একাদশ শ্রেণি ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ইতিহাস বোধ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর

সূচিপত্র

একাদশ শ্রেণি ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ইতিহাস বোধ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর
একাদশ শ্রেণি ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ইতিহাস বোধ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর

‘HISTORY’ শব্দটি কোন্ শব্দভাণ্ডার থেকে এসেছে?

‘HISTORY’ শব্দটি গ্রিক শব্দভাণ্ডার থেকে এসেছে।

 গ্রিক শব্দ ‘HISTORY’-এর অর্থ কী ?

‘HISTORY’-এর অর্থ হল অনুসন্ধান, গবেষণা, আবিষ্কার বা সংবাদ ।

HISTORY’ শব্দটি কে প্রথম ব্যবহার করেন?

‘HISTORY’ শব্দটি গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস প্রথম ব্যবহার করেন।

ইতিহাসের জনক কাকে বলে?

গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাসকে ইতিহাসের জনক বলা হয়।

‘What is History’ বইটি কে রচনা করেন ?

‘What is History’ বইটি রচনা করেন ঐতিহাসিক ই এইচ কার।

ইতিহাসের ‘অখণ্ড সত্য’ নিয়ে কী বিতর্ক আছে?

ঐতিহাসিক লর্ড অ্যাকটন বলেছেন চূড়ান্ত ইতিহাস লেখা সম্ভব। বিপরীতদিকে, স্যার জর্জ ক্লার্ক বলেছেন, ‘চূড়ান্ত ইতিহাস’ লেখা সম্ভব নয়। ইতিহাস হল এক অন্তহীন সন্ধান।

‘প্রাক্-ইতিহাস’ শব্দটি গ্রহণযোগ্য কি না লেখো।

ঐতিহাসিক এম সি বার্কিট বলেছেন, যা কিছু অতীত তা-ই ইতিহাস। ইতিহাসের আগে কোনো ঘটনা থাকা সম্ভব নয়।

ইতিহাসের দুটি কালনির্ণয় পদ্ধতি কী?

এক, রেডিয়ো কার্বন পদ্ধতি, দুই, থার্মোলুমিনিসেন্স পদ্ধতি।

কমেন্টারিস’ এবং ‘অ্যানাবেলিস’ গ্রন্থ দুটি কে কে রচনা করেন?

‘কমেন্টারিস’ গ্রন্থটি লেখেন জুলিয়াস সীজার এবং ‘অ্যানাবেলিস’ গ্রন্থটি লেখেন জেনোফোন।

পৃথিবীতে প্রথম কখন হোমো স্যাপিয়েন্স বা আধুনিক মানুষের উদ্ভব হয়?

(1) 36 লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে প্রথম হোমো স্যাপিয়েন্স বা আধুনিক মানুষের উদ্ভব হয়।

অশোকের লিপিগুলি কোন্ হরফে লেখা ?

অশোকের লিপিগুলি প্রধানত ব্রাম্মী হরফে লেখা। এ ছাড়া কিছু লেখ খরোষ্ঠী ও আরাবীয় হরফে লেখা ।

ভারতের প্রাচীনতম সাহিত্যকীর্তি কোনটি ?

ভারতের প্রাচীনতম সাহিত্যকীর্তি হল ঋগবেদ।

‘ব্রহ্মকৈবর্ত পুরাণ থেকে কোন ইতিহাস জানা যায় ?

‘ব্রহ্মকৈবর্ত’ পুরাণ থেকে মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাস জানা যায়।

দুটি বৌদ্ধ সাহিত্যের নাম লেখো।

‘বুদ্ধচরিত’ এবং ‘ললিতবিস্তার’।

ভারতের আধুনিক ইতিহাস কবে থেকে শুরু হয় ?

প্রচলিত মতে, 1707 খ্রিস্টাব্দে; অন্য মতে, 1757 খ্রিস্টাব্দে; আবার ড. সুমিত সরকারের মতে 1885 খ্রিস্টাব্দে।

দুজন উত্তর আধুনিক যুগের ঐতিহাসিকের নাম লেখো।

মিশেল ফুকো ও জাঁক দেরিদা।

অশোকের ব্রাহ্মী শিলালিপিগুলি কে, কবে পাঠোদ্ধার করেন ?

জেম্স প্রিন্সেপ 1837 খ্রিস্টাব্দে।

হরপ্পা সভ্যতার দুটি কেন্দ্র কী কী?

হরপ্পা সভ্যতার কেন্দ্র রুপার ও কালিবঙ্গান।

ভারতে আধুনিক মানুষের বসবাসের প্রমাণ কখন থেকে পাওয়া যায় ?

