – ভূমিক্ষয়, অনুর্বর কৃষিজমি প্রভৃতি।
মানবিক গুণ, যেমন – মানুষের শ্রম, দক্ষতা, জ্ঞান, বুদ্ধি ইত্যাদি সম্পদের কার্যকারিতা বাড়ায়। সংস্কৃতির কার্যকরী ক্ষমতা আছে, তাই সংস্কৃতিও সম্পদ। কার্যকারিতা আছে বলে সম্পদ গতিশীল প্রকৃতির। চাহিদা, প্রশাসনিক দক্ষতা সম্পদের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
অথবা, আধুনিক শিল্পদানব : পেট্রোরসায়ন শিল্পকে আধুনিক শিল্প দানব’ বলা হয়। এই শিল্পকে আধুনিক শিল্পদানব বলার কারণগুলি হল—
অনুসারী শিল্পের বিকাশ : পেট্রোরসায়ন শিল্প থেকে উৎপন্ন দ্রব্যকে কেন্দ্র করে একাধিক অনুসারী শিল্পের বিকাশ ঘটেছে। যা পরবর্তীকালে একটি বৃহদায়তন জটিল শিল্পাঞ্চল সৃষ্টি করে।
ব্যাপকহারে পণ্যদ্রব্য উৎপাদন : দৈনন্দিন জীবনে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে পেট্রোরসায়ন শিল্পজাত দ্রব্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলি যেমন— প্লাস্টিক, প্রসাধনী দ্রব্য, পলিথিন, পলিয়েস্টার ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার দ্রব্য উৎপাদন করা হয়ে থাকে।
জৈব রাসায়নিক শিল্প বিকাশ : বিভিন্ন প্রকার জৈব রাসায়নিক শিল্পের প্রায় ৪০% কাঁচামালের জোগান দেয় এই পেট্রোরসায়ন শিল্প।
পরিকাঠামোগত উন্নয়ন : পেট্রোরসায়ন শিল্পের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্পাঞ্চলের দ্রুত বিকাশ ও পরিকাঠামো উন্নতি ঘটে থাকে। উপরিউক্ত এই কারণগুলির জন্য পেট্রোরসায়ন শিল্পকে ‘আধুনিক শিল্প দানব’ বলা হয়।
(iv) পশ্চিমবঙ্গে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সম্ভাবনা Belda Gangadhar Academy (HS)-এর 9. (iv)-এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ পয়েন্টটি দ্যাখো।
অথবা, কলকাতা বন্দর গড়ে ওঠার কারণ : কলকাতা বন্দর স্থাপনের অনুকূল কারণগুলি হল –
প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক কারণ :
অবস্থান : বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় 128 কিমি অভ্যন্তরে হুগলি নদীর তীরে কলকাতা বন্দরটি অবস্থিত বলে এটি সামুদ্রিক ঝড়-ঝঞ্ঝা মুক্ত।
প্রাকৃতিক পরিবেশ : কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জলবায়ু মৃদু প্রকৃতির, ভূমিরূপ সমতল যা বন্দর গড়ে ওঠার পক্ষে আদর্শ।
পশ্চাদভূমি : পশ্চিমবঙ্গসহ সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যসমূহ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কিছু অংশ কলকাতা বন্দরের পশ্চাদ্ভূমি হওয়ায় এই বন্দর যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেছে।
অর্থনৈতিক কারণ :
পরিবহণ ব্যবস্থা : কয়েকটি জাতীয় সড়ক, পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথ এবং নদীপথে কলকাতা উত্তর, পূর্ব, উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে কলকাতা বন্দরের উন্নতি ঘটেছে।
জেটির অস্তিত্ব ও জাহাজ মেরামতির সুযোগ : কলকাতা বন্দরে ৭টি জেটি আছে। খিদিরপুর ডক্ ও নেতাজি সুভাষ ডক্ নামে দুটি ডক্ এবং 5টি ড্রাই-ডক্ রয়েছে যা জাহাজ মেরামতির কাজে ব্যবহৃত হয়।
শ্রমিকের সহজলভ্যতা : কলকাতা জনবহুল এলাকা বলে বন্দরসংক্রান্ত কাজের জন্য দক্ষ ও সুলভ শ্রমিক সহজেই পাওয়া যায়।
মূলধনের প্রাচুর্য :বন্দরের উন্নতিতে মূলধন বিনিয়োগকারী সংস্থার অভাব না থাকায় কলকাতা বন্দর উন্নতি লাভ করেছে।
ঐতিহাসিক কারণ : ইংরেজ বণিক ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অবদান : 1911 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কলকাতা ভারতের রাজধানী ছিল। ব্যাবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনেই ইংরেজ বণিকরা হুগলি নদীর তীরে কলকাতা বন্দরটি গড়ে তুলেছিল।
