নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী-এ বিষয়ে সংবাদপত্রের জন্য কমবেশি ১৫০ শব্দে একটি প্রতিবেদন রচনা করো। |
সাম্প্রতিককালে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষের অসহায়তা
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ২৩ মার্চ: চৈত্রের শুরুতেই রাজ্যে নেমে এসেছে গ্রীষ্মের দাবদাহের আগুন। কিন্তু রাজ্যের আপামর সাধারণ মানুষ বেশ কয়েক মাস ধরেই পুড়ছেন মূল্যবৃদ্ধির আগুনে। চাল, গম, আলু থেকে শুরু করে প্রতিটি নিত্যব্যবহার্য জিনিসের দাম এখন আকাশছোঁয়া। দিন দিন সোনার দাম যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে, তেমনি চাল, ডাল, মাছ, তরিতরকারি এবং ওষুধও অগ্নিমূল্য। সরকারি এবং আধাসরকারি কর্মচারী ও অন্যান্য উচ্চ বেতনভোগীদের অবশ্য মূল্যবৃদ্ধির অনুপাতে বেতন বাড়ছে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এবং তাদের পরিবার আজ এক দুর্বিষহ অবস্থার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। নিম্নবিত্ত মানুষ আজ সন্তানের মুখে দু-মুঠো অন্ন তুলে দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এদিকে বারবার ডিজেল এবং পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি হওয়াতে অবস্থা আরও চরম জায়গায় পৌঁছোচ্ছে। অর্থনীতিবিদ এবং কৃষিবিদরা জানিয়েছেন যে, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে খাদ্যদ্রব্যের দাম আরও বাড়বে। কয়েকদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামের একটা গোটা পরিবার চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সুতরাং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার যদি অবিলম্বে সাধারণ মানুষের পাশে এসে না দাঁড়ায়, তবে দেশ এক চরম সর্বনাশের অবস্থায় গিয়ে পৌঁছোবে।