আজ থেকে 5 লক্ষ বছর আগে ভারতে আধুনিক মানুষের বসবাসের প্রমাণ পাওয়া যায়।

মানবসভ্যতার ইতিহাসকে ক-টি যুগে ভাগ করা হয় এবং কী কী ?

মানবসভ্যতার ইতিহাসকে তিনটি যুগে ভাগ করা হয়, যথা—i. প্রাচীন যুগ, ii. মধ্য যুগ, iii. আধুনিক যুগ।

প্রাচীন যুগকে ক-টি ভাগে ভাগ করা হয় এবং কী কী?

প্রাচীন যুগকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়- i. প্রাগৈতিহাসিক যুগ (Prehistoric age), ii. প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ (Protohistoric age), iii. ঐতিহাসিক যুগ (Historic age)।

প্রাগৈতিহাসিক যুগ বা Prehistoric Age কাকে বলে ?

মানবসভ্যতার সূচনাকাল থেকে শুরু করে লিখিত উপাদানের প্রাপ্তিকালের মধ্যবর্তী সময়কে প্রাগৈতিহাসিক যুগ বা Prehistoric Age বলে।

Prehistoric কথাটি কে প্রথম ব্যবহার করেন?

830-এর দশকে ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিক পল তুর্নাল Prehistoric কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন।

Prehistoric কথাটি ইংরেজি ভাষাতে কে প্রথম ব্যবহার করেন?

Prehistoric কথাটি ইংরেজি ভাষাতে 1851 খ্রিস্টাব্দে ড্যানিয়েল উইলসন প্রথম ব্যবহার করেন।

Prehistoric যুগের প্রাপ্ত ঐতিহাসিক উপাদানগুলি কী কী ?

Prehistoric যুগের প্রাপ্ত ঐতিহাসিক উপাদানগুলি হল হাতিয়ার, মৃৎশিল্প, বাসস্থান, গৃহস্থালির সরঞ্জাম প্রভৃতি।

ভারত প্রাক্-ঐতিহাসিক যুগের একটি সভ্যতার উদাহরণ দাও।

প্রাক্-হরপ্পা যুগের মেহেরগড় সভ্যতা হল ভারতে প্রাক্-ঐতিহাসিক যুগের একটি সভ্যতা।

Prehistoric যুগের মানুষ ও জন্তুর উদাহরণ দাও।

Prehistoric যুগের মানুষ হল গুহামানব ও জন্তু ছিল ডাইনোসর।

Prehistoric Age-কে ক-টি ভাগে ভাগ করা হয় এবং কী কী? 

Prehistoric Age-কে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়— i. প্রাচীন প্রস্তর যুগ (Palaeolithic age). ii. মধ্য প্রস্তর যুগ (Mesolithic age) এবং iii. নব্য প্রস্তর যুগ (Neolithic age).

Protohistoric Age (প্রায় ঐতিহাসিক যুগ) কাকে বলে ?

যে যুগে লিপির ব্যবহার শুরু হয়েছে কিন্তু সেই লিপিগুলি পাঠোদ্ধার করা আজও সম্ভব হয়নি তাকে Protohistoric যুগ বলে। যেমন—ভারতের সিন্ধু লিপি।

ধাতুর ব্যবহারের দিক থেকে কোন্ সময়কে প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ (Protohistoric Age) বলা হয় ?

তাম্র-ব্রোঞ্জ যুগের সূচনা থেকে লৌহযুগের সূচনা পর্যন্ত সময়কালকে ধাতুর ব্যবহারের দিক থেকে প্রায়- ঐতিহাসিক যুগ বলা হয় ।

দক্ষিণ ভারতে কোন্ যুগের অস্তিত্ব নেই ?

দক্ষিণ ভারতে তাম্র ও ব্রোঞ্জ যুগের অস্তিত্ব নেই, কারণ এখানে প্রস্তর যুগের পরই লৌহযুগ আসে।

ঐতিহাসিক যুগ কাকে বলে ?

যে যুগে লিখন পদ্ধতির আবিষ্কার হয়েছে এবং লিখিত বিবরণ পাওয়া যায় সেই যুগকে ঐতিহাসিক যুগ বলে।

ভারতে ঐতিহাসিক যুগ কখন থেকে শুরু হয়েছে?

ভারতে ঐতিহাসিক যুগ 650 খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে শুরু হয়েছে।

ভারতের পাঠোদ্ধার হওয়া লিপিগুলির মধ্যে প্রাচীন লিপি কোনটি?