বিভাগ- ঙ
5 (A) (1) অক্ষরেখার বৈশিষ্ট্য : পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের সমান অক্ষাংশবিশিষ্ট স্থানগুলিতে পূর্ব-পশ্চিমে বৃত্তাকার যে সমস্ত রেখা কল্পনা করা হয়েছে, তাদের অক্ষরেখা বলে। অক্ষরেখা বা সমাক্ষরেখার বৈশিষ্ট্যগুলি হল –
পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃতি অক্ষরেখাগুলি পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত। আকৃতি অক্ষরেখাগুলি প্রত্যেকেই পূর্ণবৃত্ত। মান অক্ষরেখার সর্বনিম্ন মান 0° এবং সর্বোচ্চ মান 90°। সমান্তরাল অবস্থান প্রত্যেকটি অক্ষরেখা। নিরক্ষরেখার সমান্তরালে অবস্থিত। সেইজন্য একই অক্ষরেখায় অবস্থিত যে-কোনো স্থান থেকে নিরক্ষরেখার দূরত্ব সর্বদা সমান থাকে। পরিধি : অক্ষরেখাগুলির পরিধি, নিরক্ষরেখা থেকে মেরুবিন্দুদ্বয়ের দিকে ক্রমশ ছোটো হতে হতে অবশেষে দুই মেরুতে দুটি বিন্দুতে পরিণত হয়। অর্থাৎ, অক্ষরেখাগুলির পরিধি সমান নয়। অক্ষাংশ: একই সমাক্ষরেখায় অবস্থিত পৃথিবীর সমস্ত স্থানের অক্ষাংশ সমান। মধ্যবর্তী দূরত্ব অক্ষরেখাগুলি পরস্পর সমান্তরাল হওয়ায় যে-কোনো দুটি অক্ষরেখার মধ্যবর্তী দূরত্ব সর্বদা সমান হয়।
দ্রাঘিমারেখার বৈশিষ্ট্য মূলমধ্যরেখা থেকে 1° অন্তর পূর্ব ও পশ্চিম উভয় দিক পর্যন্ত 180টি রেখা কল্পনা করা হয়, যারা উত্তর মেরুবিন্দু থেকে শুরু করে নিরক্ষরেখাকে সমকোণে ছেদ করার পর দক্ষিণ মেরবিন্দুতে পরস্পর মিলিত হয়। এদের দ্রাঘিমারেখা বলে। এর বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
বিস্তার দ্রাঘিমারেখাগুলি পৃথিবীকে উত্তর-দক্ষিণে বেষ্টন করে আছে। আকৃতি ও দৈর্ঘ্য : প্রত্যেকটি দ্রাঘিমারেখা অর্ধবৃত্ত এবং দৈর্ঘ্য সমান। দ্রাঘিমারেখাগুলি পরস্পর সমান্তরাল নয়। দুই মেরুবিন্দুতে এগুলি মিলিত হয়েছে। মান দ্রাঘিমারেখাগুলির মান মূলমধ্যরেখার পূর্ব ও পশ্চিমে ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। দ্রাঘিমারেখার সর্বনিম্ন মান ” এবং সর্বোচ্চ মান 180″। কৌণিক যোগফল : প্রতিটি দ্রাঘিমার কৌণিক যোগফল 180″। প্রকৃতি প্রাঘিমারেখাগুলি পরস্পর সমান্তরাল নয়। দুই মেরুবিন্দুতে এগুলি মিলিত হয়েছে। অক্ষরেখার সঙ্গে সম্পর্ক দ্রাঘিমারেখাগুলি অক্ষরেখাগুলিকে সর্বদা লম্বভাবে (90° কোণে) ছেদ করে। স্থানীয় সময়ের সঙ্গে সম্পর্ক একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত প্রতিটি স্থানে একই স্থানীয় সময় হয়। প্রধান রেখা প্রধান দ্রাঘিমারেখা হল মূলমধ্যরেখা। এর মান 0°। জলবায়ুর সঙ্গে সম্পর্ক : একই দ্রাঘিমারেখার ওপর অবস্থিত বিভিন্ন স্থানের মধ্যে জলবায়ুগত পার্থক্য লক্ষ করা যায়।
(ii) উদাহরণ ও চিত্রসহ বিভিন্ন প্রকার মানভূমি Balurghat High School-এর 5. (A) (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(iv) বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক আবহবিকার : AC Institution, Malda-এর 15. (A) (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(B) (i) জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ভৌগোলিক অবস্থা : Baghbazar Multipurpose Girls School (Govt Spons)-এর 5. (B) (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) ধান উৎপাদনের প্রয়োজনীয় ভৌগোলিক পরিবেশ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্রের 5. B. (i)-এর প্রাকৃতিক পরিবেশ’ অংশটি দ্যাখো।
(iv) হুগলি নদীর উভয়তীরে পাটশিল্পের কেন্দ্রীভবনের কারণ Balurghat High School-এর 5. (B) (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।