ভারতের পাঠোদ্ধার হওয়া লিপিগুলির মধ্যে প্রাচীন লিপি হল সোগোর তাম্রলিপি। এটি সম্রাট অশোকের জন্মের 50 বছর পূর্বে রচিত।

মিশর ও মেসোপটেমিয়াতে কখন ঐতিহাসিক যুগের সূচনা হয় ?

3000 খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে মিশর ও মেসোপটেমিয়াতে ঐতিহাসিক যুগের সূচনা হয়।

জীবাশ্ম কী?

লক্ষ লক্ষ বছর মাটির নীচে চাপা পড়ে থাকার ফলে প্রাণী বা উদ্ভিদের দেহ পাথরে পরিণত হয়। পাথরে পরিণত হওয়া প্রাণী বা উদ্ভিদের দেহ বা দেহাংশগুলিকে জীবাশ্ম বলে।

প্রাচীনতম জীবাশ্মটি কোথায় পাওয়া যায় ?

প্রাচীনতম জীবাশ্মটি কেনিয়াতে (আফ্রিকা) পাওয়া যায়।

হাতকুঠার কী?

প্রাচীন প্রস্তর যুগে মানুষের ব্যবহৃত মোটা ভোঁতা পাথরের হাতিয়ারকে হাতকুঠার বলে। এই হাতিয়ার দিয়ে তারা মাংস কাটা, কাঠ কাটা ও শিকারের কাজ করত।

প্রাচীন প্রস্তর যুগে মানুষের ব্যবহৃত কতকগুলি হাতিয়ারের নাম লেখো।

হাতকুঠার, ছুরি, বর্শা, তিরের ফলা প্রভৃতি ছিল প্রাচীন প্রস্তর যুগে মানুষের ব্যবহৃত হাতিয়ার।

মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষের অস্ত্রগুলির বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষের অস্ত্রগুলির বৈশিষ্ট্য ছিল এর ক্ষুদ্রতা ও মসৃণতা।

কোন্ যুগে কৃষিকাজের সূচনা হয়?

মধ্য প্রস্তর যুগে কৃষিকাজের সূচনা হয়।

নব্য প্রস্তর যুগে মানুষের হাতিয়ারগুলি কেমন ছিল?

নব্য প্রস্তর যুগে মানুষের হাতিয়ারগুলি ছিল খুবই মসৃণ, ধারালো, হাতলযুক্ত ও মানুষের ব্যবহারের উপযোগী।

নব্য প্রস্তর যুগে মানুষের ব্যবহৃত যন্ত্রগুলির নাম লেখো।

নব্য প্রস্তর যুগে মানুষের ব্যবহৃত যন্ত্রগুলি হল ফসল কাটার কাস্তে, মাটি খোঁড়ার যন্ত্র, হামানদিস্তা, শিলনোড়া, জাঁতা প্রভৃতি।

‘কুমোরের চাকা’ কোন্ যুগে আবিষ্কৃত হয়?

নব্য প্রস্তর যুগে কুমোরের চাকা আবিষ্কৃত হয়।

কোন যুগে মানুষ স্থায়ী বাসস্থান গড়ে তোলে ?

নব্য প্রস্তর যুগে মানুষ স্থায়ী বাসস্থান গড়ে তোলে।

কোন্ কোন্ ধাতুর মিশ্রণে ব্রোঞ্জ তৈরি হয় ?

তামা ও টিন মিশিয়ে ব্রোঞ্জ তৈরি হয়।

নব্য প্রস্তর যুগে ব্যবহৃত মানুষের অলংকারগুলির নাম লেখো।

নব্য প্রস্তর যুগে ব্যবহৃত মানুষের অলংকারগুলি হল পুঁতির মালা, লকেট, ঝিনুক-এর অলংকার।

গুহাচিত্র কী?

প্রাচীন মানুষ গুহার গায়ে রং ও রেখা দিয়ে হরিণ, বাইসন, গন্ডার, ভালুক, ম্যামথ প্রভৃতি পশু শিকারের ছবি ফুটিয়ে তুলত। এই ছবিগুলিকে গুহাচিত্র বলা হয়। যেমন—স্পেনের আলতামিরা ও ভারতের ভীমবেটকা গুহাচিত্র।

পিরামিড’ কী ?

মিশরের রাজাদের পাথরের তৈরি সমাধি মন্দির হল পিরামিড।

‘মমি’ কী?

মিশরের রাজাদের মৃতদেহ নানারকম ভেষজ পদার্থ মাখিয়ে সংরক্ষিত করে রাখা হত। এই সংরক্ষিত মৃতদেহগুলিকে ‘মমি’ বলা হয়।

মিশরে ক-টি পিরামিড আছে?

মিশরে চল্লিশটি পিরামিড আছে।

জিগ্‌গুরাত কী?

সুমেরের প্রতিটি নগরে নগরদেবতার একটি মন্দির থাকত। এই মন্দিরকে জিগ্‌রাত বলা হয়। এগুলি একই সঙ্গে ধনভাণ্ডার, শস্যের গোলা ও দুর্গ ছিল।

‘এপিগ্রাফি’ কী ?

লিপি উৎকীর্ণ (খোদাই করা) করার বিদ্যাকে ‘এপিগ্রাফি’ বা ‘লেখমালা’ বলা হয়।

‘প্যালিওগ্রাফি’ কী ?

লিপির বিষয়বস্তু পাঠের বিদ্যাকে ‘প্যালিওগ্রাফি’ বলা হয়।

প্রথম কারা লিপির আবিষ্কার করেন ?

মেসোপটেমিয়া অর্থাৎ সুমেরের অধিবাসীরা প্রথম লিপির আবিষ্কার করে।

কিউনিফর্ম কী ?

কিউনিফর্ম হল প্রাচীন সুমেরীয় লিপি। এই লিপির পাঠোদ্ধার করেন হেনরি ক্লেশউইগ রলিসন।

হামুরাবির ‘আইন সংহিতা’ কী?

ব্যাবিলনের সম্রাট হামুরাবি তাঁর প্রচলিত আইনগুলি কিউনিফর্ম লিপিতে 282টি সূত্রে একটি পাথরের উপর লিপিবদ্ধ করেন। এটি হামুরাবি আইন সংহিতা নামে পরিচিত। এটি পৃথিবীর প্রথম লিখিত আইন সংহিতা।

হায়ারোগ্লিফিক কী ?

প্রাচীন মিশরীয়দের চিত্রলিপি হল হায়ারোগ্লিফিক। এর পাঠোদ্ধার করেন অধ্যাপক শাঁ পোলিয়ে।

‘পেপার’ শব্দটি কোন্ শব্দ থেকে এসেছে?

‘প্যাপিরাস’ শব্দ থেকে পেপার শব্দটি এসেছে।

বিদেশে প্রাপ্ত দুটি ভারতীয় লিপির নাম লেখো।

i. পারস্যের ‘বাহিস্তান লিপি’, ii. এশিয়া মাইনরের ‘বোঘাজকোই লিপি’ বিদেশে প্রাপ্ত দুটি ভারতীয় লিপি।

ভারতের প্রাচীনতম লিপি কোনটি? 

ভারতের প্রাচীনতম লিপি সিন্ধু লিপি।

ঐতিহাসিক উপাদানরূপে লিপির গুরুত্ব লেখো।

ঐতিহাসিক উপাদানরূপে লিপির গুরুত্ব হল- i. লিপি থেকে আমরা সরাসরি অপরিবর্তিত অবস্থায় প্রাচীন যুগের তথ্য জানতে পারি, ii. লিপি থেকে রাজাদের নাম, বংশ পরিচয়, রাজ্য সীমা, ধর্মবিশ্বাস, রাজ্যশাসনের কথা জানতে পারি।

নিউমিসমেটিকস্ (Numismatics) কাকে বলে ?

মুদ্রার পঠনপাঠন বিদ্যাকে নিউমিসমেটিকস্ বলা হয়।

ইতিহাসের উপাদানরূপে মুদ্রার গুরুত্ব লেখো।

মুদ্রা থেকে আমরা সন, তারিখ, রাজার নাম, বংশ পরিচয়, ধর্মবিশ্বাস, রাজ্যসীমা, ব্যক্তিগত গুণাবলি, বাণিজ্যিক আদানপ্রদানের কথা জানতে পারি।

‘পোতিন’ ও ‘কাসু’ কাদের মুদ্রা?

‘পোতিন’ হল সাতবাহনদের সিসার মুদ্রা। ‘কাসু’ হল চোলদের স্বর্ণমুদ্রা।

প্রাচীন ভারতীয় মুদ্রা কোন্ কোন্ রাজবংশের একমাত্র উপাদান?

প্রাচীন ভারতীয় মুদ্রা ব্যাকট্রীয়, গ্রিক, শক ও পার্থিয়ানদের একমাত্র উপাদান।

ইতিহাসের উপাদানরূপে ‘পুরাণ ও ধর্মগ্রন্থ গুলির গুরুত্ব লেখো।

পুরাণ ও ধর্মগ্রন্থগুলি থেকে বিভিন্ন রাজবংশের নাম, রাজ্যের অবস্থান, রাজবংশগুলির বংশ তালিকা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় ঘটনাগুলি জানতে পারা যায়।

ইতিহাস-পুরাণ কী?

বৈদিক সাহিত্যে পুরাণগুলিকে ইতিহাস পুরাণ বলা হয়েছে। ‘ইতিহাস’ হল প্রাচীনকালের মানবসভ্যতার কাহিনি। আর পুরাণ হল গাথাকাহিনি, উপাখ্যান সংবলিত প্রাচীন কাহিনি। সমধর্মী বলে উপনিষদে ‘ইতিহাস- পুরাণ’ কথাটি একসঙ্গে বলা হয়েছে।

বৌদ্ধ ও ইহুদিদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কী ?

বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ ‘ত্রিপিটক’ ও ইহুদিদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হল ‘হিব্রু বাইবেল’ বা ‘Old Testament’ |

‘জরাথুস্ট্রীয়’ ধর্ম কে প্রচার করেন? এই ধর্মের প্রধান গ্রন্থের নাম কী?

ইরানে জরাথুস্ট্র জরাথুস্ট্রীয় ধর্ম প্রচার করেন। এই ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হল ‘জেন্দ আবেস্তা’।

ভারতে মোট ক-টি পুরাণ আছে?

ভারতে মোট 18টি পুরাণ আছে।

পৃথিবীর প্রাচীনতম মহাকাব্যের নাম কী ?

পৃথিবীর প্রাচীনতম মহাকাব্যের নাম ‘গিলগামেসের কাহিনি’। এটি সুমেরীয়দের/ব্যাবিলনীয়দের রচনা ।

ভারতের প্রাচীন দুটি মহাকাব্যের নাম লেখো।

ভারতের প্রাচীন দুটি মহাকাব্য হল—i. ব্যাসদেবের ‘মহাভারত’, ii. বাল্মীকির ‘রামায়ণ’।

গ্রিসের প্রাচীন মহাকাব্য দুটির নাম লেখো।

গ্রিসের প্রাচীন মহাকাব্য দুটি হল অন্ধকবি হোমারের লেখা ‘ইলিয়াড’ ও ‘ওডিসি’।

‘মেঘদূত’, ‘রঘুবংশ’, ‘মালবিকাগ্নিমিত্রম্’, ‘অভিজ্ঞানম্ শকুন্তলম্’ এই বিখ্যাত গ্রন্থগুলির লেখক কে ছিলেন?

‘মেঘদূত’, ‘রঘুবংশ’, ‘মালবিকাগ্নিমিত্রম্’, ‘অভিজ্ঞানম্ শকুন্তলম্’ এই বিখ্যাত গ্রন্থগুলির লেখক ছিলেন মহাকবি কালিদাস ।

ভারতের প্রাচীন ঐতিহাসিক গ্রন্থ কোনটি? এটি থেকে কোন্ রাজ্যের ইতিহাস জানা যায় ?

ভারতের প্রাচীন ঐতিহাসিক গ্রন্থ হল কলহনের ‘রাজতরঙ্গিণী’। এই গ্রন্থটি থেকে কাশ্মীরের ইতিহাস জানা যায়।

‘হর্ষচরিত’, ‘রামচরিত’, ‘বিক্রমাঙ্কদেবচরিত’, ‘গৌড়বাহ’ কে কে রচনা করেন ?

বাণভট্ট—‘হর্ষচরিত’, সন্ধ্যাকর নন্দী—‘রামচরিত’, বিহলন—‘বিক্রমাঙ্কদেবচরিত’, বাকপতি—‘গৌড়বহ’ রচনা করেন।

কোন্ কোন্ গ্রিক লেখক আলেকজান্ডারের সঙ্গে ভারতে আসেন ?

গ্রিক লেখক নিয়ারকাস, ওনো সিক্রিটাস ও অ্যারিস্টোবুলাস আলেকজান্ডারের সঙ্গে ভারতে আসেন।

মেগাস্থিনিস কে ছিলেন? তাঁর রচিত গ্রন্থের নাম কী?

মেগাস্থিনিস ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজদরবারে আগত গ্রিক দূত। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ইন্ডিকা” ।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য বিদেশি গ্রন্থগুলির নাম লেখো।

মেগাস্থিনিসের ‘ইন্ডিকা’, টলেমির ‘ভূগোল’, প্লিনির ‘প্রাকৃতিক ইতিহাস’, অজ্ঞাতনামা গ্রিক নাবিকের ‘পেরিপ্লাস অফ দি ইরিথ্রিয়ান সি’, ফা-হিয়েনের ‘ফোকুয়ো-কি’, হিউয়েন সাঙ্-এর ‘সি-ইউ-কি’ প্রভৃতি হল প্রাচীন ভারতের উল্লেখযোগ্য বিদেশি গ্ৰন্থ।

বৈদেশিক রচনাগুলির ত্রুটি কী?

বিদেশিরা ভারতীয় ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলেন। এঁরা জনশ্রুতির ওপর নির্ভর করে ইতিহাস রচনা করেন। ফলে অনেক ত্রুটি থেকে গেছে।

পুরাণ বা জীবনচরিতগুলির ত্রুটি কী?

পুরাণগুলিতে কিংবদন্তি, উপাখ্যান বেশি আছে। জীবনচরিতগুলি শাসকের প্রশংসায় পরিপূর্ণ।

ইতিহাস রচনার প্রাচীন দৃষ্টিভঙ্গি কোনটি ? এর দুজন প্রবক্তার নাম লেখো।

ইতিহাস রচনার প্রাচীন দৃষ্টিভঙ্গি হল ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি। এর দুজন প্রবক্তা হলেন হেগেল, র‍্যাঙ্কে।

সাম্রাজ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি কাকে বলে? এর দুজন প্রবক্তার নাম লেখো।

সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে ইতিহাসের ঘটনাকে ব্যাখ্যা করার দৃষ্টিভঙ্গিকে সাম্রাজ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি বলা হয়। এর দুজন প্রবক্তা হলেন জেমস মিল ও জন স্টুয়ার্ট মিল।

ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির মূল কথা কী ?

ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির মূল কথা হল ঈশ্বর সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন, ইতিহাস হল ঈশ্বরের কার্যাবলির বিবরণ।

জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি কাকে বলে?

নিজ দেশ ও জাতির স্বার্থে নিজ দেশ ও জাতির গৌরব গাথা প্রচার করার দৃষ্টিভঙ্গিকে জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি বলে।

ভারতে জাতীয়তাবাদী ইতিহাস চর্চার সূচনা কে করেন?

ভারতে জাতীয়তাবাদী ইতিহাস চর্চার সূচনা করেন তারাচাঁদ।

ভারতের দুজন জাতীয়তাবাদী ঐতিহাসিকের নাম লেখো।

ভারতের দুজন জাতীয়তাবাদী ঐতিহাসিকের নাম হল ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার ও যদুনাথ সরকার।

ভারতে মার্কসবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে কে ইতিহাস চর্চার সূচনা করেন?

ভারতে মার্কসবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিহাস চর্চার সূচনা করেন রজনীপাম দত্ত তাঁর ‘India Today’ গ্রন্থে।

ভারতে মার্কসবাদী ইতিহাস চর্চার দুজন ঐতিহাসিকের নাম লেখো।

ভারতে মার্কসবাদী ইতিহাস চর্চার দুজন ঐতিহাসিকের নাম হল সুমিত সরকার, ইরফান হাবিব। 

সাবঅলটার্ন গোষ্ঠীর ইতিহাস চর্চা কারা সূচনা করেন ?

সাবঅলটার্ন গোষ্ঠীর ইতিহাস চর্চা সূচনা করেন ব্যারিংটন মুর, এরিখ হবসবম, জর্জ লাদুরি প্রমুখ।

ভারতে সাবঅলটার্ন (নিম্নবর্গ) দৃষ্টিভঙ্গির দুজন ঐতিহাসিকের নাম লেখো। 

ভারতে সাবঅলটার্ন (নিম্নবর্গ) দৃষ্টিভঙ্গির দুজন ঐতিহাসিকের নাম হল রঞ্জিত গুহ ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

ঐতিহাসিকের কাজ কী কী?

ঐতিহাসিকের কাজ হল তথ্য সংগ্রহ করা, তথ্য বিশ্লেষণ করা, তথ্য উপস্থাপন করা।

কোন্ বেদে ‘ইতিহাস’ শব্দটির উল্লেখ আছে?

অথর্ব বেদে ‘ইতিহাস’ শব্দটির উল্লেখ আছে।

‘পঞ্চম বেদ কাকে বলে?

ইতিহাস পুরাণকে ছান্দোগ্য উপনিষদে পঞ্চম বেদ বলা হয়েছে।

‘শতপথ ব্রাক্ষ্মণে’ কেন প্রাত্যহিক ইতিহাস পাঠের কথা বলা হয়েছে?

দেবকুলের সন্তোষ বিধান করার জন্য ‘শতপথ ব্রাহ্মণে’ প্রাত্যহিক ইতিহাস পাঠের কথা বলা হয়েছে।

‘অর্থশাস্ত্র’-এ রাজাকে কেন প্রতিদিন ইতিহাস পাঠের কথা বলা হয়েছে?

রাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চেতনা জাগ্রত করার জন্য ‘অর্থশাস্ত্র’-এ রাজাকে প্রতিদিন ইতিহাস পাঠের কথা বলা হয়েছে।

ভারতে ‘ইন্দো-পারসিক’ ইতিহাস চর্চার সূচনা কখন হয়?

ত্রয়োদশ শতকে সুলতানি যুগের সূচনায় ভারতে ‘ইন্দো-পারসিক’ ইতিহাস চর্চার সূচনা হয়।

‘ইন্দো-পারসিক’ ভাষাচর্চার প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?

‘ইন্দো-পারসিক’ ভাষাচর্চার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল- i. সঠিক কালানুক্রম ও সঠিক সন-তারিখসহ উপস্থাপনা, ii. সমাজের উচ্চস্তরের মানুষদের প্রাধান্য, iii. ইসলামিক চিন্তাধারাতে আচ্ছন্ন। ।

কয়েকজন ইন্দো-পারসিক ঐতিহাসিকের নাম লেখো।

কয়েকজন ইন্দো-পারসিক ঐতিহাসিক হলেন জিয়াউদ্দিন বরনি, ইসামি, আমির খসরু, আসিফ।

‘তারিখ-ই-ফিরোজশাহী’ কে রচনা করেন?

‘তারিখ-ই-ফিরোজশাহী’ জিয়াউদ্দিন বরনি রচনা করেন।

ইউরোপে কখন সন-তারিখসহ ইতিহাস রচনা শুরু হয়?

ইউরোপে 1597 খ্রিস্টাব্দে সন-তারিখ সহ ইতিহাস রচনা শুরু হয়।

ইতিহাসের সঙ্গে কাল বা সময়ের সম্পর্ক কী?

সময় বা কাল হল ইতিহাসের প্রধান ভিত্তি। কাল বা সময় ছাড়া ইতিহাস অসম্পূর্ণ ও অর্থহীন।

রৈখিক কালচেতনা কী ?

খ্রিস্টান ও পাশ্চাত্যের অধিকাংশ ঐতিহাসিক মনে করেন কালের অগ্রগতি ঘটে রৈখিক ধারায় তিরের মতো। একে রৈখিক কালচেতনা বলে।

চক্রাকার কালচেতনা কী?

অনেকে মনে করেন কাল বা সময়ের গতি চক্রাকারে (cyclical) আবর্তিত হয়। অর্থাৎ বিভিন্ন যুগ চক্রাকারে ফিরে আসে। ভারতীয়রা এই ধারণাতে বিশ্বাসী।

ভারতীয়রা যুগকে ক-টি ভাগে ভাগ করেছেন এবং কী কী ?

ভারতীয়রা যুগকে চারটি ভাগে ভাগ করেছেন। যথা- সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি।

ইবন খালদুন যুগকে ক-টি ভাগে ভাগ করেছেন এবং কী কী?

ইবন খালদুন যুগকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন। যথা- i. যুদ্ধ ও বিজয়, ii. বসতি ও নগরায়ণ, iii. অবক্ষয় ও ধ্বংস।

আর্নল্ড টয়েনবি ইতিহাসকে ক-টি যুগে ভাগ করেছেন এবং কী কী ?

আর্নল্ড টয়েনবি ইতিহাসকে তিনটি যুগে ভাগ করেছেন। যথা—i. জন্ম, ii. বৃদ্ধি, iii. ধ্বংস।

কোন্ কোন্ ঐতিহাসিক চক্রাকার কালচেতনায় বিশ্বাসী ?

ইবন খালদুন, আর্নল্ড টয়েনবি, রোমিলা থাপার প্রমুখ ঐতিহাসিকরা চক্রাকার কালচেতনায় বিশ্বাসী।

খ্রিস্টাব্দ, শকাব্দ, গুপ্তাব্দ, হিজরি সন কী ধরনের কালচেতনা?

খ্রিস্টাব্দ, শকাব্দ, গুপ্তাব্দ, হিজরি সন হল রৈখিক কালচেতনা।

ইউরোপের ইতিহাসের যুগ বিভাজন ক-টি ও কী কী?

ইউরোপের ইতিহাসের যুগ বিভাজন তিনটি। যথা– i. প্রাচীন যুগ, ii. মধ্য যুগ, iii. আধুনিক যুগ।

ইউরোপে কোন্ সময়কে প্রাচীন যুগ বলা হয়?

ইউরোপে 476 খ্রিস্টাব্দের পূর্ববর্তী সময়কালকে প্রাচীন যুগ বলা হয়।

ইউরোপে মধ্যযুগ কোন সময়কে বলা হয় ?

1476 খ্রিস্টাব্দে রোমের পতন থেকে 1453 খ্রিস্টাব্দে কনস্ট্যান্টিনোপলের পতন পর্যন্ত সময়কালকে ইউরোপে মধ্যযুগ বলা হয়।

ইউরোপে কখন আধুনিক যুগের সূচনা হয় ?

1453 খ্রিস্টাব্দে পূর্ব রোম সাম্রাজ্যের পতনের পর থেকে ইউরোপে আধুনিক যুগের সূচনা হয়।

জেমস মিল ভারতের ইতিহাসকে ক-টি যুগে ভাগ করেছেন এবং কী কী ?

জেমস মিল ভারতের ইতিহাসকে তিনটি যুগে ভাগ করেছেন। যথা – হিন্দু যুগ, মুসলিম যুগ ও ব্রিটিশ যুগ। i. হিন্দু যুগ (সুদূর অতীত থেকে 1206 খ্রিস্টাব্দ)। ii. মুসলিম যুগ (1206 খ্রিস্টাব্দ–1707 খ্রিস্টাব্দ)। iii. ব্রিটিশ যুগ (1707 খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী সময়)।

ভারতের সাম্প্রতিক যুগ বিভাজনটি কীরূপ?

ভারতের সাম্প্রতিক যুগ বিভাজনটি হল — i. প্রাচীন যুগ (সুদূর অতীত থেকে–1206 খ্রিস্টাব্দ)। ii. মধ্য যুগ (1206 খ্রিস্টাব্দ–1707 খ্রিস্টাব্দ)। iii. আধুনিক যুগ (1707 খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী সময়)।

ভারতের সাম্প্রতিক ‘যুগ’ বিভাজনের বিতর্কটি কী ?

অনেকে বলেন যে 650 খ্রিস্টাব্দে প্রাচীন যুগের অবসান ঘটে। 650 খ্রিস্টাব্দ থেকে 1206 খ্রিস্টাব্দ এই সময় হল ‘আদি মধ্যযুগ’। তবে বিতর্ক থাকলেও 1206 খ্রিস্টাব্দ থেকে 1707 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে মধ্যযুগের সময়কাল ধরা হয়।

কোন্ সময়কে ভারতের ইতিহাসে আদি-মধ্যযুগ বলা হয় ?

650 খ্রিস্টাব্দ থেকে 1206 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই সময়কালকে ভারতের ইতিহাসে আদি-মধ্যযুগ বলা হয়।mi

প্রবহমান কাল কাকে বলে ? (XI ’14)

সময় বা কাল নদীর স্রোতের মতো বয়ে যায়। এই বয়ে যাওয়া কালকে প্রবহমান কাল বলা হয়।

পুরাণের পাঁচটি লক্ষণ কী কী?

পুরাণের পাঁচটি লক্ষণ হল—i. সর্গ, ii. প্ৰতি সৰ্গ, iii. বংশ, iv. মন্বন্তর, v. বংশানুচরিত।

দুটি ভারতীয় অব্দ বা সন-এর নাম লেখো।

দুটি ভারতীয় অব্দ বা সন-এর নাম হল — i. গুপ্তাব্দ, ii. শকাব্দ।

পুরাণের দুটি গুরুত্ব লেখো।

পুরাণের দুটি গুরুত্ব হল—i. পুরাণ থেকে বিভিন্ন রাজবংশের নাম ও বংশতালিকা জানতে পারা যায়। ii. পুরাণ থেকে প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন নগর ও রাজ্যগুলির নাম এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কথা জানতে পারা যায়।

ইউরোপের আধুনিক যুগের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

ইউরোপের আধুনিক যুগের বৈশিষ্ট্য—। পোপ এবং গির্জার প্রাধান্য হ্রাস ও যুক্তিবাদের প্রসার ii. সামন্তপ্রথার বিলোপ।

Leave a Comment